10773
Points
Questions
23
Answers
5384
মানব আচরণ সম্পর্কিত মনস্তাত্ত্বিক তথ্যগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনেক দিক আলোকে আনে এবং প্রায়শই চমকপ্রদ ও অবাক করা হয়। এখানে কিছু আকর্ষণীয় মনস্তাত্ত্বিক তথ্য দেয়া হলো আশা করি আপনার কৌতূহল কিছুটা নিবৃত হবে :
প্রথম ইম্প্রেশন দীর্ঘস্থায়ী হয়ঃ মানুষের প্রথম ইম্প্রেশন খুবই শক্তিশালী এবং এটি একটি স্থায়ী মাপকাঠি হয়ে দাঁড়ায়। সাইকোলজিস্টরা বলেছেন, একজন ব্যক্তির প্রতি প্রথম ৩ সেকেন্ডে তৈরি হওয়া ধারণা সাধারণত শেষ পর্যন্ত চলে যায়। তাই প্রথম দেখা হওয়া সময়ে কারও কাছে গ্রহণযোগ্য বা নিন্দনীয় হয়ে ওঠা অনেক সময় পুরো সম্পর্কের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে পারে।
স্টেরিওটাইপিং” এবং প্রাথমিক ধারণাঃমানুষ অন্যান্যদের সম্পর্কে প্রথমেই প্রাথমিক ধারণা তৈরি করে, যা বাস্তবতার সাথে খুব একটা মিল নাও থাকতে পারে। আমরা একে “স্টেরিওটাইপিং” বলে চিহ্নিত করি, যেখানে একজন ব্যক্তি বা একটি গোষ্ঠীকে তার ব্যক্তিত্ব বা চেহারা দেখে বিচার করা হয়, যা সাধারণত ভুল ধারণা সৃষ্টি করে।
অজ্ঞান মনস্তত্ত্ব (Subconscious Mind)ঃ মানুষের অজ্ঞান মনস্তত্ত্ব আমাদের সচেতন চিন্তা এবং ক্রিয়াগুলোর বাইরে অনেক কিছু নিয়ন্ত্রণ করে। আমরা যা মনে করি বা যা আমাদের প্রভাবিত করে, তা অনেক সময় আমাদের অজ্ঞান মনস্তত্ত্ব থেকে আসে। একে “অবচেতন” বলে, যা আমাদের প্রায়শই অজান্তে আমাদের সিদ্ধান্ত, আচরণ এবং অনুভূতির ওপর প্রভাব ফেলে।
মিলানো বা “লাইকেবল এফেক্টঃমানুষ সাধারণত তাদের সাথে যারা মিলিত হয় বা যারা তাদের মতের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ থাকে, তাদের প্রতি বেশি আস্থা বা ভালোবাসা অনুভব করে। একে “লাইকেবল এফেক্ট” বলা হয়। এটি প্রমাণ করে যে, মানুষের সাথে মিল রেখে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সহজাত টান অনুভূত হয়।
ডোপামিন এবং সুখের অনুভূতিঃ ডোপামিন হল এক ধরনের রাসায়নিক যা মস্তিষ্কে খুশি বা সুখের অনুভূতি তৈরি করতে সহায়ক। যখন কেউ পুরস্কৃত হয় বা তার কাঙ্ক্ষিত কিছু অর্জন করে, তখন ডোপামিন নিঃসৃত হয় এবং মানুষ সুখী হয়। এটি মানুষের আচরণকে চালিত করে এবং তাদের আরও একধাপ এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করে।
ইমোশনাল কন্ট্যাজিয়ন (Emotional Contagion)ঃমানুষের আবেগ অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে, এবং এটি “ইমোশনাল কন্ট্যাজিয়ন” নামে পরিচিত। এক ব্যক্তি যদি দুঃখিত বা উত্তেজিত থাকে, তবে তার আবেগ দ্রুত অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এই প্রক্রিয়া আমাদের আচরণে অন্যদের প্রভাব গ্রহণের ক্ষমতা জানায়, এবং এটি দলীয় বা সামাজিক আচরণের প্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ।
মনের মনোযোগ এবং “হ্যালো ইফেক্টঃ হ্যালো ইফেক্ট হল একটি মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া, যেখানে একজন ব্যক্তির একটি ইতিবাচক বা নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য অন্য সকল গুণাবলীর প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, যদি কেউ খুব সুন্দর হয়, তাহলে তার অন্যান্য গুণাবলীও আমরা ইতিবাচকভাবে দেখি, এমনকি তার কোন খারাপ দিকও উপেক্ষা করি।
