10773
Points
Questions
23
Answers
5384
মনোবিজ্ঞানে থিসিস বা গবেষণাপত্র প্রস্তুত করা একটি সুসংগঠিত প্রক্রিয়া, যা কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়। এটি সাধারণত মানসিক স্বাস্থ্য, ব্যক্তিত্ব, সামাজিক আচরণ, বা অন্যান্য মনোবৈজ্ঞানিক বিষয়ের ওপর গভীরতর গবেষণা পরিচালনার জন্য করা হয়। নিচে থিসিস প্রস্তুতের ধাপগুলো তুলে ধরা হলো:
1. গবেষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া: প্রথমেই একটি নির্দিষ্ট বিষয় বেছে নিতে হয়, যা আপনার আগ্রহের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং বর্তমানে গবেষণার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিষয়টি এমন হতে হবে, যা নিয়ে গবেষণা করা সহজ এবং তথ্য সংগ্রহ সম্ভব।
2. সাহিত্য পর্যালোচনা: সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পূর্বে যা গবেষণা হয়েছে, তার ওপর বিস্তারিত পর্যালোচনা করতে হয়। এর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আগের গবেষণার ফাঁকগুলো কোথায় এবং আপনার গবেষণার মাধ্যমে কি নতুন কিছু যোগ করা সম্ভব।
3. গবেষণা প্রশ্ন ও লক্ষ্য নির্ধারণ: গবেষণার জন্য একটি স্পষ্ট লক্ষ্য এবং প্রশ্ন নির্ধারণ করতে হবে, যা আপনার থিসিসের দিক নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।
4. গবেষণার পদ্ধতি পরিকল্পনা: এটি থিসিসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনি কোন পদ্ধতিতে তথ্য সংগ্রহ করবেন (যেমন, প্রশ্নাবলী, ইন্টারভিউ, পর্যবেক্ষণ) এবং কোন বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করবেন তা নির্ধারণ করতে হবে।
5. তথ্য সংগ্রহ: নির্ধারিত পদ্ধতি অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। প্রয়োজন অনুযায়ী অংশগ্রহণকারীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে তাদের মতামত, অভিজ্ঞতা, বা আচরণ পর্যবেক্ষণ করা হতে পারে।
6. তথ্য বিশ্লেষণ: তথ্য সংগ্রহের পরে সেগুলোর বিশ্লেষণ করা হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিসংখ্যানগত পদ্ধতি বা গুণগত বিশ্লেষণ পদ্ধতি ব্যবহার করে তথ্যের বিশ্লেষণ করা হয়।
7. ফলাফল উপস্থাপন: বিশ্লেষণ থেকে প্রাপ্ত ফলাফল উপস্থাপন করতে হয়। এটি থিসিসের মূল অংশ, যেখানে আপনার গবেষণার তথ্যগুলো সুসংগতভাবে তুলে ধরা হয়।
8. আলোচনা ও উপসংহার: ফলাফলের ভিত্তিতে গবেষণার উপসংহার এবং আপনার নিজের বিশ্লেষণ প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি গবেষণার সীমাবদ্ধতা, ভবিষ্যৎ গবেষণার সম্ভাবনা এবং ব্যবহারিক প্রয়োগের বিষয়টি উল্লেখ করতে পারেন।
9. তথ্যসূত্র: থিসিসে ব্যবহার করা প্রতিটি সূত্র উল্লেখ করতে হয়। গবেষণার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে তথ্যসূত্র প্রদান জরুরি।
আপনি যদি একটি ভালো থিসিস প্রস্তুত করতে চান, তবে প্রতিটি ধাপে সঠিক পরিকল্পনা এবং সময় ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- 88 views
- 1 answers
- 0 votes
কম কথা বলা এবং সংযত হয়ে কথা বলার অভ্যাস গড়ে তোলা একটি দারুণ দক্ষতা, যা আপনাকে আরও শান্ত, সংযমী, এবং প্রভাবশালী করে তুলতে পারে। নিচে কয়েকটি ধাপে এই অভ্যাস গড়ে তোলার উপায় দেওয়া হলো:
১. কথা বলার আগে ভাবুন
- আপনি যা বলতে যাচ্ছেন, তা কি সত্যি দরকারি?
