10773
Points
Questions
23
Answers
5384
না, এটা পুরোপুরিই “wishful thinking”এর মতো শুনতে । “সৎ হলে গরিব থাকতে হবে” এমন কোনো নিয়মের বন্ধন আমাদের জীবনে নেই । তাই “আমি গরিব কারণ আমি সৎ আর সেটাই আনন্দের” এমন ভাবনা হল মূলত নিজেকে মিথ্যা সান্ত্বনা দেওয়া । সৎ মানুষ গরিব হয় এই ধারণাটা যেমন ভুল, তেমনই সততাজনিত দারিদ্র্য আনন্দের হয় এটাও ভুল । কোনো প্রকারের দারিদ্র্যই আনন্দের কারণ নয়; বড়জোর বলা যায় কিছু ব্যতিক্রমী মানুষের ক্ষেত্রে তা নিরানন্দের কারণ হয় না, যেমনটা কবিগুরু কল্পনা করেছিলেন—
মৃত্যু কহে, পুত্র নিব; চোর কহে ধন।
ভাগ্য কহে, সব নিব যা তোর আপন।
নিন্দুক কহিল, লব তব যশোভার।
কবি কহে, কে লইবে আনন্দ আমার?
- 99 views
- 1 answers
- 0 votes
উত্তরের অনুরোধ করেছেন, “অভীক”।
জীবনের সব চিন্তা দূর করা সম্ভব নয়। চিন্তাহীন জীবন, প্রাণের স্পন্দনকে স্তিমিত করে রাখবে। বেঁচে থাকার উত্সাহকে, উদ্দীপনাহীন করে তুলতে পারে।
সাধু-সন্ত যারা চিন্তাশূন্য মন নিয়ে ধ্যানে বসেন, তাঁরাও ঈশ্বরের চিন্তায়, নিজেকে নিজে জানার চিন্তায়, মগ্ন হয়ে থাকেন।
সুতরাং, একটি জীবনে চিন্তার অবস্থান, অপ্রতিরোধ্য এবং স্বাভাবিক বলেই মনে করি।
জীবন থেকে দূর করার চেষ্টা হোক, “চিন্তা” নয়, নেতিবাচক চিন্তার প্রবাহ। ইতিবাচক চিন্তায় নিজেকে ব্যাপৃত রাখার চেষ্টা করা হোক। এতে, জীবনে অপ্রাপ্তির বেদনা ঘুচতে থাকবে, প্রাপ্তি সুখে উল্লসিত হয়েই থাকবে, ইতিবাচক চিন্তার সন্ধানে নিবেদিত একটি পরিপূর্ণ জীবন।
ধন্যবাদ।
- 87 views
- 1 answers
- 0 votes
আমার ফিডের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় এই গল্পটি আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
একজন মহিলা আর সাপ।
সে তার সাপের সাথে ঘুমোয় এবং তারপরে পশু চিকিত্সক কিছু ভীতিকর তথ্য দিয়েছিলেন।
এই গল্পটি এক মধ্যবয়সী মহিলা এবং তার পোষা সাপ- অজগরকে নিয়ে। মহিলা পোষা সাপটিকে খুবই ভালোবাসতো। সাপটি ৪ মিটার লম্বা এবং দেখতে স্বাস্থ্যবান। যাই হোক, একবার সাপটি হঠাৎ করে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিল।
সাপের ক্ষুধার এই অভাব কয়েক সপ্তাহ ধরে অব্যাহত ছিল। মরিয়া মহিলাটি তার সাধ্যমতো চেষ্টা করে এবং একটি সাপ খেতে পছন্দ করে এমন কিছু খেতে দেয়। কিছুই কাজ করেনি, এবং অবশেষে মহিলাটি তার পোষা প্রাণীটিকে একটি সর্বশেষ উপায় হিসাবে পশুচিকিত্সকের কাছে নিয়ে গেল।
পশুচিকিত্সক মহিলার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনেছিল এবং জিজ্ঞাসা করেছিল,
“আপনার সাপটি কি রাতে আপনার সাথে ঘুমায়, আপনার চারপাশে খুব ভাল করে জড়িয়ে ধরে তার দৈর্ঘ্য ছড়িয়ে দেয়?”