আত্মবিশ্বাস এবং শক্তিঃমানুষের আত্মবিশ্বাস সরাসরি তার শারীরিক ভাষার (body language) ওপর প্রভাব ফেলে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, শক্তিশালী বা আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গি (যেমন, সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা, চিবুক উঁচু করে হাঁটা) একজন ব্যক্তির মস্তিষ্কে ইতিবাচক সংকেত পাঠায়, যা তার আচরণ এবং সামাজিক পারফরম্যান্স উন্নত করে।
ফাইট অর ফ্লাইট” প্রতিক্রিয়াঃযখন কেউ বিপদে পড়েন বা চাপের মুখে পড়েন, তখন তাদের শরীরে স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে দ্রুত হরমোন নিঃসৃত হয়, যা তাদের দুটি মূল প্রতিক্রিয়া প্রদান করে: “ফাইট” (যুদ্ধে প্রতিরোধ) বা “ফ্লাইট” (পালানোর চেষ্টা)। এটি মানুষের বেঁচে থাকার প্রাথমিক স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া।
মনের লুকানো স্বভাবঃ মানুষ অনেক সময় নিজেদের অবচেতন মনের চাহিদা বা আকাঙ্ক্ষা মেনে চলেন, যা তারা সচেতনভাবে জানেন না। উদাহরণস্বরূপ, কেউ মনের অজান্তে সবসময় অন্যদের প্রশংসা করতে পারেন, কারণ তিনি নিজেকে ভালবাসা বা সম্মান পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা অনুভব করেন।
এই তথ্যগুলো আমাদের আচরণ, মনোভাব, এবং সামাজিক সম্পর্কের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে সাহায্য করে, এবং মানুষের মনস্তত্ত্ব বুঝতে আরও গভীরভাবে সহায়ক।
- 67 views
- 1 answers
- 0 votes
মানুষের মন বিশ্লেষণ করে কথা বলতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশল অনুসরণ করা যেতে পারে। এর মাধ্যমে আপনি অন্যের মানসিক অবস্থা বুঝে তাদের সাথে সহজে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারবেন। এখানে কয়েকটি কৌশল দেওয়া হলো:
১. শরীরের ভাষা পর্যবেক্ষণ
মানুষের শরীরের অঙ্গভঙ্গি বা মুখের অভিব্যক্তি তাদের মানসিক অবস্থার সংকেত দেয়। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি ঘন ঘন চোখ ঘোরায় বা পায়ের নড়াচড়া করে, তা তাদের অস্থিরতার সংকেত হতে পারে। শরীরের ভাষা পর্যবেক্ষণ করে তাদের মানসিক অবস্থা বুঝে সে অনুযায়ী কথা বলুন।
২. চোখের যোগাযোগ স্থাপন
চোখের ভাষা বোঝা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কাউকে সঠিকভাবে চোখে চোখ রেখে কথা বললে আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়, এবং অপর পক্ষের সাথে আপনার আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি হতে পারে। তবে খুব বেশি বা খুব কম চোখের যোগাযোগ করা উচিত নয়, যাতে তা অস্বস্তিকর না হয়।
৩. কথা বলার ভঙ্গি ও কণ্ঠের গতি
আপনার কণ্ঠের গতি, ভলিউম এবং টোনের মাধ্যমে আপনি অনেক কিছু প্রকাশ করতে পারেন। যখন কেউ মনোযোগ দিচ্ছে না বা কিছুটা অন্যমনস্ক, তখন ধীরে ধীরে কথা বলুন এবং বিষয়টি তাদের জন্য আরও সহজ করে তুলুন। এটি তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে।
৪. সহানুভূতি প্রকাশ করুন
মানুষ সাধারণত সহানুভূতি এবং সহানুভূতিশীল আচরণে সাড়া দেয়। তাদের সমস্যার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন, অনুভূতির প্রতি সমর্থন প্রকাশ করুন। এতে তারা আপনাকে বিশ্বাস করতে শুরু করবে এবং তাদের মনের কথা আরও খুলে বলবে।
৫. প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন
মনোযোগ দিয়ে শুনে যদি কিছু প্রশ্ন করেন, তাহলে বুঝতে পারবেন তারা কীভাবে তাদের অভিজ্ঞতা ব্যাখ্যা করছে। প্রশ্ন করুন এবং তাদের উত্তর দেওয়ার সুযোগ দিন, যাতে তারা তাদের মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে। তবে খুব বেশি ব্যক্তিগত বা অনাকাঙ্ক্ষিত প্রশ্ন না করাই ভালো।