- এই কথা বললে কি অন্যদের উপকার হবে বা আপনার প্রয়োজন মেটাবে?
- কথা বলার আগে ২-৩ সেকেন্ড থেমে চিন্তা করুন।
২. শুনতে অভ্যস্ত হোন
- বেশি শোনার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- অন্যের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন এবং শুধু প্রাসঙ্গিক হলে কথা বলুন।
- শুনতে পারার দক্ষতা আপনাকে প্রভাবশালী করে তুলবে।
৩. অপ্রয়োজনীয় কথা এড়িয়ে চলুন
- যেখানে কথা বলা দরকার নেই, সেখানে চুপ থাকা শিখুন।
- ছোটখাটো বিষয় নিয়ে আলোচনা বা গসিপ এড়িয়ে চলুন।
- মজা করার জন্যও যদি অপ্রয়োজনীয় কথা বলেন, তবে সেটি কমানোর চেষ্টা করুন।
৪. নিজের কথা বিশ্লেষণ করুন
- দিনের শেষে ভাবুন, আপনি কোথায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় কথা বলেছেন।
- কীভাবে কম বলা যেত, তা ভাবুন এবং ভবিষ্যতে সে অনুযায়ী কাজ করুন।
৫. ধীরগতিতে কথা বলুন
- দ্রুত কথা বলার অভ্যাস থাকলে ধীরগতিতে কথা বলুন।
- এতে আপনি স্বাভাবিকভাবেই কম কথা বলবেন এবং চিন্তা করে কথা বলার সুযোগ পাবেন।
৬. সংক্ষেপে বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন
- অল্প কথায় বেশি কিছু বোঝানোর চেষ্টা করুন।
- আপনার বক্তব্য স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত রাখুন।
৭. চুপ থাকার শক্তি উপলব্ধি করুন
- সব জায়গায় কথা বলা জরুরি নয়।
- অনেক সময় নীরবতাই আপনাকে আরও স্মার্ট এবং বুদ্ধিমান হিসেবে উপস্থাপন করে।
৮. ধ্যান বা মেডিটেশন করুন
- ধ্যান করলে মনের অস্থিরতা কমে এবং আপনার কথার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে উপলব্ধি বাড়ে।
- এটি আপনাকে সংযমী এবং আত্মনিয়ন্ত্রিত করে তুলতে সাহায্য করবে।
৯. কৃতজ্ঞ থাকুন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
- অনেক সময় কম কথা বলার মানে শুধু চুপ থাকা নয়; বরং সুন্দরভাবে কথা বলা।
- সংক্ষেপে এবং বিনয়ের সঙ্গে কথা বলুন।
১০. ধৈর্য ধরুন
- কম কথা বলার অভ্যাস রাতারাতি তৈরি হবে না।
- ধৈর্য ধরে নিজের অভ্যাস পরিবর্তন করুন এবং ধীরে ধীরে উন্নতি লক্ষ্য করুন।
প্রেরণাদায়ক চিন্তা:
“চুপ থাকা মানে দুর্বলতা নয়। এটি একটি শক্তি, যা আপনাকে সংযমী, বুদ্ধিমান এবং সম্মানিত করে তোলে।”
নিজের আবেগ ও চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করে কথা বলার অভ্যাস তৈরি করুন। এটি আপনাকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
- 92 views
- 1 answers
- 0 votes
মানুষের “স্মৃতিশক্তি” হারানোর কারণগুলি নিম্নরূপ:
[ “প্রয়োজন ছাড়া প্যানিক করে ঔষধ খাবেন না। মাথায় রাখবেন আমাদের প্রত্যেকের শরীরের মধ্যেই রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা সম্পন্ন বজায় আছে। সেটাকে আগে থেকে আমরা নষ্ট করে ফেলছি” ]
1. _বয়স_: বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে পারে।