মহিলাটি অবাক হয়ে অনেক আশা নিয়ে বললেন,
“হ্যাঁ! হ্যাঁ! এটি প্রতিদিন এটি করে এবং এটি আমাকে অত্যন্ত দু:খিত করে তোলে কারণ আমি দেখি সে কিছু একটা চায় কিন্তু আমি দিতে পারি না।”
তারপরে, পশুচিকিত্সক হতবাক এবং সবচেয়ে অপ্রত্যাশিত কিছু বলেছিল।
“ম্যাডাম, আপনার পোষা প্রাণী অসুস্থ নয়; এটা আপনাকে খাওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।”
হ্যাঁ, অজগরটি অসুস্থ ছিল না তবে এটি তার পরিবর্তে মহিলাকে খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে!
“প্রতিবার, এটি বেয়ে উঠছে এবং আপনাকে “আলিঙ্গন” করছে, আপনার শরীরের চারপাশে জড়িয়ে ধরে, আপনি কতটা দারুণ খাবার এবং এটি আক্রমণ করার আগে কীভাবে প্রস্তুত নিজে হতে হবে তা বোঝার জন্য একটি মাপ যাচাই করছে। এবং হ্যাঁ, শুধু খাওয়াই না, হজম কিভাবে করবে তাও ভাবছে।”
গল্পের মূল নীতি হলো, আপনার খুব নিকটবর্তী লোকেরা, যাদের সাথে আপনি খুব স্নেহশীল, তার উদ্দেশ্যগুলি এই সাপের মতো থাকতে পারে। আপনার চারপাশের সাপ এবং তাদের আসল অভিপ্রায় সনাক্ত করুন।
আদর, স্নেহ, ভালোবাসা, আলিঙ্গন সব সময় সৎ উদ্দেশ্যে হয় না। আক্রমণকারী শত্রুকে এবং নকল বন্ধুকে ভয় পাবেন না।
সূত্রঃ
১। গল্পঃ Her Python Climbed Into Bed With Her Every Night. When She Found Out Why — Horrifying.
২। ছবিঃ গুগল।
ধন্যবাদ।
- 91 views
- 1 answers
- 0 votes
যে কাজে উৎসাহ ও আনন্দ পান, সেই কাজগুলো করবার চেষ্টা করুন। অপরের সাথে যাতে বিরোধ বিবাদ না হয়, তেমন করে চলার চেষ্টা করুন। বিরোধ বিবাদ মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। শরীরের যত্ন নিন। সব কিছুরই, একটা positive দিক আছে। সেইটা, খোঁজার চেষ্টা করুন। এই ভাবে মন ভালো বা সুস্থ রাখুন। ধন্যবাদ।
- 87 views
- 1 answers
- 0 votes
আমি হাবিব ইমন!
আমি বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। তারা উভয়েই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবঃ প্রাপ্ত কর্মকর্তা।
বাবা ছিলেন আর্মি মেডিক্যাল কোর এ, তাই এখনো তিনি নিজ এলাকায় চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
আর আমি একে তো একমাত্র সন্তান তার উপর আবার জন্ম নিয়েছি বাবা-মায়ের বিয়ের ১৪ বছর পরে। সঙ্গত কারনেই আমার আদর, সোহাগ, বা ভালোবাসার কোন কমতি ছিলো না কোন কালেই।
