ZoomBangla Professor's Profile
Professor
10773
Points

Questions
23

Answers
5384

  • Professor Asked on December 4, 2024 in অনুসরণ.

      পৃথিবীতে শান্তি বলতে কোন কিছুই নেই যে যে অবস্থায় থাকুক না কেন আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায় করাটাই হল শান্তি। যে শুকরিয়া আদায় করতে জানে তার ভিতরে আল্লাপাকের রহমত বর্ষিত হয়। তার জীবনে শান্তি সুনিশ্চিত। পৃথিবীর সব সম্পদ যদি কাউকে লিখে দেয়া হয়। যদি তার ছেলে মেয়ে আত্মীয়স্বজন। এবং কি তার শারীরিক অসুস্থ থাকে তাহলে তার জীবনের শান্তি কামনা করা যায় না। শান্তি হচ্ছে আল্লাহ পাকের দেয়া দানের জিনিস। কারো জীবনের শান্তি হবে যে নিয়ামত পেয়ে শুকরিয়া আদায় করবে কষ্টের মাঝেও বলবে আলহামদুলিল্লাহ তারই নাম শান্তি। পৃথিবীতে শান্তি বলতে নাই রে কিছু নাই। কিসে শান্তি খুঁজে মানুষ ভবের দুনিয়ায়।

      • 82 views
      • 1 answers
      • 0 votes
    • Professor Asked on December 3, 2024 in অনুসরণ.

        যখনই, মন ভালো রাখার উপায়গুলি কী কী প্রশ্নটি আসে, সে প্রশ্ন একটা প্রচ্ছন্ন বার্তা ও সাথে করে বয়ে নিয়ে আসে। সে বার্তাটি হচ্ছে, মন খারাপ ও হয়।

        বিভিন্ন পরিস্থিতিতেই মন খারাপ হয়। নানা চেষ্টা করেও মন খারাপ হওয়াকে আটকানো যায় না, আবার ধীরে ধীরে, এই মন খারাপ হওয়া শেষ হয়েই যায়, মনে শুরু হয়, ভালো লাগা।

        তবে, কিছু কিছু ছোটখাটো প্রচেষ্টা হয়তো তাৎক্ষণিক ভাবে, মন খারাপকে দূরে সরিয়ে, ভালো লাগাকে টেনে নিয়েই আসে।

        ১। সকাল থেকেই বিষন্ন বদনে বসে আছেন চেম্বারে, আমাদের অফিসের সদালাপী, সদাহাস্যময়, বড়কর্তা।

        ছোট অফিস আমাদের, পাঁচ, ছয়জন কর্মী।

        সকাল থেকেই, আমরা যারাই কোনো কাজে তাঁর চেম্বারে ঢুকছি, ছিটকে বেরিয়ে আসছি, তাঁর হুংকার শুনে।

        এরপর, আমরা তিনচার জন সহকর্মী একসাথেই ঢুকলাম, তাঁর চেম্বারে,

        “স্যার, আপনের মন খারাপ ক্যান ? আমাদের বলেন, দেখি, আমরা কিছু করতাম পারি কী না”…,

        “Please, নিজের কাজ করুন, আমাকে ডিসটার্ব করবেন না…”

        বেরিয়ে এলাম সবাই। কী করা যায় ?

        দুপুরে প্রতিদিনই আমরা অফিসের ক্যান্টিনে, সবাই একটু ডাল ভাত খাই। সেদিন, ক্যান্টিনে বড়কর্তার খাওয়ার ব্যবস্থা করতে বারণ করে দিলাম। বড়কর্তার জন্য হোটেল থেকেই আনালাম একটি নয়নশোভন থালি।

        দুপুরে লাঞ্চ ব্রেকে, ক্যান্টিন বয় সেই থালি নিয়ে চেম্বারে ঢুকছে, পিছন পিছন, আমরা।

        থালি দেখেই, বড়কর্তার বিস্তীর্ণ হাসি, মুখে, “Awesome, really I am proud to have you people as my colleague”।

        আমি আবার একটি প্লেটে করে, বড়কর্তার টেবিলে রাখলাম, একটি মিষ্টি পান।

        সেটি দেখে, বড়কর্তার উচ্ছ্বসিত বাণী, “No word is there to praise you”