2. _মস্তিষ্কের ক্ষতি_: মস্তিষ্কের ক্ষতি, যেমন আঘাত, স্ট্রোক, বা টিউমার, স্মৃতিশক্তি হ্রাসের কারণ হতে পারে।
3. _নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ_: নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ, যেমন আলঝেইমার রোগ, পার্কিনসন রোগ, বা হান্টিংটন রোগ, স্মৃতিশক্তি হ্রাসের কারণ হতে পারে।
4. _মানসিক চাপ_: মানসিক চাপ, যেমন উদ্বেগ, বিষণ্নতা, বা পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার, স্মৃতিশক্তি হ্রাসের কারণ হতে পারে।
5. _ঔষধ_: কিছু ঔষধ, যেমন বেনজোডিয়াজেপাইন, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, বা অ্যান্টিসাইকোটিক, স্মৃতিশক্তি হ্রাসের কারণ হতে পারে।
6. _অপুষ্টি_: অপুষ্টি, যেমন ভিটামিন বি১২ বা ভিটামিন ডি এর অভাব, স্মৃতিশক্তি হ্রাসের কারণ হতে পারে।
7. _নিদ্রার অভাব_: নিদ্রার অভাব স্মৃতিশক্তি হ্রাসের কারণ হতে পারে।
8. _ধূমপান এবং মদ্যপান_: ধূমপান এবং মদ্যপান স্মৃতিশক্তি হ্রাসের কারণ হতে পারে।
সুস্থ থাকুন ভাল থাকুন
- 62 views
- 1 answers
- 0 votes
দীর্ঘ জীবন যাপন করার ইচ্ছা প্রতিটি মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। মানুষ তার জীবনকে সুখী এবং দীর্ঘ করার জন্য নানান চেষ্টা করে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিও আসে যখন এই ইচ্ছা শেষ হয়ে যায়। সাধারণত এটি তখন ঘটে যখন একজন ব্যক্তি তার জীবনে অতিরিক্ত দুঃখ, হতাশা বা যন্ত্রনার সম্মুখীন হয়। যদি কোনো ব্যক্তির জীবন শারীরিক কষ্ট, কঠিন রোগ বা অসহ্য যন্ত্রনায় পূর্ণ হয়, তবে সে দীর্ঘ জীবন যাপন করার ইচ্ছা ত্যাগ করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে জীবন একটি বোঝার মতো হয়ে ওঠে, এবং ব্যক্তি শান্তির সন্ধানে মৃত্যু গ্রহণ করতে প্রস্তুত হয়ে যায়।
মানসিক স্তরেও, যদি কোনো ব্যক্তি পরিবার, বন্ধু বা সমাজ থেকে সমর্থন এবং ভালোবাসা না পায়, তবে সে একাকিত্ব এবং বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হয়। এই অবস্থায় তার জীবনের লক্ষ্য দুর্বল হয়ে পড়ে। মানসিক ভারসাম্য হারানো এবং আশার অভাবে দীর্ঘ জীবন তার কাছে অর্থহীন বলে মনে হতে পারে।
এছাড়াও, কিছু মানুষ আধ্যাত্মিক জ্ঞান লাভ করার পর দীর্ঘ জীবন যাপনের ইচ্ছা ত্যাগ করে। যখন তারা বোঝে যে এই পৃথিবী ক্ষণস্থায়ী এবং সত্যিকারের শান্তি কেবল মোক্ষ প্রাপ্তিতেই পাওয়া যায়, তখন তারা পার্থিব ইচ্ছা এবং দীর্ঘ জীবনের আকাঙ্ক্ষা থেকে মুক্ত হয়। সন্ত রামপাল জী মহারাজের মতে, মানব জীবনের উদ্দেশ্য কেবল পার্থিব সুখের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া নয়, বরং ঈশ্বরের প্রাপ্তি এবং মোক্ষ লাভ করা। যখন এই জ্ঞান লাভ হয়, তখন ব্যক্তি তার জীবন ও মৃত্যুর প্রতি উদাসীন হয়ে যায়।
