10773
Points
Questions
23
Answers
5384
ধন্যবাদ আপনাকে প্রশ্ন করার জন্য।
আমরা প্রত্যেকেই চাই শান্তি তে থাকতে। আমাদের মন শান্তির প্রতীক। কোন মন ই আশান্তি, দুঃখ, রাগ, গন্ডগোল পছন্দ করে না।
কিন্তু মনে শান্তি আনতে গেলে আগে বুঝতে হবে, কিসে শান্তি আসে। আপনার ভালো থাকা, মন ভালো রাখা, শান্তির সহিত বসবাস করা এই পুরো টাই নির্ভর করে আপনার নিজের উপরে।
আমরা মনে শান্তি আনার জন্য বাইরের মানুষের কাছে শরণাপন্ন সই, আমরা ভাবি পরিবার, বন্ধু, বান্ধব, আত্মীয় স্বজন সবাই কে যদি ভালো রাখতে পারি বা খুশি দিতে পারি তাহলে আমি ভালো থাকব। সেই মতো আমরা প্রাণপণ চেষ্টা করি সবার মন জুগিয়ে চলার, সবাই কে ভালো রাখার। এর জন্য আমরা অনেক কিছু জীবন থেকে ত্যাগ ও করি।
কিন্তু সত্যি কথা বলতে, এভাবে কখনোই ভালো থাকা যাবে না বা মনে শান্তি আসবে না। কারণ আপনি কিছু পাওয়ার আশায় মানে, সে মনের শান্তি হোক কিংবা নামযস যাইহোক সেটা পাওয়ার জন্য এতো কিছু করছেন, এমনকি নিজেকে পর্যন্ত অনেক কিছুর থেকে বঞ্চিত করেছেন, এতে করে সবার কাছে আমাদের প্রত্যাশা তখন প্রচুর বেড়ে যায় ।
এটা গ্যারান্টির সঙ্গে বলা যায়, আপনার বা আমাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হবে না। ঠিক এই সময়ই আমাদের মনের শান্তি উধাও হয়ে যায়, কারণ আপনার চাহিদা মতো সবাই আপনার গুণকীর্তন করছে না তাই।
তার মানে কি এই , যে কারওর জন্য কিছু করব না, কাউকে ভালোবাসব না!!!
না, সেটা তো কখনো হতেই পারে না। কারণ পরিবারের সবাই ভালো না থাকলে নিজে ভালো থাকা যায় না।
এবার আপনি দ্বন্দ্বে পড়ে গেলেন যে আমি আসলে বলতে কি চাইছি।
আমি এটাই বলতে চাইছি যে, অন্য কে ভালোবাসুন, শ্রদ্ধা করুন, স্নেহ করুন, আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী সবার পাশে দাঁড়ান কিন্তু এ সবের বিনিময়ে কারওর কাছে কিছু আশা করা যাবে না।
আমার নিজের ভালো রাখার দায় আমার নিজের। আমার মনে শান্তি আনার দায় অন্য কারো নয়। এখানে আমি কাউকে এমন স্বাধীনতা দেব না যে সে তাঁর ইচ্ছা মতো যখন খুশি আমাকে হাসাবে আবার তাঁর ইচ্ছা না হলে বা তাঁর মন ভালো না থাকলে আমাকে কাঁদাবে।
আমি হাসব কি কাঁদব সে স্বাধীনতা সম্পূর্ণরূপে আমার।
এবার প্রশ্ন হল নিজের মন কে কিভাবে সব সময় শান্তি তে রাখা যায়?
1.ভালোবাসুন:
নিজেকে খুব ভালোবাসুন, নিজের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করুন। সকালে ঘুম থেকে ওঠে নিজের মুখে হাত দিন, নিজের নাক, চোখ, মুখ সব কিছু কে আদর করুন।
নিজেকে এই পৃথিবীর সেরা সুন্দর ভাবুন। নিজেকে মূল্যবান ভাবুন, এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে।
সঙ্গে পরিবারের সবাই কে মন থেকে ভালোবাসুন, এটা আশা করা যাবে না যে, আমি সবাই কে ভালোবাসি তাই সবাই আমাকেও একি রকম ভালোবাসবে।
আমি শুধু মনে রাখব, আমি সবাই কে ভালোবাসি কারণ, এতে আমার মন শান্তি তে থাকে তাই। আমি আমার প্রয়োজনে সবাই কে ভালোবাসি।
2.চাহিদা কমান:
আমরা কাজ কম করি, নিজের কাছে বা অপরের কাছে চাহিদা বেশি রাখি।
আমাদের চাহিদা দিনকে দিন বাড়তে থাকে, কিন্তু আপনি যখন কাজ কে বেশি গুরুত্ব দেবেন তখন চাহিদা কমে যাবে।
লাগাম ছাড়া চাহিদা মনের শান্তি নষ্ট করে। আমাদের চাহিদা তখনই বাড়ে যখন আমরা অন্যের সঙ্গে নিজের তুলনা করি।
অমুক দামি বাইক কিনেছে আমাকেও কিনতে হবে, অমুক দামি বাড়ি করেছে আমি কেন পারলাম না।
এমন ভাবনা ভাবতে থাকলে আমরা কখনোই সামনে এগিয়ে যেতে পারব না বরং আরও পিছিয়ে পড়ব । কারণ ওমন করলে মনে শান্তি থাকে না। তাই এটা বন্ধ করতে হবে।
3. সব সময় মন পবিত্র রাখুন:
আমরা একমাত্র নিজেরাই জানি, আমি ভালো কি খারাপ। নিজের সঙ্গে মিথ্যা কথা বলবেন না। অনেকেই আছে নিজের স্বরূপ সবার সামনে যেটা দেখায় আদতে সে তা নয়। এটা খুব ভয়ঙ্কর একটি ব্যাপার। দিনের পর দিন এমন করতে থাকলে মনের অজান্তেই মনে আত্মগিলানী প্রবেশ করবে। তখন আর কখনোই মনে শান্তি পাওয়া যাবে না।
কারো সমালোচনা করা যাবে না, হিংসা করা যাবে না, মনের মধ্যে অহঙ্কার আনা যাবে না। এ সব গুলোই মনের শান্তি হরণ করে।