তো সেই কারনেই ছোটবেলা থেকে ছিলাম খানিকটা ডানপিঠে স্বভাবের। বাবা-মা ধরতে গেলে আমাকে টাকা দিয়েই মানুষ করেছেন। আমার যে কোন আবদার তারা টাকা দিয়েই মিটিয়েছেন জন্যই কখনো টাকা ছাড়া কিছু বুঝিনি।
যেমনঃ শিশুকালে বাজারের সেরা খেলনা, সেরা ভিডিও গেমস, স্কুল লাইফে বাজারের সেরা সাইকেল, সেরা মোবাইল আর কলেজ লাইফে ইয়ামাহার বাইক চাওয়া মাত্রই পেয়ে যাই।
কলেজের গন্ডি পেরিয়ে মেডিক্যালে চান্স হলো না, আর বাবা মায়ের কাছে প্রাইভেট মেডিক্যালের তেমন গুরত্ব না থাকায় ২০১৩ সালে ভর্তি হই রাজশাহী ম্যাটসে। ভালই চলছিলো দিনকাল।
এর মাঝে বাবা অসুস্থ হয়, তাই একটু তড়িঘড়ি করেই তাদের পছন্দ মত আমার মতই ঠিক বাবার একমাত্র মেয়ের সাথেই আমার বিয়ে দেয়।
আমার মতো তারও ছিলো না কোন ভাই-বোন।
একদম অল্প বয়সে, বয়স তখন সবে মাত্র ২১ বছর। কাগজে কলমে তো আরও কম।
বিয়ের পরে সব ভালই চলছিলো, বাবার একটা ছোট ক্লিনিক ছিলো, ম্যাটস শেষ করে সেখানেই যোগদান করি, আর পাশাপাশি টুকটাক ব্যাবসা চালাই। বাবার পুকুর, ফলের বাগান আর জমি জমা দেখভালের দায়িত্ব আমার হাতেই চলে আসে।
বিয়ের এক বছরের মাথায় স্ত্রী প্রেগন্যান্ট হয়, তার কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তান।
সবার সে কি আনন্দ, মেয়ে আসার সাথে সাথে আমারও সব কিছুতে আল্লাহ্ বরকত একবারে ঢেলে দেন। তারপর ৬ মাস যখন মেয়ের বয়স তখন তার লিভারে সমস্যা দেখা দেয়। ঢাকার এ্যাপোলো হসপিটালে নিয়ে চিকিৎসা করাতে প্রায় সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকার মতো খরচ হয়।
অর্থনৈতিক ভাবে হালকা আঘাত লাগলেও তা সারিয়ে উঠি খুব তাড়াতাড়ি। মেয়ের বয়স যখন ২ বছর তখন আবারও স্ত্রী সন্তান সম্ভবা, আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানলাম এবার ছেলে হবে।
ভাবলাম যাক পরিবার টা একদম সয়ংসম্পূর্ণ হলো।
অতঃপর বেশ ভালই চলছিলাম।
সে সময় বিশ্বে লবডংকা বাজিয়ে আসে ভয়াল করোনার থাবা। দেশে তখন করোনা সুরক্ষা সামগ্রীর বিরাট সংকট। চায়নাতে অধ্যায়ন ও কর্মরত কিছু বন্ধুর মাধ্যমে, মাক্স, গ্লোভস, পিপিই র স্যানিটাইজার সহ অনেক কিছুই ইমপোর্ট করা শুরু করি। সে ব্যাবসাও তখন রমরমা। ২/৩ গুন লাভ হচ্ছিলো।
এদিকে আমিও আইসোলেশনে ডিউটি করে যাচ্ছিলাম নিরালস ভাবে।
তবে অন্যের সুরক্ষা দিতে দিতে কখন যে নিজের ঘরে করোনা ঢুকলো, তা বুঝতে পারিনি।
ওই যে বলে না?