        বিকেলের দিকটায় আমরা ক’জন আবার ঢুকলাম বড় কর্তার চেম্বারে। দেখি, মোশন হাই-বেক চেয়ারে প্রায় অর্দ্ধ শোয়া অবস্থায়, চোখ বুজে টেবিলে রাখা ল্যাপটপে চলতে থাকা, “কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা”র সাথে দুলকি চালে মাথা দোলাচ্ছেন।

        আমাদের দেখেই, সোজা হয়ে বসলেন, “আসুন ভাই, আসুন, বসুন, Any problem ? I stand by you”

        আমরা, ”স্যার, সকালে আপনার মন খারাপ দেখে ভালো লাগছিলো না আমাদের…”

        তিনি, “কী করবো ভাই ?” এই দেখুন, বলে, তাঁর বাঁ হাতটা দেখালেন,

        হাতের কিছু জায়গা ছড়ে গেছে।

        আমরা, “স্যার, ক্যামন কইরা হইলো ? টেট ভ্যাক নিছেন ?”

        তিনি, “আর বইলেন না ভাই, সকালে অফিসে আসবো, ঠিক ফ্ল্যাট থেকে বেরনোর আগে, আমার ক্রেডিট কার্ড নিয়ে টানাটানি, আঙ্গুলের নখ দিয়ে চিরে ও দিলো, আবার কার্ডটা ও নিয়ে নিলো।”

        “কে স্যার ?”

        “কে আবার ? আপনাদের সেই মহীয়সী নারী, উইমেন্স ডে তে অফিসে এনে, আপনারা যাঁকে সম্বর্ধনা দ্যান, তিনি, আপনাদের ম্যাডাম… যাক, কী করা যাবে ভাই, সংসারে এসব ঝামেলা হবেই, মন খারাপ কইরা লাভ নাই”

        বলেই, টেবিলে তবলা বাজানোর মতো করেই দু’হাতে তাল ঠুকছেন।

        কারণ, তখন ল্যাপটপে বাজতে শুরু করেছে, “পৌষ তোদের ডাক দিয়েছে…”

        সকালবেলা যে বৃষ্টি ঝরছিল, বিকেলে থেমে গেছে সে বৃষ্টি, দেখা দিয়েছে রামধনু।

        বড়কর্তার মন ভালো হয়ে গেছে।

        ২। মন খারাপ আমার।

        মন খারাপের কারণ ?

        কারণ, সেদিনই নতুন জুতো কিনে, পায়ে দিয়ে দুপুরে মন্দিরে গেছিলাম প্রণাম করতে। সিঁড়ির নীচে, জুতো ছেড়ে, প্রণাম করে এসে দেখি, জুতো অদৃশ্য…

        মন খারাপকে সাথে করে বয়ে নিয়েই, সন্ধ্যেবেলা গেছি এক পরিচিত বাড়ীতে।

        গিয়ে বসলাম, তাঁরা জিজ্ঞেস করলেন, “মনটা ভালো না মনে হইতাছে…”

        জুতো হারানোর কাহিনী বলা শুরু করবো, তাঁরা সামনে এনে রাখলেন এরকম একটি উপহার।

        মন খারাপের কাহিনী আর বলা হলো না।

        কর্পুরের মতোই উবে গেছে মন খারাপ। কামড়ে, কামড়ে এসে ধরা দিচ্ছে, কেবলই, মন ভালো লাগা।

        ৩। উল্টোরথের দিন বিকেলে ফোনে কারো সাথে কথা বলতে বলতেই, আমাদের বাড়ীতে মন খারাপ করেই এসে বসলেন, আত্মীয়সম এক ভদ্রলোক।

        বসে আছেন গম্ভীর মুখে, হঠাত করেই বেজে উঠে তাঁর মোবাইল, এর পরে তাঁর রাগতস্বরে কথোপকথন,

        “হ্যালো, আপনে আমার টাকা কবে ফিরত্‍ দিবেন ? আজকে এত মাস ধইরা আমারে ঘুরাইতাছেন, ভাবছেন কী ? ঘুঘু দেখছেন, ফাঁদ দেখেন নাই, কী করতে পারি আমি জানেন ?”