আমরা ইচ্ছা করলে সব সময় হাসি খুশি এবং শান্তি তে থাকতে পারি। এবং আমরা প্রত্যেকেই জানি এগুলো যদি সঠিক নিয়মে পালন করি তাহলে আমি অবশ্যই ভালো থাকতে পারব। কিন্তু আমরা জানি সব মানি না কিছুই।
4.জ্ঞান মূলক বই পড়ুন:
জ্ঞান সঞ্চয় করুন প্রতি দিন। একদিন খাদ্য না খেলে আমাদের শরীর ও দুর্বল হয়ে পড়ে।।
ঠিক তেমনি জ্ঞান না সঞ্চয় করলে মনে সুন্দর ভাবনা প্রবেশ করবে না আর মন পবিত্র ও হবে না।
মনের শান্তি চাইলে নিজেকে সময় দিন, নিজেকে উন্নত করুন, বাইরের কোলাহল থেকে নিজেকে বার করুন। প্রচুর বই পড়ুন।
মোট কথা নিজের মনে চার্চ দিন, যেমনটি প্রতি দিন সকালে মোবাইল এ দেন ঠিক তেমন।
5. মন খুলে হাসুন:
মনের সমস্ত জড়তা দূর করে এই পৃথিবী কে উপভোগ করুন, এখানে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া যাবে না, আমি ভালো থাকব আমি ভালো আছি এই বার্তা প্রেরণ করুন নিজের কাছে।
এবং কাজের ফাঁকে ফাঁকে হাসির কমেডি মুভি দেখুন আর হা হা করে হাসুন। আমি তো তাই করি।
আমি ছোট্ট ছোট্ট পাওয়া তেই খুশি হই, এবং হাসতে ভালোবাসি।
- 79 views
- 1 answers
- 0 votes
জীবন পাল্টানোর অনেক… অনেক, “উপদেশ” আছে। কিন্তু, তাতে করে জীবন পাল্টানোর কিছু সমাধান মিলবে …!!?? আমার তো মনে হয়…. মিলবে না!!।
তার কারণ, আমরা আমাদের জীবনে যে ভুলগুলো করি তার জন্য জীবন পাল্টানোর কোন “উপায়” নেই।
যতদূর… আপনার পরিবারের গল্প শুনবেন, এই তিনটি ভুল আপনার ঠাকুরদাদা করেছেন, বাবা করেছেন, তাদের দেখা দেখি বর্তমানে আপনিও করছেন।
তো কি করে.. “জীবন টা পাল্টাবে” বলুন না..?
এই তিনটি ভুল আপনাদের জানাচ্ছি, চেষ্টা করে দেখুন শোধরাতে পারেন কি না ।
আমার তো মনে হয়, এই ভুলগুলো জানার পরেও শোধরাতে পারবেন না… অতএব, জীবনটাকে পরিবর্তন করা কঠিন …!!
তবে কি বলুন তো… জীবনকে পরিবর্তন না করতে পারলেও… “এরা ভালো আছে, ভালো থাকবে”।….
- 88 views
- 1 answers
- 0 votes
হিংসা,হল অন্যের ভালো দেখলে খারাপ লাগা।আপনার বন্ধু,ভাই-বোন,আত্মীয়-স্বজন,প্রতিবেশী যাদের সাথে আপনি চলাফেরা করেন তাদের ভাল দেখলে,উন্নতি দেখলে আপনার যদি খারাপ লাগে,তাহলে বুঝবেন যে আপনার হিংসে আছে।
হিংসা একটা কবিরা (বড়)গুনা, পৃথিবীর বুকে এমন মানুষ খুব কমই হবে যার হিংসে নেই,কম-বেশি হিংসা সবার মধ্যে থাকে।আফসোস,আমরা হিংসাকে অপরাধ মনে করিনা যদিও কোরআন পড়লে আমরা জানতে পারি,যে সৃষ্টিজগতের প্রথম গুনাহ ছিল হিংসা।ইবলিশ,আদম(আ:)এর সম্মান দেখে হিংসার বশে তাকে সেজদা করে নাই,যদিও সে জানতো যে তার ক্ষমতা,জ্ঞান,দক্ষতা মানুষের চেয়ে অনেক বেশি,তাও সে আল্লাহর নাফরমানি করেছিল।
হিংসা করার কুফল গুলো হ’ল-
১)আমাদের সমাজে যারা ব্যভিচার,যেনা,মদ খাওয়া এসবের মতো হারাম কাজে লিপ্ত থাকে তাদেরকে জাহান্নামে নিয়ে যাওয়া শয়তানের জন্য একদম সহজ।কিন্তু আমাদের মধ্যে যারা আল্লাহর খাঁটি বান্দা যে,নামাজ,রোজা সবই রাখে,দাড়ি রাখে,সুন্নত মানে তাদেরকে শয়তান কিভাবে জাহান্নামে নিয়ে যাবে? তাদের জন্য শয়তান হিংসা কে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করে। রাসুলুল্লাহ(স:) বলেছেন-
তোমরা অবশ্যই হিংসা পরিহার করবে।কারণ,আগুন যেভাবে কাঠকে বা ঘাসকে খেয়ে ফেলে তেমনি হিংসাও মানুষের নেক আমল কে খেয়ে ফেলে।(সুনানে আবু দাউদ:৪৯০৩)
হিংসে অনেকটা ছাই এর স্তুপ মতো,এই ছাই এর স্তুপ দেখতে অনেক বড় মনে হয় কিন্তু হালকা বাতাস আসতেই তা বিলীন হয়ে যায়,আপনি সারা জীবন অনেক কষ্ট করে ভালো আমল করলেন,কিন্তু হিংসে আপনার আমলকে পুড়িয়ে ছাই বানিয়ে দিল,এবং যখন আপনি আপনার আল্লাহর সামনে দাঁড়ালেন সে আর কোন কাজেই আসলো না,তাইতো রাসুল (স:) হিংসে করতে বারণ করেছেন।
২)হিংসুক হিংসে করে কোনদিনও কারো ক্ষতি করতে পারবে না,সে হিংসে করে অকারনে দিন-রাত দুশ্চিন্তা করে,তার অন্তর জ্বলে-পুড়ে শেষ হয়ে যায়, সে তার কোন কিছুতে সন্তুষ্ট হয় না, এভাবেই সে তার দুনিয়া এবং আখিরাত দুটোই নষ্ট করে ফেলে।
একবার যখন আপনি আপনার হিংসে করা প্রবৃত্তিকে চিনে ফেলবেন,তারপর এর প্রতিকার অত্যন্ত সহজ-
১)একটা কথা মনে রাখবেন,আল্লাহ যার জন্য যা ভালো মনে করেন তাকে তাই দেন,ব্যবসায় একজনের লাভ আপনার চেয়ে বেশি হ’ল,অথবা অন্য কোন ভাবে সে আপনার চেয়ে এগিয়ে গে’ল,তা কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছেতেই হয়েছে। যখন আপনি হিংসা করেন তখন আপনি আল্লাহর ফয়সালা কে একপ্রকার অস্বীকার করেন,অর্থাৎ কুফরী করেন যা অত্যন্ত জঘন্য কাজ।