৬. পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজের প্রতিক্রিয়া পরিবর্তন করুন
আপনি কিভাবে কথা বলবেন তা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। যদি কেউ দুঃখিত থাকে, তাদের সাথে ধীরস্থির এবং শান্তভাবে কথা বলুন। আবার কেউ যদি উত্তেজিত হয়, শান্ত হয়ে তাদের সাথে কথা বলুন, যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।
এই কৌশলগুলো ব্যবহার করে মানুষের মানসিক অবস্থা বুঝে কথা বললে আপনি আরও সহজে এবং সফলভাবে মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।
- 86 views
- 1 answers
- 0 votes
জীবনের চরম সত্য সম্পর্কে নানা দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে, যেগুলি ব্যক্তিগত, দার্শনিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে বিভিন্ন মানুষের কাছে বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হতে পারে। তবে, কিছু সাধারণ জীবনদর্শন বা চরম সত্য রয়েছে, যেগুলি পৃথিবীজুড়ে প্রায় সব সংস্কৃতিতেই উল্লেখিত হয়েছে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ চরম সত্য তুলে ধরা হলো:
১. মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী
একদিন আমাদের সবাইকে মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হবে। এটি একটি চরম সত্য যা সকল মানুষের জন্য একই। জীবন ও মৃত্যুর এই চক্রের মধ্যে আমরা একে অপরকে ভালোবাসা, শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে সমৃদ্ধ করি।
২. পরিবর্তনই একমাত্র স্থিরতা
জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য হলো পরিবর্তন। সব কিছুই পরিবর্তিত হয়—প্রাকৃতিক পরিবেশ, মানুষ, পরিস্থিতি। কিছুই চিরস্থায়ী নয়। এই পরিবর্তন গ্রহণ করে জীবনকে আরো সুন্দরভাবে উপভোগ করা সম্ভব।
৩. অন্তর্দৃষ্টি এবং আধ্যাত্মিকতা
প্রতিটি মানুষের গভীরে এক ধরনের আধ্যাত্মিক শক্তি বা অন্তর্দৃষ্টি রয়েছে, যা জীবনকে সত্যিকার অর্থে বুঝতে সহায়তা করে। এই অন্তর্দৃষ্টি বা আত্ম-অন্বেষণ দ্বারা আমরা নিজেদের শুদ্ধি এবং দিকনির্দেশনা পেতে পারি।
৪. দুঃখ ও আনন্দ একসাথে চলে
জীবন আনন্দ এবং দুঃখের এক মিশ্রণ। যেহেতু দুঃখ না হলে আনন্দের মূল্য বোঝা সম্ভব নয়, তেমনি দুঃখের মধ্যেও আমাদের জীবনের শিক্ষাগুলি পাওয়া যায়। এটাই জীবনের প্রকৃতি।
৫. সমাজের সাথে সম্পর্ক
মানুষের জন্য সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ভালোবাসা, সহানুভূতি, সমর্থন এবং সহমর্মিতা সমাজ ও ব্যক্তিগত জীবনে মর্মস্পর্শী প্রভাব ফেলে। জীবনের অনেক চরম সত্য এই সম্পর্কগুলির মধ্যেই নিহিত।
৬. আমরা সবার সাথে যুক্ত
মানুষের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা এবং আন্তঃসংযোগের অনুভূতি গুরুত্বপূর্ণ। জীবনের চরম সত্য হলো, আমরা সবার সাথে একাত্ম—সব মানুষ এবং জীবের সঙ্গে আমাদের কিছু না কিছু সম্পর্ক রয়েছে, এবং আমাদের আধ্যাত্মিকভাবে একে অপরকে সাহায্য করা উচিত।
৭. সময় একটি অমূল্য সম্পদ
সময় একবার চলে গেলে ফিরে আসে না। এটি জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ, এবং কিভাবে আমরা সময় ব্যয় করি তা আমাদের ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব ফেলে। সময়কে সম্মান জানানো এবং সেই অনুযায়ী জীবন যাপন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ চরম সত্য।
৮. স্বাধীনতা এবং দায়বদ্ধতা