সুতরাং, দীর্ঘ জীবন এবং বেঁচে থাকার ইচ্ছা হারানোর পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন শারীরিক যন্ত্রণা, মানসিক সমর্থনের অভাব, মানসিক চাপ এবং আধ্যাত্মিক জাগরণ। এটি ব্যক্তির মানসিক, শারীরিক এবং আধ্যাত্মিক অবস্থার উপর নির্ভর করে।
অধিক তথ্য পেতে এখনই “জ্ঞান গঙ্গা” বই অর্ডার করুন। এই নম্বরে মেসেজ করুন: 9431594033।
- 77 views
- 1 answers
- 0 votes
মানুষের মনে কষ্ট না দিয়ে “না” বলার জন্য কিছু কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:
১. পরিপূর্ণ মনোযোগ দিন
প্রথমে কথোপকথনের মাধ্যমে অপরপক্ষের প্রয়োজন বা অনুভূতি বুঝুন। এতে তারা মনে করবে যে আপনি তাদের কথা গুরুত্ব দিচ্ছেন।
২. সহানুভূতির সাথে প্রতিক্রিয়া দিন
বলুন, “আমি বুঝতে পারছি এটা আপনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ,” বা “আপনার প্রয়োজনটা আমি বুঝতে পারছি।” এইভাবে, তারা অনুভব করবে যে আপনি তাদের অবস্থানকে সম্মান করছেন।
৩. বিকল্প প্রস্তাব দিন
সরাসরি না বলার পরিবর্তে কিছু সমাধান বা বিকল্প প্রস্তাব করুন। উদাহরণস্বরূপ, “আমি এই মুহূর্তে সময় দিতে পারছি না, তবে আগামী সপ্তাহে আপনাকে সাহায্য করতে পারি।”
৪. নিজের সীমাবদ্ধতা ব্যাখ্যা করুন
বিনয়ের সাথে নিজের সীমাবদ্ধতা তুলে ধরুন। উদাহরণস্বরূপ, “এটি আমার জন্য সম্ভব নয় কারণ আমি ইতিমধ্যে অন্য একটি বিষয়ে ব্যস্ত আছি।”
৫. স্পষ্ট কিন্তু বিনয়ী ভাষা ব্যবহার করুন
কঠোর শব্দের পরিবর্তে নরম শব্দ ব্যবহার করুন। উদাহরণস্বরূপ, “আমি দুঃখিত, কিন্তু আমি এই কাজটি করতে পারব না।”
৬. প্রয়োজন হলে নিজের সিদ্ধান্তে স্থির থাকুন
প্রথমে কেউ কষ্ট পেতে পারে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে আপনার সৎ ও বিনয়ী অবস্থান তাদের প্রশংসার কারণ হতে পারে।
উদাহরণ:
তাদের অনুরোধ: “তুমি কি আমাকে এই কাজটায় সাহায্য করতে পারবে?”
আপনার উত্তর: “তুমি আমাকে ভাবায় খুশি হয়েছি, কিন্তু দুঃখিত, এই মুহূর্তে আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে অন্য কিছুতে তোমাকে সাহায্য করতে পারলে অবশ্যই বলো।”
এভাবে, আপনি নিজেও সৎ থাকবেন এবং সম্পর্কও সুন্দর থাকবে।
- 87 views
- 1 answers
- 0 votes
মানসিক চাপ দূর করার জন্য কয়েকটি কার্যকর পদ্ধতি এবং অভ্যাস অনুসরণ করা যেতে পারে। এগুলো মানসিক প্রশান্তি এনে দেয় এবং দীর্ঘমেয়াদে চাপ কমাতে সাহায্য করে।
১. চাপের উৎস শনাক্ত করুন
- প্রথমে বোঝার চেষ্টা করুন, কোন বিষয় বা পরিস্থিতি আপনার মানসিক চাপের কারণ।
- সমস্যাগুলোকে ছোট ছোট ধাপে ভাগ করুন এবং সমাধানের চেষ্টা করুন।
২. শারীরিক কার্যকলাপ
- শরীরচর্চা: প্রতিদিন হাঁটাহাঁটি, যোগব্যায়াম, দৌড়ানো বা ব্যায়াম করুন।
- শারীরিক কার্যকলাপ স্ট্রেস হরমোন কমায় এবং মনকে স্বস্তি দেয়।
৩. ধ্যান ও শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম
- ধ্যান: প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট ধ্যান করুন। এটি মনোযোগ এবং মানসিক প্রশান্তি আনে।
- শ্বাস-প্রশ্বাস: ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন এবং ছাড়ুন। এটি সঙ্গে সঙ্গে মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
৪. পর্যাপ্ত ঘুম
- প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ভালো ঘুম নিশ্চিত করুন।
- ঘুমের অভাবে স্ট্রেস বাড়তে পারে, তাই ঘুমের রুটিন ঠিক করুন।
৫. পজিটিভ চিন্তা করা
- নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে ইতিবাচক বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ দিন।
- প্রতিদিন তিনটি ভালো কাজ বা ইতিবাচক ঘটনা লিখে রাখার অভ্যাস করুন।
৬. পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলুন
- কাছের মানুষের সঙ্গে আপনার অনুভূতি শেয়ার করুন।
- সামাজিক যোগাযোগ মানসিক চাপ কমাতে অত্যন্ত কার্যকর।
৭. হবি বা প্রিয় কাজে সময় দিন
- ছবি আঁকা, গান শোনা, বই পড়া, বা অন্য কোনো শখে সময় দিন।
- এই ধরনের কাজ মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
৮. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
- প্রচুর পানি পান করুন এবং পুষ্টিকর খাবার খান।
- চিনি, প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং ক্যাফেইন কমিয়ে আনুন।
৯. প্রয়োজনীয় বিরতি নিন
- চাপ অনুভব করলে কিছুক্ষণ বিরতি নিন এবং কোনো শান্ত জায়গায় যান।
- নতুন পরিবেশে কিছু সময় কাটালে মন শান্ত হয়।
১০. পেশাদার সাহায্য নিন
- যদি মনে হয় চাপ অসহনীয় হয়ে উঠেছে, তবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ বা কাউন্সেলরের পরামর্শ নিন।
১১. হাসির অনুশীলন করুন
- মজার সিনেমা দেখুন, হাসির বই পড়ুন বা বন্ধুদের সঙ্গে মজা করুন। হাসি মানসিক চাপ দূর করতে অত্যন্ত উপকারী।
১২. কাজের ভারসাম্য বজায় রাখুন
- কাজ ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে সমতা রক্ষা করুন।
- বেশি কাজের চাপ এড়িয়ে চলুন এবং “না” বলা শিখুন।
আপনার প্রতিদিনের জীবনে এই অভ্যাসগুলো অন্তর্ভুক্ত করলে মানসিক চাপ কমানো অনেক সহজ হবে।
- 81 views
- 1 answers
- 0 votes
আপনি কিভাবে সুখ পান সেটা আমি জানি না । আমি কিভাবে সুখ পাই সেটা বলছি। আমি পাগলামি করে সুখ পাই ।
আচ্ছা কতদিন পাগলামি করেননি বলুন তো? এই প্রশ্নটা বিশেষত তাদের জন্য যারা এই আধুনিক জীবনে তাল মেলাতে মেলাতে বড় ক্লান্ত। জীবনে সব থেকে যেটা বেশি প্রয়োজন সেটা হলো ভালো থাকা, যেটা কিনা আমরা ভুলে যাই জীবনেরই তাড়নায়। ভালো থাকতে লাগবে একটু চেষ্টা যার শুরু পাগলামি দিয়ে। নিজেকে শিশু মনে করে দেখুন তো একবার…
পাগলামির শুরুটা হতে পারে বাংলা সিনেমা দেখে। যেমন- ‘প্রেমের মরা জলে ডোবেনা (দ্য সাবমেরিন)। তবে আপনার সঙ্গীকে অবশ্যই হতে হবে অগতানুগতিক। সঙ্গী নির্বাচন করুন এমন একজনকে যার কথা আপনি ভাবতে পারেন না।