২)আপনি হিংসে করার পরিবর্তে আল্লাহর কাছে এভাবে দোয়া করতে পারেন যে,-“আল্লাহ তুমি তাকে দিয়েছো তোমার ভান্ডারে তো কোন কমতি নেই, ইয়া আল্লাহ তাকে যেমন দিয়েছো আমাকেও দাও” এটাকে ঈর্ষা(Envy) বলে যা হিংসার(Jealousy)মত নিন্দনীয় নয়।
৩)উপরোক্ত দুটি করার পরেও যদি কাজ না হয় তাহলে,এবার আপনি আপনার নফসের/মনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মুখ থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া কবেন সে ব্যক্তির জন্য যে আল্লাহ,“আপনি ওকে দিয়েছেন তার জন্য শুকরিয়া,আল্লাহ আপনি ওকে আরো দিন।”
- 85 views
- 1 answers
- 0 votes
- চেহারায় সবসময় একটা হাসি রাখবেন। দাঁত ফ্যাফ্যালিয়ে নয় স্বাভাবিক হাসি।
- যার সঙ্গে রসিকতা করছেন তার সাথে কথা বলার সময় Eye contact বজায় রাখুন।
- লজ্জা পাবেন না।
- নিজের রসিকতা সামনের মানুষের কাছে এমনভাবে পেশ করুন যেনো এটা আপনার কাছে একেবারেই নগন্য একটা বিষয়।
- বিভিন্ন বিষয়/ঘটনাকে সিরিয়াসলি না নিয়ে মজার ছলে বা খেলা হিসেবে নিতে পারেন।
- রসিকতা করলে আপনাকে কেউ সিরিয়াসলি নিবে না এটা স্বাভাবিক। তাই বলে আপনার মনমরা হয়ে বসে থাকার কোনো কারণ নেই।
- স্রোতের বিপরীতে কথা বলুন। সুবিধামত জায়গায় সুবিধামত সময়ে। যেমনঃ ঈদের ছুটির পর স্কুলে গেলে সকলের প্রথম প্রশ্নই থাকে, ঈদ কেমন কাটল। ঠিক তেমনি, একজন ম্যাডাম এসে জিজ্ঞেস করলেন- তোমাদের ঈদ কেমন কাটল? সব্বাই যেখানে (ভালো) বলে চেঁচানি দিল, সেখানেই আমি বললাম (স্নায়বিক চাপে) কেটেছে ম্যাডাম।৷ 😑
- আরেকটা জিনিস যেটা রসিকতা করতে গিয়ে আবার গীবত করে ফেলিয়েন না। কারো অগোচরে তাকে নিয়ে রসিকতা করে অন্যকে খুশি রাখার কোনো অর্থ নেই।
- ধরুন,কোনো একটা ঘটনা যখন সবাইকে প্যারা দিচ্ছে এমন সময়ে যদি কিছু একটা বলতে পারেন বা আপনার হাসিহাসি মুখ নিয়ে ওদের সামনে দাঁড়াতে পারেন তবেই আপনি বুঝতে পারবেন রসিক মানুষ হওয়ার স্বার্থকতা।
It’s really tough to say, আমি একজন রসিক মানুষ। রসিকতা আমার রগে রগে বিদ্যমান।
কিন্তু আমাকে কেউ সিরিয়াসলি নেয় না এখন :/
এটা আমার অনেক বড় অর্জন 🙂
যেকোনো সময় উচিত কথাও বলে ফেলতে পারবেন,
কিন্তু, তারা চিন্তা করবে সে কি রসিকতা করলো নাকি অপমান? -_-
- 79 views
- 1 answers
- 0 votes
সাধারণত আমরা নিজেদের মনের প্রকৃত অবস্থা প্রকাশ করতে চাই না, আমাদের চারপাশের বিরাজমান মানুষজনের কারণে।
মানুষ কী বলবে, কী ভাববে, খারাপ ভাববে না তো! এই সেই হাবিজাবি চিন্তা চলে আসে মনের অবস্থা প্রকাশ করার আগেই।
সাধারণত যা হয়,
আপনার প্রেমে যদি বিচ্ছেদ হয়, বিচ্ছেদের সময়টা কাটাতে সবচাইতে বেশি প্রয়োজন হলো বন্ধু বা বন্ধুর মতো কেউ একজন।
কিন্তু, এই বিচ্ছেদ নিয়ে আপনার মনের কথা কাউকে শেয়ার করতে গেলে দেখবেন অনেকে পাত্তাই দিচ্ছে না, অনেকে অর্ধেকটা শুনার পর না বুঝে আপনাকে দোষারোপ করছে, অনেকে ত শুনতেই চায়না! আবার অনেকে শুনার পর, অন্যদের সাথে শেয়ার করে। যা একেবারেই মেনে নেওয়া যায়না।
আরেকটা হচ্ছে
আমাদের ব্যক্তিগত কোন সমস্যা, পারিবারিক কোন সমস্যা কারো সাথে শেয়ার করলে খুব কম মানুষ শান্তনা দিয়ে কথা বলে, কিংবা পাশে থাকে৷
বরং বেশিরভাগ মানুষ এই সমস্যা এবং দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে আমাদের ব্যবহার করার সুযোগ নিতে চায়।
আমার মেয়ে বন্ধুদের তথ্যমতে, মেয়েরা নিজেদের মনের প্রকৃত অবস্থা সাধারণত শেয়ার করতে চায়না।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যার সাথে শেয়ার করে, সে ঐ মেয়েটাকে অসহায় ভাবতে শুরু করে, একটু দুর্বল ভাবতে শুরু করে এবং একসময় দুর্বলতার সুযোগ নিতে চায়। সে ভার্সিটির বড় ভাই হোক, ক্লাসের কোন ছেলে হোক কিংবা আত্মীয় কেউ হোক। [ব্যতিক্রমও আছে]
একেবারেই বাস্তব কয়েকটি লাইন লিখে শেষ করছি…
আমি নিশ্চিত বলতে পারি, এখনো স্কুল কলেজে লাখ লাখ ছাত্রছাত্রী আছে, যারা ক্লাসে শিক্ষকের পড়ানো বিষয় বুঝে না।
কিন্তু স্যার যখন বলে ‘টপিক/বিষয় বুঝতে পারছো?’