        তাঁর কথার মাঝেই, তাঁর সামনে এনে রাখা হলো, জিলিপির থালা, থালায় খান তিরিশেক জিলিপি।

        চলতে থাকা কথার মাঝেই, জিলিপির থালায় তাঁর চোখ পড়তেই দেখলাম, উচ্চগ্রামের কণ্ঠস্বর, মধ্যম নয় নিম্নগ্রামে বইছে। চলছে তাঁর কথা, মিষ্টি স্বরে,

        “বুঝি, বুঝি, সবারই সুবিধা, অসুবিধা আছে। যাক চাপ দিতাছি না, ওই চেষ্টা কইরেন টাকাটা দিয়া দেওয়ার, একবারে অসুবিধা হইলে, অল্প অল্প কইরা দিয়া দিয়েন আর কী, খারাপ পাইয়েন না, অনেক কিছু বইল্যা ফেলছি, মন খারাপ কইরেন না, ভাই আমার”

        তাঁর মন খারাপ, উবে গেছে।

        জুলজুল করে জিলিপির থালার দিকে তাকাচ্ছেন।

        শুধু, তাঁর নয়, আমাদের মন ও ভালো করে দেন তিনি।

        কেমন করে ?

        বলে উঠেন, “আরে সব্বনাশ, এতগুলি ? পারুম না, অসম্ভব। কমিয়ে দেন…”

        আমরা, “না, না, এই কয়টা আর এমন কী ? আর আপনে জিলিপি ভালো ও বাসেন, খান।”

        তিনি, ” না,না, তাইলে একটা জিলিপি অন্তত কমাইয়া দ্যান, একটা উঠাইযা নিয়া নেন, প্লিজ, বাকী সবগুলিই খামু”।

        সুতরাং, কোনো নিয়ম করেই মন খারাপ লাগাকে আটকানো যাবে না। মন খারাপ, হবেই।

        তবে, মন খারাপের কারণগুলিকে আঁকড়ে না ধরে, মন ভালো হয় এরকম ব্যাপারগুলিকে আঁকড়ে ধরলে, মন খারাপ পালিয়ে যাওয়ার কথা।

        আমি শুধু মন ভালো করার কিছু কথাই বললাম।

        এছাড়াও আরো চোখের সামনে ঘুরে বেড়ায়, মন ভালো করে দেওয়ার মতো নানা ব্যাপার।

        আকাশে ঘুড়ি উড়তে দেখলে মন ভালো হয়ে যায়,

        রামধনু দেখলে মন ভালো হয়ে যায়,

        নিজের অর্ডার করা পছন্দের জিনিষটি ডেলিভারী দিতে যখন, রাস্তায় থেকেই ক্যুরিয়ার মেন অ্যাড্রেস কনফার্ম করার জন্য ফোন করেন, সেই ফোনে, মন ভালো হয়ে যায়,

        ডিসকাউন্টে প্লেনের টিকিট পেয়ে গেলে, মন ভালো হয়ে যায়,

        শপিংমলে ঘোরাঘুরি করতে গিয়ে, চোখে চোখ পড়লে, মন ভালো হয়ে যায়,

        ধন্যবাদ।

        • 77 views
        • 1 answers
        • 0 votes
      • Professor Asked on December 3, 2024 in অনুসরণ.

          এই যে এই কথাটা। একেবারে সহ্য করতে পারিনা আজকাল।এটার মত অন্তঃসারশূন্য কথা আর কিছু নেই।

          ছোট থেকে পাখিপড়ার মত করে এই বাক্যটি আমার মাথা থেকে শুরু করে মনের গভীরে প্রবেশ করিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সাথে আরেকটি ত্রাস যে অন্যের খারাপ করলে তোমারও ক্ষতি হবে। ব্যাস আর কি ? ওই ভালো হওয়ার, ভালো করার ভুত ঘাড়ে চেপে বসল। অত কিম? ঘোড়ার ডিম।

          আমি এতগুলো বছর ভালো মানুষ হওয়ার জন্য প্রাণপাত করে ফেলে উপাধি অর্জন করলাম “বোকা”। বন্ধুরা আরো আদর করে ডাকে “গাধা” বলে। তাঁদের বক্তব্য “তুই গাধার গাধাই রয়ে গেলি।তোর মাথায় সবাই কাঁঠাল ভেঙে খায় আর তুই গাধা কাঁদতে থাকিস।” বিশ্বাস করুন একবর্ন এদিক ওদিক করে বলছি না। এটাই বলে।

          আর আমার মাদার ইন্ডিয়া সারাজীবন যিনি “ভালো থেকো ভালো করো” বলে বলে মাথা খারাপ করে ফেলেছিলেন, আজ তাঁর বক্তব্য হলো – “আমিই তোকে ভুল শিখিয়েছি। তাই তুই এত কষ্ট পেলি। তাও অন্যের ক্ষতির কথা ভাবিস না। ঈশ্বর আছেন, বিচার করবেন।” ব্যাস আরকি!এবার ঈশ্বর ভরসা করে দিন কাটাই।