গরমকাল পাগলামির শ্রেষ্ঠ সময়। খুব মন খারাপ বা বিরক্ত, তাহলে ৩-৪ বার গোসল করুন। শ্যাম্পু দিয়ে কয়েকবার মাথা ধোবেন এবং চিৎকার করে কোনো গান গাইবেন। অবশ্যই যেন সেটা ঝরনার নিচে হয়। অথবা যদি সুযোগ পান বন্ধুদের নিয়ে নেমে পড়তে পারেন পুকুর অথবা সুইমিং পুলে। সব ভুলে আপনিও মেতে উঠতে পারেন নির্মল আনন্দে।
পাগলামির শ্রেষ্ঠ উপায় অন্যকে ভয় দেখানো। যেমন- তেলাপোকা, টিকটিকি বা মাকড়সা (মোটামুটি জগদ্ববিখ্যাত ভয়ের বস্তু)। ঠিক করুন পরিবারের কাকে ভয় দেখাবেন। উঠে পড়ুন মৃত তেলাপোকা নিয়ে আর শুরু করে দিন কার্যক্রম। বিশেষ সতর্কবাণী : বস্তুটি যেন সত্যিই মৃত হয়, না হলে…! তবে এমন ভয় দেখাবেন না, যা বড় কোনো দুর্ঘটনার কারণ হয়।
কারো যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ জীবন, তাহলে এক কাপ চা বানান। চামচ দিয়ে নাড়তে থাকুন এবং যত গালিগালাজ আছে করুন চা ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত। ঠান্ডা হয়ে গেলে ফেলে দিন।হঠাৎ একদিন ঘণ্টা হিসেবে রিকশা ভাড়া করুন এবং রিকশাওয়ালা ভাইয়ের সাথে সুখ-দুঃখের আলাপ করুন ললি খেতে খেতে। কখনো রিকশা থামিয়ে ফুটপাথের দোকান থেকে আপনারা দুজন দু কাপ চা খেয়ে নিতে পারেন। দেশ, জাতি, সরকার নিয়ে যে আপনি ইদানীং খুব চিন্তায় আছেন, সেটা তাকে বলুন এবং অবশ্যই তার মতামত নিন। আর হ্যাঁ, অবশ্যই চালের কেজি কত জিজ্ঞেস করবেন। আবার সুযোগ পেলে রিকশাওয়ালা ভাইকে একটু বিশ্রাম দিয়ে আপনিই নিয়ে নিতে পারেন তার দায়িত্ব।
পাগলামির কিন্তু শেষ নেই। সেই সাথে পাগলামিও কখনও টিপস দিয়ে হয় না। এইখানে শুধু একটু ধারণা দেওয়া হলো। আপনি নিজে আবিষ্কার করুন কোনো পাগলামিতে আপনি বেশি আনন্দ পান।
তবে লক্ষ রাখবেন আপনার আনন্দ যেন অন্যের ক্ষতির কারণ না হয়। যতক্ষণ না মনে হবে যে ‘আপনি কি পাগল! এ সব কী করছেন!’ ততক্ষণ চালিয়ে যান আর প্রাণ খুলে হাসুন। জীবন খুব ছোট ও ঝামেলাপূর্ণ।তাই পাগলামি করুন ও ভালো থাকুন।
- 66 views
- 1 answers
- 0 votes
প্রতিটি মানব কোষে নির্দিষ্ট সংখ্যক ডি.এন.এ রয়েছে, আর তারই একটা ছোট্ট অংশকে বলা হয় জিন। এই জিনগুলোই মানুষের বংশগতির ধারক ও বাহক। আর এই জিনজনিত কারণেই মানুষ মূলত বৃদ্ধ হয়।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দেহের কোষ এবং ফাংশনগুলো হ্রাস পেতে থাকে। মূলত দেহের কোষ যত বেশি বিভাজিত হয়, তত বেশি বয়স বাড়তে থাকে। যত বয়স বাড়ে, ততই ক্ষতিগ্রস্ত হয় শরীরের ডি.এন.,এ। ডি.এন.এ পরিবর্তন হয় এবং প্রোটিন ও এনজাইমের নরমাল প্রসেসিং না হয়ে সেলকে উল্টো ইনঅ্যাকটিভ করে দেয়। পরিণামে কোষগুলো মারা যায়। যার ছাপ স্পষ্ট ফুটে ওঠে চেহারায়। একটা সময় কোষগুলো সঠিকভাবে কাজ করার সক্ষমতা হারায় এবং অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর বাহ্যিক দিক থেকে চামড়া কুঁচকে যাওয়া, চুল পড়া, শরীরের রং পরিবর্তনের মতো নানান বৃ০দ্ধ হওয়ার লক্ষণ দেখা যায়।