তখন ক্লাসের প্রায় সবাই বলে জ্বি স্যার, হ্যাঁ স্যার!
কেন বলে?
বুঝতে পারছি না বা বুঝিনি বললে হয়তো স্যার গাধা বলবে, অথবা অপমানজনক এমন কিছু বলবে, যেন অন্য ছাত্ররা হেসে উঠে! সেই ভয় থেকে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী না বুঝেই হ্যাঁ/জ্বি বলে উঠে।
উল্লেখিত কোন একটা ঘটনার মধ্যে দিয়ে মানুষ যখন যায়, তখন অন্যান্য মানুষের প্রতি তাদের অনাস্থা তৈরি হয়।
আর অনাস্থা থেকে, অপমান থেকে, উপহাস থেকে, সুযোগ সন্ধানী মানুষের হাত থেকে বাঁচতে, আমরা সাধারণত নিজেদের মনের প্রকৃত অবস্থা প্রকাশ করতে চাইনা।
আমাদের দুঃখ কষ্ট, সমস্যা লুকিয়ে আমরা অভিনয় করতে থাকি।
আমরা ভাবি, অভিনয় করেই যখন সমাজে ভালো থাকা যায়, তাহলে অভিনয় করতে সমস্যা কী!!
সময় নিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ছবিসূত্রঃ গুগল সার্চ
- 98 views
- 1 answers
- 0 votes
ব্যবসা শুরু করার আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়—”কোন ব্যবসা সবচেয়ে লাভজনক?” লাভজনক ব্যবসা খুঁজে বের করার জন্য বাজারের প্রবণতা, প্রতিযোগিতা, আপনার দক্ষতা, পুঁজি, এবং ঝুঁকি নেওয়ার সক্ষমতার কথা ভাবতে হয়। যদিও এমন কোনো নির্দিষ্ট ব্যবসা নেই যা সবার জন্য সর্বোত্তম, তবে কিছু খাত রয়েছে যেগুলি বর্তমানে বেশ লাভজনক বলে মনে করা হচ্ছে। এই আর্টিকেলে আমরা কিছু লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করব, যা আপনি যদি শুরু করতে চান, তবে আপনার জন্য উপকারী হতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং অত্যন্ত লাভজনক একটি খাত। ইন্টারনেটের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে ব্যবসাগুলির জন্য অনলাইনে প্রচার ও বিপণন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়া, সিও (SEO), কনটেন্ট মার্কেটিং, গুগল অ্যাডস, এবং ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসা বৃদ্ধি করা সম্ভব। যদি আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং বা গ্রাফিক ডিজাইনিংয়ের দক্ষতা থাকে, তবে এই খাতে খুব ভালো লাভ হতে পারে।
কেন লাভজনক?
- ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কম খরচে বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব।
- ছোট খুঁটি-নাটি উদ্যোগগুলির জন্যও এটি অত্যন্ত লাভজনক হতে পারে, কারণ এতে বড় ইনভেস্টমেন্ট প্রয়োজন হয় না।
অনলাইন শিক্ষা এবং কোচিং
করোনার মহামারির পর থেকে অনলাইন শিক্ষা বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। এখন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে মানুষ অনলাইনে শিক্ষা গ্রহণ করছে, আর এই প্রবণতা দিনে দিনে বাড়ছে। আপনি যদি কোনো বিশেষ বিষয়ে দক্ষ হন, যেমন: ইংরেজি, গণিত, প্রোগ্রামিং, ব্যবসা ব্যবস্থাপনা, বা নৃত্য-সংগীত, তাহলে আপনি অনলাইনে কোর্স, টিউশন, বা ওয়েবিনার চালাতে পারেন। এটি একটি দ্রুত লাভজনক ব্যবসা হতে পারে।
কেন লাভজনক?
- অনলাইনে পাঠদান সহজ এবং কম খরচে পরিচালনা করা যায়।
- একজন শিক্ষক একাধিক শিক্ষার্থীকে পড়াতে পারেন, যা লাভের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
- শিক্ষার প্রতি মানুষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে, বিশেষ করে যারা নিজেদের ক্যারিয়ার উন্নত করতে চান।
ইকমার্স (Online Store)
ইকমার্স, অর্থাৎ অনলাইন দোকান খোলাও বর্তমানে একটি লাভজনক ব্যবসার মধ্যে অন্যতম। আপনি ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট বিক্রি বা ড্রপশিপিংয়ের মাধ্যমে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করতে পারেন। ইকমার্স প্ল্যাটফর্ম যেমন Amazon, eBay, এবং Etsy তে পণ্য বিক্রি করা বা নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে পণ্য বিক্রি করার সুযোগ রয়েছে।
কেন লাভজনক?
- ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী গ্রাহকরা আপনার পণ্য ক্রয় করতে পারে।
- শুরুতে কম পুঁজি দিয়েও শুরু করা সম্ভব।
- বিক্রির জন্য কোনো শোরুম বা স্থায়ী জায়গা প্রয়োজন হয় না।
ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং বা স্বাধীন পেশা বর্তমানে বেশ লাভজনক। আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ট্রান্সলেশন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট বা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মতো দক্ষতা অর্জন করেন, তাহলে আপনি নিজে নিজে কাজ শুরু করতে পারেন। জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলো যেমন Upwork, Freelancer, Fiverr আপনাকে বিশ্বব্যাপী ক্লায়েন্টের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ দেয়।
কেন লাভজনক?
- নিজের পছন্দের কাজ করতে পারেন এবং দক্ষতার ভিত্তিতে ভালো আয় করা সম্ভব।
- খরচ কম, কারণ অফিস বা ইনভেস্টমেন্টের প্রয়োজন হয় না।
- দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক তৈরি করা গেলে আয় স্থির এবং উন্নত হতে পারে।
হেলথ ও ফিটনেস ব্যবসা
স্বাস্থ্য ও ফিটনেসের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। ফিটনেস ট্রেনিং, হেলথ কনসালটেন্সি, ডায়েট প্ল্যানিং, সুপারফুড বিক্রি, বা যোগব্যায়ামের ক্লাসগুলো অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা হয়ে উঠতে পারে। এর পাশাপাশি, হেলথ-রিলেটেড পণ্য যেমন প্রোটিন শেক, ব্যায়াম যন্ত্র, এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য বিক্রি করেও লাভ করা সম্ভব।
কেন লাভজনক?
- স্বাস্থ্য ও ফিটনেস একটি অপরিহার্য প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং এর প্রতি আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।
- স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সেবা বা পণ্য বিপণনে ভালো বাজার রয়েছে।
রিয়েল এস্টেট (বাড়ি-বিক্রয় ও ভাড়া)
রিয়েল এস্টেট ব্যবসা দীর্ঘদিন ধরে লাভজনক একটি খাত হিসেবে পরিচিত। আপনি যদি রিয়েল এস্টেটের বাজারের খোঁজখবর রাখেন এবং বুদ্ধিমানের মতো বিনিয়োগ করেন, তবে এটি হতে পারে একটি লাভজনক ব্যবসা। জমি কেনা-বেচা, বাড়ি ভাড়া দেওয়া, রিয়েল এস্টেট পরামর্শ বা ব্যবস্থাপনা করতে পারেন।
কেন লাভজনক?
- জমি বা বাড়ি বাড়ানোর মাধ্যমে মূল্য বৃদ্ধি পায়।
- দীর্ঘমেয়াদী লাভ প্রদানকারী একটি ব্যবসা।
গ্রিন এনার্জি (Renewable Energy)
বর্তমানে পরিবেশবান্ধব শক্তির উৎসগুলোর দিকে বিশ্বব্যাপী আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সৌর শক্তি (Solar Energy), পবন শক্তি (Wind Energy), এবং অন্যান্য নবায়নযোগ্য শক্তির প্রকল্পগুলি লাভজনক হতে পারে, বিশেষ করে যদি আপনি ইন্সটলেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণ সেবা প্রদান করেন।
কেন লাভজনক?
- নবায়নযোগ্য শক্তির চাহিদা বাড়ছে এবং সরকারী সহায়তাও রয়েছে।
- দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক এবং পরিবেশের জন্য উপকারী।
উপসংহার
এককভাবে কোনো ব্যবসাই সর্বোত্তম এবং সর্বদা লাভজনক হতে পারে না। তবে উপরের ব্যবসাগুলোর মধ্যে আপনি যদি আপনার দক্ষতা, আগ্রহ এবং বিনিয়োগ ক্ষমতা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে সফল হতে পারবেন। ব্যবসা শুরু করার আগে বাজারের চাহিদা, প্রতিযোগিতা এবং আপনার ব্যবসার পরিকল্পনাকে ভালোভাবে মূল্যায়ন করুন। সফল ব্যবসায়ীর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আত্মবিশ্বাস, পরিশ্রম এবং ধৈর্য। সঠিক পরিকল্পনা ও কৌশল অনুসরণ করলে যে কোনো ব্যবসাই লাভজনক হয়ে উঠতে পারে।
- 101 views
- 1 answers
- 0 votes
আবেগ থাকা ভালো, কিন্তু বেশি মাত্রায় আবেগ থাকা এবং আবেগ প্রকাশ করা ভালো নয়। মাত্রাতিরিক্ত আবেগের কারণে বিষণ্ণতা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন অনেকে। আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেকে অনেক ভুল করে ফেলেন যার ফলে পরবর্তীতে অনেক পস্তাতে হয়। যেসব মানুষ আবেগপ্রবণ হন তারা জীবনে অনেক বেশিমাত্রায় কষ্ট ভোগ করে থাকেন। আবেগপ্রবণ মানুষ যে কারো ওপর বেশি মাত্রায় বিশ্বাস করে ফেলেন খুব সহজেই। যখন এই বিশ্বাস ভাঙে তখন বিশ্বাসভাঙার কষ্টটা শুধুমাত্র আবেগপ্রবণ মানুষটিই ভোগ করে থাকেন।
আবেগ নিয়ন্ত্রণেঃ
নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন
বেশি আবেগপ্রবণ মানুষ আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন না। তাই সব চাইতে প্রথমে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। নিজের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিন। এতে আবেগের মাত্রা কমে আসবে। স্বার্থপর হতে বলা হচ্ছে না, শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছেটাকে সামান্য গুরুত্ব দেয়ার কথা বলা হচ্ছে। এতে করে নিজের প্রতি বিশ্বাস ফিরে পাবেন। আবেগ নিয়ন্ত্রণে আনতে শিখুন।