“তোমারে বধিবে যে, গোকুলে বাড়িছে সে “
আমার হলো সে হাল…
অবশেষে ৬ মাসের গর্ভাবস্থায় টানা ১৭ দিন ICU তে করোনার সাথে লড়াই করে পরাজিত হয় আমার স্ত্রী।
পেটের সন্তান গর্ভেই মারা যায়। সেই সন্তান কে সে নিয়েই চলে যায়, আর রেখে যায় আমার কাছে আড়াই বছরের মেয়ে, যে দিনে অন্তত ১০০ বার আমার কাছে মায়ের খোঁজ করে।
যেহুত আমি একদম একা হয়ে গেছিলাম, তাই মেয়ে কে সামলানোর জন্য স্ত্রী মৃত্যুর ৫ মাস পরে পারিবারিক ভাবে আবারও বিয়ে করি। আর এদিকে আমার জিবনের সতর্ক সংকেত চলে এসেছিলো, ৪ টা বিজনেসে একবারে লস খাই, যেহুত আমি দুই মাসের মতো কোন কিছুতেই মনযোগ দিতে পারিনি।
তাই সঞ্চয় শেষ হয়ে চাহিদার চাকা যেয়ে নামে ধার-দেনায়। কত বন্ধু-বান্ধবই তো ছিলো কিন্তু বিপদে খুব কম মানুষকেই পেলাম। তবে মুখোশধারী কিছু বন্ধু সাহায্যর হাত বাড়ালো, তাদের থেকে তিন লক্ষ টাকা ধার নিলাম, ব্যাস বিপদ শুরু…
তারা বিনা সুদের ঋনের কথা বলে, পরে এসে দাবি করলো ১৫ লক্ষ টাকা, স্বাক্ষর জালিয়াতি আর ভূয়া কাগজ পত্র করতে বেশী বেগ পেতে হয়নি তাদের।
আমার নিজের কিছু নিকট আত্নীয় টাকার বিনিময়ে বিক্রী হয়ে গেলো তাদের কাছে। এক সময় যাদের বাড়িতে চাল-ডাল কিনে দিতাম, তারাই আঙ্গুল উঁচিয়ে ধরলো চোখের সামনে।
আমার বাবা কে বুঝালো, হাবিব নেশায় জর্জরিত, তাই তার এতো টাকা লোন হয়েছে।
বাবাকে বুঝালাম মানলো না, ডোপটেষ্ট করালাম, সব কিছু নেগেটিভ আসলো। তাও সে শান্ত হয় না, অবশেষে ষড়যন্ত্রের বেড়া জ্বাল ছিন্ন করতে পারলাম না, ডোপ টেষ্টের ঠিক একমাস পরে বাবা আমাকে দিলো রিহ্যাবে।
তিন মাসের নতুন স্ত্রীর সামনে কুকুরের মতো টেনে হিঁচড়ে আমাকে রিহ্যাবে নিয়ে গেলো এক মধ্যরাতে।
সেখানে দেখলাম এক ভিন্ন জগৎ, শারীরিক টর্চারের চেয়েও বেশি মানষিক টার্চারের শিকার হলাম। নেশা না করেও মাতাল আর মানষিক ভারসাম্যহীন রোগীর পাশে দিন কাটাতে লাগলাম। একজন মেডিক্যাল এসিষ্ট্যান্ট হবার পরেও চাড়াল-মুচি সমমনা মানুষও পান থেকে চুন খসলেই কথা শুনাতো। সেখানে ভালো হয়ে থাকলেও পরিবারের মানুষের কাছে সত্য-মিথ্যা জোড়া দিয়ে আমার ব্যাপারে নালিশ চলতে থাকলো, যাকে রিহ্যাবের ভাষায় বলে “ফিটিং” এভাবে এক দুই দিন নয়,
রিহ্যাবে কাটালাম ৬ টা মাস।
এদিকে চাচাতো ভায়েরা ভোগ দখল করলো আমার বাবার সম্পদ। প্রথম ৪ মাসে পরিবারের কারও সাথে দেখা করা বা কথাও বলতে পারলাম না। চারমাস পরে স্ত্রীর সাথে ফোনে কথা হলো, তারপর ৫ মাসে দেখা হলো পরিবারের সাথে, আর ছয় মাসে আমাকে বাসায় নিয়ে আসলো। সেখানের নিম্ন মানের খাবার খেয়ে ওজন কমলো এই ৬ মাসে ২৬ কেজি।
এক ভিন্ন মানুষে রুপান্তরিত হলাম।
যে মানুষ সারাদিন আড্ডা, ঘুরাফিরা, আর খাওয়া দাওয়া নিয়ে পড়ে থাকতো, সে হয়ে গেলো ঘরকুনো।
আমি বাসায় এসেছি প্রায় ৩ মাস। তবে এখনো নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি বাইরের পরিবেশের সাথে। রাস্তা ঘাটে মানুষ দেখলেই রিহ্যাব সম্পর্কিত প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে, যা আমার জন্য অসহনীয়।
তাই এখন নিজেকে ঘরের মাঝেই বেশী রাখি।
মাঝে মাঝে রিহ্যাবের কষ্টের সময়ের কথা স্বপ্নে দেখে আঁতকে উঠি ঘুমের ঘোরে, রিহ্যাব ভীতি টা কোন ভাবেই কাটাতে পারছি না আমি।
এ থেকে পরিত্রানের কোন উপায় পাচ্ছিলাম না।
তারপর ফেসবুকে মানসিক চিকিৎসা বিষয়ক একটি গ্রুপ নজরে আসে তাদের কে মেইল করলে তারা আমাকে সমাধান দিতে আশ্বস্ত করে। একজন সাইকোলজিস্ট আমাকে কাউন্সেলিং করেন। এর ফলে আমি আবার জীবনের ছন্দ ফিরে পেয়েছি, আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছি।
জীবন বিচিত্র তাতে আর সন্দেহ কি!