- 104 views
- 1 answers
- 0 votes
প্রথমেই বলে নিই আমরা কেউ অলস না। আমরা শুধু কিছু কাজ করতে পছন্দ করি, কিছু কাজ করতে পছন্দ করিনা। আমরা যে লাইফস্টাইলকে অলসতা বলি এখানেও অনেক কাজ আছে। যেমন শুয়ে থাকা, ঘুমানো, মুভি দেখা, খাওয়া, ধিরে ধিরে অনাগ্রহের সাথে কাজ করা।
আপনি খেয়াল করলেই দেখবেন আমাদের অলসতা নির্দিষ্ট কিছু কাজে। যে ছেলেটা ঘুমিয়ে থেকে দিন পার করে, তাকে যদি তার গার্লফ্রেন্ড বলে বাসায় কেউ নেই, আধা ঘন্টার মধ্যে চলে আসো একটু মজা করবো। সে ঠিকই এক ঘন্টার রাস্তা যেভাবেই হোক আধা ঘন্টায় পার করবে।
যদি ওয়াশ রুমে যাওয়ার দরকার হয় জরুরিভাবে সে কি বসে থাকবে? না। আবার চরম কোন অলস ব্যাক্তির যদি ভোর ৫ টায় ফ্লাইট ধরতে হয় সে ও ঘরে বসে থাকবে না। যখন ক্ষুধা লাগে সে অবশ্যই রান্না করবে, বা খাবার কিনে আনবে, বা অর্ডার করবে।
তার মানে আসলে কেউই অলস নয়, বরং আমরা কিছু কাজ করতে পছন্দ করি, বা বাধ্য হই, আর কিছু কাজ আমাদের ভালো লাগে না। আমাদের অলসতা খুব সিলেক্টিভ। যেমন ব্যায়াম করতে ভালো লাগে না, অফিসে যেতে ভালো লাগেনা। একা থাকলে এই ব্যাপার গুলো একটু বেশি হয়। কারন
- আপনি যখন একা থাকবেন আপনাকে কেউ তাগাদা দিবেনা কোন কিছু করতে। কোন ডেড লাইন ও থাকেনা। তাই আমরা আরাম করতে অভ্যস্ত হয়ে যাই।
- আপনি কাজ করলেন কি করলেন না এটার জবাবদিহি করতে হয়না।
- আপনি কোন কাজ করতে ভুলে গেলে কেউ মনে করিয়ে দেয়ার নেই। যেমন শার্ট আইরন করা, কোন কিছু কিনে আনতে ভুলে যাওয়া।
- অলস হলে আমরা নিজেদের নিজেরাই কাজে মোটিভেট করতে থাকি, কিন্তু এক পর্যায়ে এখানে ক্লান্তি চলে আসে।
- জীবন একঘেয়ে হয়ে উঠে বলে কর্মোদ্দম পাওয়া যায়না।
- সাইক্লোজি বলে মানুষ সহজাত ভাবেই কোন কাজ করলে চায় কেউ তার প্রসংশা করুক। একা থাকলে এই এপ্রিসিয়েশানটা পাওয়া যায়না। তাই আস্তে আস্তে কাজের আগ্রহ কমে যায়।
- যে নিতান্তই একা মানুষ তার জীবনে তেমন সেট কোন লক্ষ্য ও থাকেনা। তাই কোন কিছু করবার তাগিদ অনুভব করেনা।
- 77 views
- 1 answers
- 0 votes
জীবন তখনই বদলে যাবে,যখন সত্যকে সত্য মনে করবে। মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে,আমি তো সত্যকে মানি তারপরও কেন আমার জীবন পাল্টে যাচ্ছে না! তুমি জানো সবাইকে একদিন মরতে হবে এবং মৃত্যুর পর ভালো মানুষদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত সুখ আর খারাপ মানুষের জন্য রয়েছে অফুরন্ত কষ্ট। এখন চিন্তা করো তুমি কোন দলে ভালো নাকি খারাপ? যদি খারাপ হয়ে থাকে তাহলে দুনিয়াতে ভালো কিছু করার জন্য সময়কে কাজে লাগাতে হবে, পৃথিবীতে ভালো কিছু করতে হবে।এই সত্য গুলো যখন জীবনে ধারণ করবে তখন জীবন পাল্টে যেতে বাধ্য হবে!
- 94 views
- 1 answers
- 0 votes