নিজেকে চিনুন
নিজেকে বুঝুন। চিন্তা করে বের করুন আপনি কোন জায়গায় সব চাইতে বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। কোন মানুষটি আপনার আবেগপ্রবনতার কারণ কিংবা কোন কাজটি আপনাকে বেশি মাত্রায় আবেগী করে তোলে। আগে নিজের আবেগপ্রবনতার কারণটি খুঁজে বের করুন। যদি সম্ভব হয়ে কারণটিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করুন। এতে করে আপনার অতিরিক্ত আবেগ কমে আসবে। দুঃখ কম পাবেন।
নিজেকে সময় দিন
অনেকক্ষেত্রে সময় মনের ক্ষত পূরণ করতে সহায়তা করে। তেমনই নিজেকে সময় দিন আবেগটাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। এতে করে আপনার নিজের মন ঠিকই খুঁজে নেবে আপনার কষ্টের কারণ এবং নিয়ন্ত্রণে আনবে আপনার আবেগ।
‘না’ বলা শিখুন
আবেগপ্রবণ মানুষের সব চাইতে বড় সমস্যা তারা সহজে কাউকে না বলতে পারেন না। ‘অনুরোধে ঢেঁকী গেলা’ প্রবাদ মুলত আবেগপ্রবণ মানুষের জন্যই তৈরি হয়েছে।
একারনে অনেকে আবেগপ্রবণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে নিজের কাজ উদ্ধার করে নেয়। তাই সবার প্রথমে না বলা শিখুন যত কষ্টই হোক না কেন। এতে করে অযথা কোন ঝামেলায় পরে আবেগী হয়ে ভুল করার প্রবণতা কমবে।
আপনার জন্য ক্ষতিকর মানুষগুলোকে জীবন থেকে চলে যেতে দিন
আবেগপ্রবণ মানুষের প্রধান সমস্যা তারা যতই কারো কাছ থেকে কষ্ট পাক না কেন তাদের জীবন থেকে চলে যাওয়া সহ্য করতে পারেন না। অনেক ক্ষেত্রে তাদের ভুলকে ক্ষমা করে আবার নতুন করে ভুল করে বসেন। এই কাজটি কখনো করবেন না। এতে আপনি নিজের আবেগপ্রবনতাকে কখনো অতিক্রম করতে পারবেন না। নিজের জন্য ক্ষতিকর এই সকল মানুষের ভুল চাইলে ক্ষমা করতে পারেন কিন্তু পরবর্তীতে তাদেরকে আগের মত গুরুত্ব দেবেন না। এতে আপনি শান্তিতে থাকতে পারবেন। আবেগটাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
দ্রুত প্রতিক্রিয়া না দেওয়া
কোনো কিছু নিয়ে তাৎক্ষণিক হৈ-হুল্লোড় করা উচিত নয়। কোনো পরিস্থিতিকে আবেগ দিয়ে বিবেচনা না করে যুক্তি দিয়ে বিবেচনা করুন।
সঠিক সমাধান
যে বিষয়গুলো আপনাকে আবেগপ্রবণ করে, সেগুলো মন থেকে মুছে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে অন্য কিছুর প্রতি মনোযোগী হোন। যদি কারো মাধ্যমে মনঃক্ষুণ্ণ হোন, তাহলে ওই ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি কথা বলে সমাধান করুন।
সচেতনতা বাড়ান
আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজন সচেতনতা। কোন কোন পরিস্থিতিতে নিজেকে সামলে রাখতে পারছেন না, সেগুলো খেয়াল করুন। রাগ, ক্ষোভ, হতাশা, অস্থিরতা ইত্যাদি নেতিবাচক বিষয়ের কারণ চিহ্নিত করতে পারলে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।
চিন্তা পরিবর্তন করুন
যেসব বিষয় নিয়ে ভাবলে আপনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন, সেসব বিষয় মনে পড়লে চিন্তা পরিবর্তন করুন। সে সময় ভালো কোনো স্মৃতির কথা মনে করুন। চিন্তাধারা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করলে কম আবেগাপ্লুত হবেন।
ইতিবাচক হওয়া
ইতিবাচক হোন। জীবনের ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে ভাবুন। যোগব্যায়াম করুন, নিজেকে সময় দিন, অন্যকে সাহায্য করুন। এভাবে কাজ করলে আবেগ থাকবে হাতের মুঠোয়।
সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করুন
যখন আপনার ইমোশন কন্ট্রোল বা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাবে। আবেগ খুব বেড়ে যাবে, তখন স্থিরতা আনতে একমনে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করুন। চোখ বন্ধ করুন কিছু সময়ের জন্য। এবার আপনি যে ধর্মেরই বিশ্বাসী হন না কেন, তা স্মরণে আনুন। সৃষ্টি কর্তার সাহায্য প্রার্থনা করুন। দেখবেন ধর্মীয় অনুভূতি আপনার শরীর ও মনকে শান্ত করে দিবে। যা আপনাকে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সাহায্য করবে।
স্বাস্থ্যকর উপায় খুঁজুন
ইমোশোন কন্ট্রোল করার স্বাস্থ্যকর উপায় খুঁজুন। যাতে করে সহজে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আবেগ বা ইমোশন বাড়তে দিবেন না। যখন কোন বিষয়ে অধিক ইমোশন কাজ করবে তখন বিশ্বস্ত কারো সাথে আপনার সমস্যার কথা খুলে বলুন। সেটা সাক্ষাতে বা মুঠফোনেও হতে পারে। তার কাছে বিষয়টি বর্ননা করুন। এবার সে বিষয়ে অন্যের মতামত শুনে নিজের জ্ঞানকে প্রসারিত করে সিদ্ধান্ত নিন।
অনেকেই ইমোশন বেড়ে গেলে কিকবক্সি করেন, অনেকে হাতে পাঞ্চ বল নিয়ে পাঞ্চ করেন। নিজের ইমোশন গুলো মনের ভেতর থেকে বের করতে অনেকেই তা খাতায় লিখে ফেলেন। এতে আপনার হালকা অনুভূতি আসবে। নিজেকে শান্ত করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিন
আমাদের জীবনে ভালো বা মন্দ যাই ঘটুক না কেন, তা আমাদের কিছু শিক্ষা দিয়ে যায়। তাই অতীত অভভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিন। অতীতের আবেগের বশে নেয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটা ভুল বা ঠিক হয়েছে? নিজেকেই প্রশ্ন করুন, অতীতে ইমোশন কন্ট্রোল করার জন্য আপনি কি কি টেকনিক ব্যবহার করেছেন? কারণ একেক জনের ইমোশন নিবৃত্ত করার পদ্ধতি একেক রকম। যখন আপনি ইমোশনালী বেশি ডিপরেস থাকবেন, তখন নিজেকে বুঝান। খারাপ সময় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। তাই এ সময়ে সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ পজিটিভ ইমোশন আপনার সিদ্ধান্তকে পজিটিভ করে, আর নেগেটিভ ইমোশন সিদ্ধান্তকে নেগেটিভ করে।
চিন্তা পরিবর্তন করুন
আগেই বলেছি নেগেটিভ চিন্তা আপনার ইমোশনের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। তাই যেসব বিষয় চিন্তা করলে আপনি বেশি ইমোশনাল হয়ে পড়েন, তা সচেতনভাবে এড়িয়ে চলুন। অনুভাবেও বলা যায়, নেগেটিভ ইমোশন আপনাকে অন্ধ করে রাখে নেগেটিভ চিন্তার প্রতি। ফলে আপনি নেগেটিভাবেই কোন সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করেন। তাই যখন আপনার আবেগ নেতিবাচক হিসেবে কাজ করবে, তখন ভিন্ন চিন্তায় নিজেকে ব্যস্ত করে ফেলুন। এতে আপনার নেতিবাচক আবেগ বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না। ধরুণ, আপনার মাথায় কোন বিষয়ে নেতিবাচক চিন্তা এসেছে, তখন ইতিবাচক চিন্তা দিয়ে তা প্রতিস্থাপন করুন।
নিজের ওপর দখল বাড়ান
নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায় হচ্ছে নিজের উপর দখল থাকা। নিজের উপর দখল না থাকায় আপনার আবেগ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পরে। দেখবেন আপনি যখন রেগে যাচ্ছেন তখন অল্পতেই তুলকালাম শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু যখন নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন, তখন অনেক জটিল বিষয়েও যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছেন সহজভাবে। তাই ইমোশনাল বা আবেগতাড়িত হওয়ার আগে বিষয়টি যুক্তি, প্রজ্ঞা আর অভিজ্ঞতা দিয়ে বিচার করতে হবে। কেননা অনেক ইমোশনাল সিদ্ধান্ত বৃহৎ ক্ষতির কারণ হয়ে যায়। কোন বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখানোর সময় খেয়াল করতে হবে, তা যেন কোনভাবেই সীমা লঙ্ঘন না করে। কারণ পরিস্থিতি এক সময় শান্ত হবে কিন্তু এর মধ্যেই আপনি যেন বৃহত্তর স্বার্থের ক্ষতি করে না ফেলেন। তাই যা করতে যাচ্ছেন তা একটু ভেবে চিন্তে করুন। যে বিষয়ে যতটা প্রতিক্রিয়া দেখানো যাবে, ঠিক ততটাই দেখান।
এবার জানা যাক, সময়মত ইমোশন কন্ট্রোল করতে না পারলে তা আপনার স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে। তাই বলা হয়, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। আপনি আবেগতাড়িত হলে আপনার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের উপর প্রভাব ফেলে। তবে জেনে নেয়া যায়, আপনার কোন ধরণের আবেগের বহিঃপ্রকাশে আপনার কি ধরণের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে তা তুলে ধরা হলো।
রাগ
আপনার অতিরিক্ত রাগ আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। কারণ অতিরিক্ত রাগের ফলে আপনার লিভারের ক্ষতি হতে পারে। তাই যতদূর সম্ভব রাগকে না বলুন।
দুঃখ
দুঃখ বুকে বেশিদিন চেপে রাখলে ফুসফুসে চাপ পড়ে। যা আপনার স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে। তাই দুঃখ বেশিদিন চেপে রাখবেন না। যত দ্রুত সম্ভব দুঃখের কারণ অনুসন্ধান করুন, তা সমাধান করে নিন। এতে আপনার স্ট্রেস কমে যাবে। ফুরফুরা অনুভব করবেন।
দুঃশ্চিন্তা
দুঃশ্চিন্তা আরেক ব্যাধি। দুঃশ্চিন্তায় আক্রান্ত হলে পাকস্থলীর উপর প্রভাব পরে। তাই যতটুকু পারেন আবেগ নিয়ন্ত্রণ রাখুন। এতে আপনার দুঃশ্চিন্তার কারণ কমে যাবে।
স্ট্রেস
অতিরিক্ত স্ট্রেস ভালো না। কারণ অতিরিক্ত স্ট্রেস সরাসরি মস্তিষ্কে ও হার্টে প্রভাব ফেলে। তাই স্টেস কমিয়ে শান্ত থাকুন। স্ট্রেস বেড়ে যায় তা এড়িয়ে চলুন।
ভয়
ভয় থেকেও স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে ভয়কে জয় করতে হবে। তাই দীর্ঘদিন ভয়ের অনুভূতিতে ভুগলে তা কিডনির উপর প্রভাব ফেলে। ভয়কে জয় পেলে বেশি পরিমান পানি পান করুন।
ধন্যবাদ।🙂
- 83 views
- 1 answers
- 0 votes