- 86 views
- 1 answers
- 0 votes
দীর্ঘদিন বেকার ছিলাম। সংসারে বেশ অভাব। অভাবে অভাবে জীবন তেজপাতা। আর ভালো লাগে না। একদিন হঠাত একটা চাকরী পেয়ে গেলাম। ছোট চাকরী। তবুও তো চাকরী! সারা মাস খুব মন দিয়ে কাজ করলাম। চারজনের কাজ আমি একাই করলাম। অফিস ছুটি বিকেল পাঁচ টায়। অথচ অফিস ছুটির পরও বসদের ব্যাক্তিগত কাজ করে দিয়ে হয়। এমনকি কারো কারো ঘরের বাজার পর্যন্ত করে দিতে হয়েছে। তাতেও আমি খুশি। যে করেই হোক চাকরীটা টিকিয়ে রাখতে হবে।
যাইহোক মাস শেষে সেলারি হলো। অনেক গুলো টাকা হাতে পেলাম। কয়েকদিন পর ঈদ। কার কার জন্য কি কি কেনাকাটা করবো মনে ভাবছি। কি কি বাজার করবো সেটা একটা লিস্ট করলাম। জামা কাপড় আর ঈদের বাজার বাসায় নিয়ে গেলে পরিবারের সবাই খুব খুশি হবে। চোখ বন্ধ করেই পরিবারের সদস্যদের হাসিমাখা মুখ গুলো দেখে নিলাম। মার্কেটে গেলাম আগে। আগে জামা কাপড় কিনি পরিবারের জন্য। তারপর যাবো কাঁচা বাজারে। হায় কপাল। পকেটে হাত দিয়ে দেখি টাকা নাই। পকেটমার হয়ে গেছে!
আমার মনে হলো- পুরো আকাশটা আমার মাথায় ভেঙ্গে পড়লো। আর চারদিন পর ঈদ। এখন আমি কি করবো? বাবা মা, ছোট ভাইবোন সবাই আমার অপেক্ষায় আছে। কষ্টে বুকটা ছারখার হয়ে যাচ্ছে। এখন আমি কি করবো? যাইহোক, পরের দিন অফিসে গেলাম। ভাবলাম বসকে বলে কিছু টাকা অগ্রীম নিবো। বসের কাছে টাকা চাওয়ার আগেই বস বলল, স্যরি তোমাকে আর কাজে রাখা যাচ্ছে না। তুমি অন্য কোথাও চেষ্টা করো। কষ্টে আমার চোখে পানি এসে গেলো। মনে মনে ভাবলাম- বসের পা ধরবো? তাতে যদি চাকরিটা ফিরে পাই।
ঈদের দিন সকালবেলা। পরিবারের সবাই না খেয়ে বসে আছি। মা বাবা দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ। কিন্তু আমাদের ভাগ্য ভালো ঈদের আমাদের না খেয়ে থাকতে হয়নি। পাশের বাসার রুনা ভাবী আমাদের জন্য প্রচুর খাবার নিয়ে এসেছেন। দুই পদের সেমাই। মূরগীর মাংস, গরুর মাংস আর পোলাউ। প্রচুর খাবার। পরিমানে অনেক। আমরা পুরো পরিবার পেট ভরে গেলাম। রাতের খাবারেরও চিন্তা নাই। নীচ তলার হারুন ভাইদের বাসা থেকে আসবে। দয়াল মূরশীদ যার সহায় তার কিসের ভাবনা?