          আজকের যুগে ভালোমানুষের সমার্থক শব্দ হল বোকা, পাগল। অন্যের উপকার করার বদলে জুটবে অপবাদ, অপমান আর বেইমানি। তাই ইদানিং কেউ আমায় “ভালোত্ব” সংক্রান্ত উপদেশ দিতে এলে মেনে তো নিই না, উল্টে সুযোগ বুঝে পাল্টা দু’চারটে খারাপ কথা বলে নিজেকে শান্তি দিই। ভালোমানুষ হয়ে আর কাজ নেই।কিন্তু “স্বভাব যায় না মলে”! তাই এখনো কেউ বিপদে পড়ে সাহায্য চাইলে না বলতে পারিনা, সেই আগের মত একই রকম ঝাঁপ দিয়ে পড়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করি (ভালোমানুষের ভুতটা নামেনি এখনো)। শুধু মুচকি হেসে বলে দিই যে আমি জানি উদ্ধার পেলেই কি শুনতে হবে আমায়। বিপদগ্রস্থ বন্ধু তখন যতই বলুক — “না না আমি অন্যের মত নই, আমি ওরকম করবনা”, ততই আমার বিশ্বাস দৃঢ় হয়ে যায়। এবং যেদিন তাঁর হ্যাঁ তে না, আর না তে হ্যাঁ বলতে শুরু করি সেদিন সেই পরম আদরের বন্ধুটিই আমায় “পাগল, বোকা” আখ্যা দিয়ে বাতিলের দলে ফেলে দেয়। কারণ তখন তাঁর সব প্রয়োজন শেষ। আগে খুব কাঁদতাম, এখন আর কাঁদিনা বেশি। আগেই ভবিষ্যৎ জেনেও যখন নিজেকে সামলাইনি, তখন দোষ অতি অবশ্যই আমার। এই ঘটনা বারবার ঘটেছে, ঘটছে এবং ঘটবে। কারণ আমি বোধহয় এই জীবনে খারাপ হব না।

          আজকাল তাই এই উপদেশ শুধুই রাগের সঞ্চার করে। Atmaja আবার একটু বেশি কড়া কথা বলে ফেললাম গো । কিছু মনে করোনা। সত্যিই দুঃখিত।

          • 72 views
          • 1 answers
          • 0 votes
        • Professor Asked on December 3, 2024 in অনুসরণ.

            প্রথম কৌশল হলো, মাথা যে গরম হতে পারে এটা মাথায় না রাখা। সব পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রাখা আসলে উচিত না। যখন আপনার কাউকে বোঝানো দরকার যে আপনি তার উপর রেগে আছেন কারন সে এমন কিছু করেছে যাতে আপনার রাগ হওয়া উচিত তখন কিন্তু খানিকটা রাগ আপনাকে দেখাতেই হবে। আপনার রাগ দেখানোটা যুক্তিযুক্ত কিনা তা নিরপেক্ষ হয়ে আগে বিবেচনা করুন।

            ধুম করে রাগ হওয়াটা খুব খারাপ অভ্যাস। কাছের মানুষগুলোও আস্তে আস্তে দুরে চলে যায়। তারা কিন্তু দুরে যেতে চায়না তারপরেও বাধ্য হয়। হয়তো একই বাড়িতেই বাস করে একই ছাদের নিচে তবুও তাদের অন্তরে থাকে এক জীবনের ব্যবধান।

            এবার কাজের কথা বলি, ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করতে পারা এবং সব রকম পরিস্থিতি সামলে নেয়াটা একটা বিশেষ গুন। এটা এমন একটি গুন যা চেষ্টা করে অর্জন করা যায়। আমরা কি কারো কাছে ছোট হতে চাই কখনো? চাইনা। যেকোনো অবস্থায় আপনি প্রথমেই চিন্তা করবেন, এখন আমার কি করা উচিত। ধরে নিন আপনি ঠিক এমন অবস্থায় পরলেন…