মানসিক চাপমুক্ত জীবনযাপনের জন্য সর্বপ্রথম স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে ফলমূল, শাক-সবজি, প্রোটিন, শর্করা এবং পর্যাপ্ত পানি গ্রহণ করতে হবে। ক্যাফেইন ও চিনিজাতীয় খাবার কমিয়ে দিতে হবে, কারণ এগুলো মানসিক উদ্বেগ বাড়াতে পারে। একটি সুশৃঙ্খল জীবনযাপন গড়ে তুলতে হবে। সময়ের কাজগুলো সময়মতো সম্পন্ন করার জন্য একটি রুটিন তৈরি করতে হবে।অপ্রয়োজনীয় কাজ এড়িয়ে চলতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজ আগে করতে হবে। কারণ কাজের চাপ মানসিক চাপ বাড়িয়ে তোলে।
পাশাপাশি নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটা, জগিং বা ইয়োগার মতো হালকা ব্যায়াম মানসিক চাপ কমায়। ব্যায়াম শরীরে এন্ডরফিন নামে একটি “হ্যাপি হরমোন” নিঃসরণ করে, যা মান০সিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। মেডিটেশন বা গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম অনুশীলন করতে হবে, এগুলো মানসিক শান্তি খুবই কার্যকর। এছাড়াও প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করতপ হবে। পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক/চাপ কমায় এবং মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে।
- 90 views
- 1 answers
- 0 votes
- আপনি ঘুম থেকে উঠেন এবং মোবাইল ঘাটাঘাটি শুরু করেন।
- প্রত্যেকটি কথায় হ্যা বলে দেন।
- ফেসবুকে একজন বন্ধুর জন্মদিনের বিজ্ঞপ্তি পান এবং ভাবেন পরে তাকে শুভেচ্ছা পাঠাবো কারন হাতে সারাদিন সময় আছে।
- ইউটিউবে একই গান, কমেডি ভিডিও বারবার দেখেন।
- সবসময় আপনার ফোনটি চেক করেন।
- শুক্রবার কিংবা ছুটির দিনে আপনি আনন্দিত হন না।
- কোন নতুন মেসেজ না থাকলেও আপনি WhatsApp চালু করেন।
- ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে স্ক্রল করে অত্যধিক সময় ব্যয় করেন।
- বিকালে অধিক ঘুমানোর ফলে রাতে ঘুম আসে না।
- প্রয়োজনের চেয়ে অধিক লোকের কাছে কোনোকিছুর বৈধতা যাচাই করেন।
- অনলাইনে লোকদের সাথে তর্ক বিতর্ক করেন।
- দিনের মাঝখানে কী করবেন ভেবে পান না।
- পরিশেষে, ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনি বলেন, জীবনের আরেকটি দিন নষ্ট করলাম।
- 84 views
- 1 answers
- 0 votes
মানসিক চাপমুক্ত জীবন যাপন করার জন্য কিছু কার্যকরী উপায় আছে, যা নিয়মিত প্রয়োগে আপনার মানসিক শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করবে:
1. সঠিক পদ্ধতিতে শ্বাস প্রশ্বাস: গভীর শ্বাস নেয়া এবং ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ার মাধ্যমে শরীর ও মনকে শান্ত করা যায়। মেডিটেশন বা প্রানায়ামও উপকারী হতে পারে।
2. নিজেকে সময় দেয়া: জীবনের ব্যস্ততার মাঝে নিজেকে কিছু সময় দিন। নিজে খুশি হওয়ার জন্য প্রিয় কাজ করুন—যেমন পছন্দের বই পড়া, গান শোনা, হাঁটা বা সৃজনশীল কিছু করা।
3. বিশ্রাম ও পর্যাপ্ত ঘুম: শরীরের পরিপূর্ণ বিশ্রামের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানসিক চাপ কমাতে এবং পুনরায় শক্তি পাওয়ার জন্য রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
4. সাক্ষাত বা সামাজিক সম্পর্ক: বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, সামাজিক যোগাযোগ বজায় রাখা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। একা থাকার চেয়ে মানুষের সাথে সম্পর্ক মজবুত করা ভাল।
5. বিশ্বাস ও ইতিবাচক চিন্তা: জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তুলুন এবং নিজের সক্ষমতা ও শক্তির ওপর বিশ্বাস রাখুন। নেতিবাচক চিন্তা কমিয়ে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করুন।
6. শারীরিক ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে মস্তিষ্কে এন্ডোফিন উৎপন্ন হয়, যা মনকে প্রশান্ত রাখে এবং স্ট্রেস কমায়। এমনকি ১৫-২০ মিনিট হাঁটাও ভালো।
7. সময় ব্যবস্থাপনা: দৈনন্দিন কাজের পরিকল্পনা করে এবং অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করা মানসিক চাপ কমায়। সময়ের সঠিক ব্যবহার আপনাকে আরও সুসংগঠিত ও চাপমুক্ত রাখবে।
8. অতিরিক্ত চাপ এড়িয়ে চলা: নিজেকে অতিরিক্ত কাজের মধ্যে চাপিয়ে না দিয়ে, প্রয়োজনে “না” বলুন। নিজের সীমা জানুন এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব না নেওয়ার চেষ্টা করুন।
9. হাসি ও মজা: হাসি মানসিক চাপ কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। হাসি বা মজা করার মাধ্যমে আপনার মনোভাব হালকা হয়ে ওঠে।
10. পেশাদার সাহায্য: যদি আপনার মনে হয়, মানসিক চাপ সহ্য করা কঠিন হয়ে পড়ছে, তাহলে একজন মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শদাতার সাহায্য নিতে পারেন।
এই উপায়গুলো অনুসরণ করে আপনি মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করতে পারেন। মনে রাখবেন, নিজের প্রতি দয়া এবং ভালোবাসা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
- 87 views
- 1 answers
- 0 votes