- 66 views
- 1 answers
- 0 votes
- তাঁরা সখ হিসেবে বই পড়ে ।
- তারা বেশি কথা বলার চেয়ে বেশি শুনে এবং তাঁরা ভালো প্রশ্নকর্তা হয়।
- তাঁরা কিছু বলার পুর্বে চিন্তা করে।
- তাঁরা জানে তাঁরা সবসময় ঠিক নয় এবং তাই কেউ যদি তাদের ভুল ধরিয়ে দেয় তবে তা তাঁরা মেনে নেয়।
- তাঁরা শুধু বড় বড় স্বপ্ন দেখে ক্ষান্ত হয় না। তাঁরা প্রচুর পরিশ্রম করে তা অর্জনের জন্য।
- যখন তাঁরা কোন সমস্যার সম্মুখীন হয় তবে তাঁরা ওজর না বের করে তা সমাধানের চেষ্টা করে।
- তারা বিফল হলে তা ছেড়ে দেয় না , তাঁরা তাদের ভুল থেকে শিক্ষা নেয়।
- তাঁরা তাই করে যা তাদের কাছে সত্য মনে হয় । লোকে কি ভাববে বা চিন্তা করবে তা নিয়ে তাঁরা এতো চিন্তা করে না।
- তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকে ।
- 69 views
- 1 answers
- 0 votes
জীবনে উন্নতি বা সাফল্য অর্জন করা একটি স্বপ্ন, যা প্রায় সবাই দেখতে চায়। তবে উন্নতি শুধু বাহ্যিকভাবে ধন-সম্পদ বা পদস্থির মাধ্যমে নয়, বরং মানসিক এবং আত্মিক বিকাশের মাধ্যমে হওয়া উচিত। জীবনে উন্নতি করার জন্য অনেকগুলো উপাদান প্রয়োজন, যা একে অপরের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করে। আসুন, দেখা যাক জীবনে উন্নতি করতে কী কী প্রয়োজন:
স্পষ্ট লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য
যে কোনো কাজের জন্য একটি স্পষ্ট লক্ষ্য থাকা খুবই জরুরি। জীবনে উন্নতি করতে, আমাদের জানা উচিত আমরা কী চাচ্ছি এবং কেন চাচ্ছি। লক্ষ্য ছাড়া আমরা শুধু সময় নষ্ট করি এবং আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য অন্ধকারে থেকে যায়। একজন সফল মানুষ সেই, যে তার লক্ষ্য পরিষ্কারভাবে জানে এবং তা অর্জনের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে কাজ করে।
পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়
উন্নতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো পরিশ্রম। কেউ যদি মনে করে যে সফলতা কোনও দিন সহজে আসবে, তবে তা ভুল ধারণা। পরিশ্রম ছাড়া কোনো কিছুই অর্জন করা সম্ভব নয়। কাজের প্রতি গভীর আগ্রহ এবং অধ্যবসায়ের মাধ্যমে প্রতিটি ছোট লক্ষ্যও বড় অর্জনে পরিণত হতে পারে। ধৈর্য ধরে দীর্ঘ সময় পরিশ্রম করতে পারাই সফলতার মূল চাবিকাঠি।
সময় ব্যবস্থাপনা
সময় আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। একে সঠিকভাবে ব্যবহার করা ছাড়া জীবনে উন্নতি সম্ভব নয়। অনেক সময় আমরা একে অপরের মধ্যে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে থাকি, অথচ সময়ের সঠিক ব্যবহার আমাদের সামনে থাকা লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করে। যে ব্যক্তি তার প্রতিদিনের কাজের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে এবং সময়মতো তা সম্পন্ন করে, সে জীবনে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে পারে।
নতুন কিছু শেখার ইচ্ছা
যত বেশি শেখার ইচ্ছা থাকবে, তত বেশি উন্নতি সম্ভব। জীবন শিখে যাওয়ার একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। কেউ যদি কখনো মনে করে যে সে সব কিছু জানে এবং শেখার কিছু নেই, তবে সে জীবনের উন্নতির পথ থেকে সরে এসেছে। নতুন ধারণা, নতুন দক্ষতা এবং নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। আজকের দিনে প্রযুক্তি ও বিশ্বের পরিবর্তন অত্যন্ত দ্রুত ঘটছে, তাই নিজেকে সমসাময়িক রাখাটা অপরিহার্য।