            আপনি লকডাউনের মধ্যে ঘরে আটকে আছেন। অনেক কাজ জমে আছে, সেগুলো কবে শেষ করবেন, কতোদিন এভাবে চলবে, বাসার মানুষগুলো এমন কেন করছে, ছোট ভাইবোন দুটো এতো কেন বিরক্ত করছে। সব মিলিয়ে আপনি এমনিতেই যথেষ্ট বিরক্ত তার উপর আপনার ছোট বোনটা আপনার সাথে খুব বাজে ভাবে বেয়াদবি করে বসলো। আপনার ইচ্ছে করলো একটা চড় মেরে সবগুলো দাঁত ফেলে দিতে। কিন্তু আপনাকে কয়েকটি দিক ভাবতে হবে…

            ১. আপনি কোষে তাকে একটা চড় মারতে পারেন।

            ২. আপনি হেসে ফেলতে পারেন, তাহলে হয়তো উদারতা দেখানো হবে।

            ৩. আপনি আপনার মাকে গিয়ে বিচার দিতে পারেন। শাসন যা করার মা-ই করুন।

            ৪. আপনি তাকে বলতে পারেন ” আমরা পরে কথা বলি, এখন সঠিক সময় না।”

            এখন আপনি ভেবে দেখবেন এই ৪টির মধ্যে কোন পদ্ধতিটা ভালো। আর আমি সাহায্য করছি এটা জানিয়ে যে কোনটি কেমন হবে।

            ১. আপনি যদি এখন চড় মারেন তাহলে আপনার বোন আরো বাজে আচরণ দিয়ে আপনাকে অসম্মান করতে পারে, কারন মেয়েটার আজকে কেন যেন মন বা মেজাজটা ভালো নেই। তাই এটা বাদ দেয়া খুবই জরুরী।

            ২. হেসে ফেলবেন তো সর্বনাশ। আপনার বোন আহ্লাদী স্বভাবের না হলেও আপনার হাসিতে প্রশ্রয় পেয়ে এই মেজাজ প্রতিদিন দেখাবে এবং তখন মহা সর্বনাশ।

            ৩. মা কে বিচার দিলেতো আপনিও ছোটবোনের বয়সে নেমে গেলেন। বড় ভাই হিসেবে নিজের জায়গাটা তো ঠিক রাখতে হবে।

            ৪.এটা উত্তম। আপনি যখন বলবেন ” আমরা পরে কথা বলি” তখন আপনার বোন আর কিছু বলার সাহস পাবেনা এবং সে কিছুটা লজ্জা এবং সংকোচবোধ করবে। তাছাড়া আপনারা দু’জনই মাথা ঠান্ডা রেখে চিন্তা করার সময় পাবেন। এতে আপনার বোন অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমা চাইতে আসবে আর আপনিও “আর যেন এমন না হয়” বলে ক্ষমা করে দেবেন।

            আসলে কে কিভাবে পরিস্থিতি সামলাবে তা নির্ভর করে তার ব্যাক্তিত্বের ধরন কেমন তার উপর। সারাজীবন ধরে প্রতি মুহূর্তে এতোশত পরিস্থিতির মুখোমুখি হবেন তা কিন্তু আপনাকেই সামলাতে হবে। একটি উদাহরণ দিলাম কিছুটা হয়তো বোঝাতে পারবো সেই আশায় ☺

            • 95 views
            • 1 answers
            • 0 votes
          • Professor Asked on December 3, 2024 in অনুসরণ.

              এই অভিজ্ঞতাটি আমার হয়েছে একটি ঘটনায়।

              পেশাগত ক্ষেত্রে পরিচিতির সুবাদে, আমার পরিচিত এক ব্যবসায়ীর বাড়ীতে, আমাদের দু’তিনদিন জন সহকর্মীর খাওয়ার নেমন্তন্ন ছিলো।

              ব্যবসায়ী হিসেবে তিনি সফল। অর্থের প্রাচুর্য, শিক্ষার আলো, সবদিক দিয়েই তিনি সফল। রাজপ্রাসাদসম বাড়ী, বিদেশী বহুমূল্যের একাধিক গাড়ীর মালিক। নিজের ছেলে মেয়েকে ব্যবসায় আসতে দেন নাই, বিদেশে শ্রেষ্ঠমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করিয়ে, তাঁদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং ছেলেমেয়েরা ও তাঁদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন।

              অর্থ, শিক্ষা,সামাজিক যশ, প্রতিপত্তি, পারিবারিক শান্তি সবদিক দিয়েই, সেই ব্যবসায়ী শুধু সফল নয়, চুড়ান্তভাবে সফল। তাঁর কথায়, তিনি জীবনে যা চেয়েছেন, তাই পেয়েছেন, অপ্রাপ্তি শব্দটি তাঁর জীবনে স্থান করে নিতে, সক্ষম হয় নি।

              যখন আমরা, তাঁর ডাইনিং রুমে খেতে বসেছি, তিনি ও আমাদের সাথে বসেছেন। আমাদের খাবার সার্ভ করা হলো। তিনি বসে আছেন, আমাদের পাশে।

              যখন, আমরা তাঁকে ও আমাদের সাথে খেতে বললাম, তখন, তাঁর স্ত্রী জানলেন, তাঁর (অর্থাত্‍ তাঁর স্বামীর) নানারকম খাবারের প্রতি বরাবরই খুবই আকর্ষণ ছিলো, কিনতু, তিনি যতদিন বেঁচে থাকবেন, কোনোদিনই আর এসব খেতে পারবেন বলে সম্ভাবনা নেই, কারণ তাঁর গলায় বাসা বেঁধেছে, মারণব্যাধি অর্থাত্‍, ক্যান্সার। যতদিন বেঁচে থাকবেন, চিকিত্‍সকের নির্দেশ মতো, শুধু নির্দিষ্ট কিছু তরল পানীয়, তিনি খেতে পারবেন।

              অশিক্ষিত, নির্ধন হয়ে ও যদি কেউ, নীরোগ দেহে জীবনযাপন করতে সক্ষম হন, জীবনের রঙ তাঁর কাছে ধূসর হয়ে উঠে না।

              স্বাস্থ্য বা দৈহিক সুস্থতা যদি না থাকে, মনের উপর সেটার নেতিবাচক প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে,

              জীবনের নানা সম্পদ বা শ্রেষ্ঠ সম্পদ ও অর্থহীন বলে, মনে হতে পারে।

              ধন্যবাদ।

              • 68 views
              • 1 answers
              • 0 votes
            • Professor Asked on December 3, 2024 in অনুসরণ.

                পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট গল্পটি হলো মাত্র ছয়টি শব্দে লেখা। এটাকে আজও সাহিত্য জগতে বিস্ময় হিসেবে দেখা হয়। সেই গল্পটি হলো:

                ‘For sale : baby shoes, never worn.’

                বাংলা অর্থ হলো:

                ‘বিক্রি হবে : শিশুদের জুতো, যা কখনো পরা হয়নি।’

                অনেকে মনে করেন, এই গল্পটি বিখ্যাত মার্কিন লেখক আর্নেস্ট হেমিংওয়ে লিখেছিলেন।

                বলা হয়, একদিন হেমিংওয়ে তার বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন যে তিনি মাত্র ছয়টি শব্দে একটি পূর্ণাঙ্গ গল্প লিখতে পারবেন। তখনই নাকি তিনি এই লাইনটি লিখেছিলেন। যদিও এর সত্যতা নিয়ে কিছুটা বিতর্ক আছে, এটি সাহিত্যের দুনিয়ায় অন্যতম কিংবদন্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

                এই ছয়টি শব্দের গল্পটি খুবই সংক্ষিপ্ত, কিন্তু এর মধ্যে এক গভীর শোক ও দুঃখ লুকিয়ে আছে।

                শিশুর জন্য কেনা জুতো কখনো পরা হয়নি। এর মানে কী?

                এ প্রশ্নের উত্তর কিন্তু একটা নয়, বেশ কয়েকটি হতে পারে। হতে পারে অনাগত শিশুর জন্য জুতা কেনা হয়েছিল। সেই শিশু হয়তো জন্মায়নি, হয়তো মিসকারেজ হয়েছিল।

                কিংবা জন্মের আগেই শিশুটা মারা গিয়েছে। কিংবা জন্মানোর পর বেশিক্ষণ বাঁচেনি শিশুটা। এই গল্পে সেই শিশুটির ব্যথিত বাবা দুঃখে-শোকে সন্তানের জুতা বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছে। গল্পটি পাঠকদের কল্পনায় একটি দুঃখজনক ঘটনা তুলে ধরে, যেখানে আশা এবং স্বপ্নের ভাঙন ঘটে।

                এই ছোটগল্পটি এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? কারণ, ছোট গল্পটি দেখিয়েছে কিভাবে খুব অল্প শব্দে বিশাল একটি অনুভূতি প্রকাশ করা যায়।