আত্মবিশ্বাস
যত বেশি আত্মবিশ্বাসী হব, তত বেশি আমরা নিজের ক্ষমতা কাজে লাগাতে পারব। আত্মবিশ্বাস আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যায় সাহসী এবং মনোযোগী হতে সাহায্য করে। যখন আমাদের বিশ্বাস থাকে যে আমরা সফল হতে পারব, তখন আমাদের কাজের প্রতি উদ্যমও বৃদ্ধি পায়। তবে আত্মবিশ্বাসের সাথে আস্থা এবং পরিশ্রম থাকতে হবে, অন্যথায় এটি শুধুই অহংকারে পরিণত হবে।
ধৈর্য ও সহনশীলতা
জীবনে উন্নতির পথ কখনোই মসৃণ নয়। অনেক বাধা, সমস্যা এবং সময়ের অভাব আসতে পারে। এর জন্য ধৈর্য এবং সহনশীলতা অত্যন্ত জরুরি। যদি এক মুহূর্তে সবকিছু ঠিকভাবে না হয়, তবে হতাশ না হয়ে আবার চেষ্টা করতে হবে। জীবনে উত্থান-পতন আসবেই, কিন্তু যাদের ধৈর্য থাকে তারা শেষ পর্যন্ত সফল হয়।
স্বাস্থ্য ও সুস্থতা
যতক্ষণ পর্যন্ত শরীর সুস্থ না থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা নিজের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব না। শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতা জীবনের উন্নতির অন্যতম চাবিকাঠি। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত ঘুম এবং নিয়মিত ব্যায়াম আমাদের শক্তি প্রদান করে। সুস্থ শরীরে সফলতা আসে সহজে এবং দ্রুত।
অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং আত্মসন্তুষ্টি
জীবনে সত্যিকারের উন্নতি তখনই সম্ভব যখন আমরা অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং আত্মসন্তুষ্টি অনুভব করি। বাইরের সাফল্য যতই অর্জন করি না কেন, যদি ভিতরে শান্তি না থাকে, তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না। নিজেকে ভালোবাসা, নিজের সাথে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক রাখা এবং সুখী থাকা আত্মবিশ্বাস ও শক্তির উৎস।
নেতৃত্বের গুণাবলী
জীবনে উন্নতি করতে গেলে কিছু মানুষের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী থাকতে হয়। শুধু নিজের জন্য নয়, অন্যদের জন্যও ভালো কিছু করতে হবে। নেতৃত্বের দক্ষতা যেমন নিজের পথে অগ্রসর হতে সাহায্য করে, তেমনি অন্যদেরকে অনুপ্রাণিত এবং পথপ্রদর্শন করতে সহায়তা করে। একজন ভালো নেতা কখনোই এককভাবে সফল হন না, তার চারপাশের মানুষদেরও সফলতা নিয়ে চিন্তা করেন।
সহযোগিতা এবং সম্পর্ক
জীবনে উন্নতির পথে সহযোগিতা ও ভালো সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সফলতা একা পাওয়া কঠিন, আর মানুষের সাথে সম্পর্ক স্থাপন এবং তাদের সাথে কাজ করা আমাদের যাত্রাকে সহজ এবং ফলপ্রসূ করে তোলে। ভালো সম্পর্ক ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনে সমৃদ্ধি এনে দেয়।
উপসংহার
জীবনে উন্নতি করতে শুধু এক বা দুটি উপাদান যথেষ্ট নয়। এটি একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া, যেখানে সঠিক লক্ষ্য, পরিশ্রম, সময় ব্যবস্থাপনা, আত্মবিশ্বাস এবং সঠিক মনোভাব প্রাধান্য পায়। জীবনের পথে বিভিন্ন বাধা আসবে, তবে সেগুলোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সবশেষে, যে ব্যক্তি নিজেকে জানে, তার শক্তির উৎস আবিষ্কার করে এবং ধারাবাহিকভাবে কাজ করে, সে সফলতার শিখরে পৌঁছাতে বাধ্য।
- 69 views
- 1 answers
- 0 votes
দেহ ও মন তো আলাদাই। এটাকে আর কিভাবে আলাদা করবেন!!