                গল্পটি অনেক সাহিত্যপ্রেমীকে অনুপ্রাণিত করেছে সংক্ষিপ্তভাবে গভীর ভাবনা প্রকাশ করতে। এমনকি আধুনিক অণুগল্প বা মাইক্রো-ফিকশনের জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।

                এই গল্পটি প্রমাণ করেছে, পাতার পর পাতা না লিখেও ছোট্ট কথায় অনেক বড় কিছু বলা যায়। এটি সংক্ষিপ্ত এবং সহজ, কিন্তু এর মধ্যে লুকিয়ে থাকা আবেগ এবং মানবিক অনুভূতি অসাধারণ। যারা অণুগল্প লিখতে চান, তারা এই গল্পটি থেকে শিক্ষা নিতে পারেন।

                ছোট হলেও, এই গল্পটি প্রমাণ করে, সঠিক শব্দ বেছে নিলে সংক্ষিপ্ততার মধ্যেই বিশাল গল্প বলা সম্ভব।

                • 109 views
                • 1 answers
                • 0 votes
              • Professor Asked on December 1, 2024 in অনুসরণ.

                  ____এখানে বলতে হবে তো ভাই, আত্মবিশ্বাস আপনি কিসের উপর বাড়াতে চাচ্ছেন, মনের মধ্যে কোন জিনিসটার উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে চাচ্ছেন, এটা বলতে হবে তাহলেই আপনার উত্তর দিতে সুবিধা হবে,

                  • 75 views
                  • 1 answers
                  • 0 votes
                • Professor Asked on December 1, 2024 in অনুসরণ.

                    পৃথিবীতে মানুষ সব জিনিসই চায়। শুধু একটা জিনিস চাই না তার নাম হচ্ছে মৃত্যু। যে মানুষ দেখবেন অতিরিক্ত আশা করে তার ভিতরে মৃত্যুর শরণাপন্ন থাকেনা। তাই অতিরিক্ত আশা করে। সে রক্তে মাংস গড় মানুষ দেখা গেলেও মানুষ নন। প্রকৃতভাবে যে মানুষ সে কখনো অতিরিক্ত আশা করতে পারেনা। রিজিকের ফয়সালা একমাত্র আল্লাহ পাকের। আল্লাহ পাক যাকে যে অবস্থায় রাখুক না কেন শুকরিয়া আদায় করা একান্ত প্রয়োজন।

                    • 58 views
                    • 1 answers
                    • 0 votes
                  • Professor Asked on December 1, 2024 in অনুসরণ.

                      মানসিক চাপ কমানোর জন্য কিছু কার্যকর পদ্ধতি নিচে উল্লেখ করা হলো:

                      ১. শারীরিক অনুশীলন

                      প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০ মিনিট হালকা বা মাঝারি ধরনের ব্যায়াম করুন। এটি শরীরে এন্ডোরফিন উৎপন্ন করে যা মেজাজ উন্নত করে।

                      ২. শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন

                      ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন এবং ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এটি মনকে শান্ত রাখে এবং চাপ কমায়।

                      প্রয়োজনে মেডিটেশন বা যোগব্যায়ামের সাহায্য নিন।

                      ৩. সময় ব্যবস্থাপনা

                      কাজগুলোকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভাগ করুন। চাপের মূল কারণ যদি কাজের অতিরিক্ত চাপ হয়, তবে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এটি কমানো সম্ভব।

                      ৪. মানসিক সহায়তা গ্রহণ

                      আপনার অনুভূতিগুলো পরিবার বা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করুন। প্রয়োজনে কাউন্সেলরের সাহায্য নিন।

                      ৫. পর্যাপ্ত ঘুম

                      প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত ঘুম মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়।

                      ৬. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

                      পুষ্টিকর খাবার খান। ভাজাপোড়া বা ক্যাফেইন জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

                      বেশি পানি পান করুন এবং ফলমূল ও শাকসবজি খান।

                      ৭. নিজেকে সময় দিন

                      নিজের জন্য কিছু সময় বের করুন। কোনো শখ (যেমন বই পড়া, গান শোনা, ছবি আঁকা) চর্চা করুন।

                      ৮. প্রকৃতির সান্নিধ্যে যান

                      নিয়মিত প্রকৃতির কাছে যান। এটি আপনার মানসিক শান্তি এনে দিতে পারে।

                      ৯. ইতিবাচক চিন্তা

                      নেতিবাচক চিন্তা পরিহার করে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করুন। প্রয়োজনে আত্মউন্নয়নের বই পড়তে পারেন।

                      ১০. ডিজিটাল ডিটক্স

                      কিছু সময়ের জন্য মোবাইল, ইন্টারনেট, বা সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরে থাকুন। এটি মনকে আরাম দেয়।

                      আপনার পছন্দমতো যেকোনো পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন এবং প্রয়োজনে একাধিক পদ্ধতি একসঙ্গে চর্চা করুন।

                      • 89 views
                      • 1 answers
                      • 0 votes
                    • Professor Asked on December 1, 2024 in অনুসরণ.