দেহ থাকে না, পুড়ে যায়, কিন্তু যে মন নিয়ে এক দেহ যায়, পরের দেহে সেই মন-ই থেকে যায়। মানে নিহা নাজিম-এর মন সুক্ষরূপে থেকে যায়, দেহ যাবার পরে।
এর একটা অদ্ভুত উদাহরণ হলো জাতিস্মর। দেহ ছেড়ে দিয়েছে কিন্তু পূর্ব দেহের ঘটনাবলী মনে আছে। মন না থাকলে মনে থাকবে কিভাবে! অর্থাৎ মন ও দেহ সম্পূর্ণ আলাদা। সব সময়েই।
- 85 views
- 1 answers
- 0 votes
মানুষ কি কখনো পুরোপুরি সুখী হতে পারে? এটি একটি মিথ্যে কথা। যারা বলে মানুষ সুখী হয়, তারা ভন্ড, প্রতারক! মানুষের পক্ষে কখনোই পুরোপুরি সুখী হওয়া সম্ভব নয়।
এর প্রধান কারণ, মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষা। তাছাড়া সুখ সাময়িক। এটি স্থায়ী নয়। প্রতি মুহূর্তে আপনার ইচ্ছে-আকাঙ্ক্ষা বদলাবে।তবে হ্যাঁ, আপনি যদি সুখী হতে চান প্রকৃতপক্ষেই, সম্পূর্ণটা হয়তো সম্ভব নয়, তবে কিছুটা হলেও আপনি সুখী হতে পারবেন।
ছবিঃ গুগল থেকে। সুখী জীবনযাপন।
সেক্ষেত্রে আপনাকে সকল ধরনের উচ্চাকাঙ্ক্ষা জীবন থেকে চিরতরে বিদেয় করে দিতে হবে। লোকে কী বলল, লোকে কী খেলো, লোকে কীভাবে চলল, এসকল চিন্তাভাবনাকে একদম পুরোপুরি ভাবে নিজের মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে।
নিজেকে অনেক বেশি ভালবাসতে হবে। আপনার কাছে যা আছে, আপনাকে মনে করতে হবে সেটিই পৃথিবীর অন্য কারও কাছে নেই এবং আপনি পৃথিবীর সবচাইতে বেশি ধনী ব্যক্তি। সৃষ্টিকর্তাকে ভালবাসতে শিখুন। তিনি আপনাকে সৃষ্টি না করলে আপনি হয়তো এই পৃথিবীতে আসতেই পারতেন না, সুখী জীবনযাপন তো পরের কথা!
অন্যের সাফল্য দেখে ঈর্ষে করাটা একটি রোগ। যত দ্রুত সম্ভব এর থেকে আপনাকে আরোগ্যলাভ করতেই হবে। নিজের ব্যর্থতা গুলো মেনে নিতে হবে। বেশি বেশি বই পড়ুন। মনে রাখবেন, আপনার নিঃসঙ্গতার সময় আপনার সবথেকে ভালো সঙ্গী এবং বন্ধু হচ্ছে বই।
এতো গেলো মানসিক। শারীরিকভাবেও সুস্থ থাকাটাও জরুরী। চেষ্টা করুন নিয়মিত ব্যায়াম করতে, হাঁটাচলা করতে এবং সবার সাথে হাসিমুখে কথা বলতে।মনে রাখবেন, সুখ-দুঃখ মিলিয়েই মানুষের জীবন। একজন ব্যক্তি কখনোই পুরোপুরি ভাবে সুখী হতে পারে না।
এতোগুলো কথা যে বললাম, এর প্রত্যেকটি যদি আপনি মেনে চলতে পারেন, তবে শত দুঃখের মাঝেও আপনার থেকে বেশি সুখী মানুষ এ পৃথিবীতে আর একজনও রইল না। আপনি এখন থেকে সুখী জীবনযাপন করছেন। স্বাগতম আপনাকে সুখী জীবনে।
আপনি তো আমাকে উত্তরটি দেবার জন্য মনোনীত করেননি। তবুও দিয়েছি। রাগ করলেন না তো?
ধন্যবাদ আপনাকে।
- 65 views
- 1 answers
- 0 votes