                        ধন্যবাদ এতো সুন্দর প্রশ্নের জন্য।

                        একটা সময় জীবনে যে কোন উদ্দেশ্য থাকে, সেটাই বুঝতাম না। তখন ভাবতাম এই তো বেশ আছি। পরে বাবা আমাকে বোঝাল, আমাকে কিছু একটা করতে হবে।

                        তখন ঠিক করলাম আমি অঙ্গনারীর দিদি মনি হব।সেটা ভেবেই বেশ খুশি ছিলাম। পরে আমার স্বামী আমাকে আরো স্বপ্ন দেখাতে লাগল, বি সি এস অফিসার হতে হবে, এটা হতে হবে, সেটা হতে হবে। তাঁর পরামর্শ মতো ভর্তি হলাম কোলকাতায় নাম করা একটি প্রতিষ্ঠানে।তখন ও পর্য্যন্ত আমি জানি না, আমি কি চাই।

                        সে এক বিশ্রী অবস্থা আমার, আমার পড়ার বই, মানে পাঠ্য বই পড়তে ভালো লাগত না।আমি হাঁপিয়ে উঠেছিলাম, সেটা আমার স্বামী বুঝতে পারছিল, তখন ও আমাদের বিয়ে হয় নি। কিন্তু ও আমার মনের কথা খুব ভালো বোঝে ।যাইহোক, পরে আমার স্বামী আমাকে একটা ডাইরি এবং পেন হাতে ধরিয়ে দিল, বলল ,এখানে যা পারো তাই লেখো।

                        আমি যেহেতু বাংলা নিয়ে পড়াশোনা করেছি, তাই একটু গল্পের প্রতি ঝোঁক ছিল, তারপর প্রথমে আবোল তাবোল, এটা সেটা লিখতাম।কিন্তু খাতা পেন আর ছাড়ি নি।এভাবেই বছর খানিক কাঁটার পর আমি ছোট গল্প লিখিতে শুরু করলাম।আমার বর্তমানে ইচ্ছা অনেক কিছু করার, তার মধ্যে অন্যতম হলো-

                        1.আমি লেখা টা কে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

                        2.আমি মানুষ কে মোটিভেট করতে চাই। আমি মানুষের মনের অন্ধকার দূর করতে সাহায্য করবো।

                        3.আমি প্রচুর বই পড়তে চাই।আমার ইচ্ছা, আমি মরার আগের দিন পর্যন্ত বই, খাতা, কলম হাতে রাখব।

                        4.আমি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই ।অনেক মানুষের সেবা করতে চাই।

                        5.আমি জীবনে প্রচুর অর্থ উপার্জন করব,এবং সেই অর্থের বেশি ভাগ ই পিছিয়ে পড়া ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা র কাজে লাগাব।

                        6.আমি গ্রামের পিছিয়ে পড়া ,অত্যাচারিত মেয়েদের পাশে দাঁড়াতে চাই। তাঁদের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখাতে চাই।

                        7.আমি একটি অনাথ আশ্রম তৈরি করতে চাই। আমি মা হারা শিশুদের মা হয়ে উঠতে চাই।

                        8.আমি নিজের এমন একটা পরিচয় তৈরি করতে চাই, যেটা দেখে আমার বাবা মা আমাকে নিয়ে অনন্ত একটা দিন গর্ভ বোধ করতে পারবে।

                        আমার জীবনে এমন পঁচিশ টা উদ্দেশ্য আছে। এগুলো আমি প্রতিদিন সকালে উঠে এবং রাতে শোয়ার আগে পড়ে ঘুমায়। আমি নিজের প্রতি সম্পন্ন আস্তা রাখি। আমি বিশ্বাস করি আমি সব কাজ গুলো সুসম্পন্ন করতে পারবো।

                        ধন্যবাদ

                        • 91 views
                        • 1 answers
                        • 0 votes