প্রত্যেক মানুষের জীবন একটি নির্দিষ্ট স্বাধীনতার সাথে সম্পর্কিত, কিন্তু সেই স্বাধীনতার সঙ্গে দায়িত্বও আসে। নিজেদের কাজের পরিণতি এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আমাদের জীবনের পথনির্দেশক হতে পারে।
৯. অজ্ঞতা ও জ্ঞান
জীবনের আরেকটি চরম সত্য হলো, যতই জ্ঞান অর্জন করি, ততই আমাদের অজ্ঞতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শিখতে ও জানার আগ্রহ থাকা মানবজীবনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
১০. ভালোবাসা সবচেয়ে শক্তিশালী শক্তি
ভালোবাসা পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী আবেগ এবং শক্তি। এটি সম্পর্ক তৈরি, সমস্যা সমাধান এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রধান উৎস। ভালোবাসা মানুষকে একত্রিত করে এবং মানবিকতা বিকশিত করে।
এই চরম সত্যগুলি জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষকে প্রভাবিত করে এবং আমাদের জীবনের অর্থ খুঁজে বের করতে সহায়তা করে। তবে, এগুলো সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে এবং আপনার নিজস্ব অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে আরও নানা চরম সত্য উদ্ভাবিত হতে পারে।
- 93 views
- 1 answers
- 0 votes
নিজেকে “সস্তা” বানানো মানে হলো এমনভাবে আচরণ করা বা সম্পর্ক বজায় রাখা, যেখানে নিজের মর্যাদা বা মূল্য কমে যায়। কিছু লক্ষণ দিয়ে বুঝতে পারেন যে আপনি এমন অবস্থায় পড়েছেন কিনা:
১. নিজের মূল্যবোধের সঙ্গে আপস করা
আপনি এমন কিছু করছেন বা মেনে নিচ্ছেন যা আপনার নীতি, মূল্যবোধ, বা বিশ্বাসের বিপরীত।
২. সবসময় অন্যদের খুশি করার চেষ্টা
আপনি নিজের চাহিদা বা অনুভূতিগুলো উপেক্ষা করে কেবল অন্যদের খুশি রাখতে কাজ করছেন।
৩. নিজেকে অবমূল্যায়ন করা
আপনি নিজের যোগ্যতা, কাজ, বা কৃতিত্বকে তুচ্ছ মনে করেন এবং অন্যের সমালোচনা বা অপমান সহজেই গ্রহণ করেন।
৪. অন্যদের কাছ থেকে সম্মান না পাওয়া
কেউ আপনার সময়, পরিশ্রম বা অনুভূতিকে যথাযথ মূল্যায়ন করছে না, কিন্তু আপনি তা মেনে নিচ্ছেন।
৫. একতরফা সম্পর্ক
সম্পর্ক বা বন্ধুত্বে আপনি সব সময় দিচ্ছেন, কিন্তু বিনিময়ে কিছুই পাচ্ছেন না।
৬. না বলতে না পারা
নিজের সীমা থাকা সত্ত্বেও অন্যদের অনুরোধে সবসময় “হ্যাঁ” বলছেন এবং নিজের জন্য সময় বা শক্তি রাখছেন না।
৭. অন্যদের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হওয়া
আপনি নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়া বা দায়িত্ব পালনে অন্যের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল।
কীভাবে এই অবস্থা থেকে বের হওয়া যায়:
1. নিজের মূল্যায়ন করুন – আপনার শক্তি, কৃতিত্ব, এবং গুণাবলীকে স্বীকৃতি দিন।
2. না বলতে শিখুন – যা আপনার জন্য অসুবিধাজনক বা অসম্মানজনক, তা পরিষ্কারভাবে প্রত্যাখ্যান করুন।
3. নিজের সময় ও অনুভূতির মূল্য দিন – নিজের জন্য সময় বের করুন এবং যাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছেন, তাদের কাছ থেকে সমান প্রত্যাশা রাখুন।
4. স্বাস্থ্যকর সম্পর্ক বজায় রাখুন – যেখানে দুজনের সমান মূল্যায়ন হয়।
আপনার ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদার প্রতি সম্মান বজায় রাখতে সচেতন থাকুন।
- 66 views
- 1 answers
- 0 votes
আচ্ছা, এই বাংলাদেশের মানচিত্র যদি এক টুকরো কাগজের ওপরে আঁকানো হয়, আর সেখানে আঠারো কোটি জনসংখ্যা এঁকে আপনাকে চিহ্নিত করতে বলা হয়, কী মনে হয়? একটা বিন্দুও কি আপনার ভাগ্যে জুটবে?
এবারে বাংলাদেশ বাদ দিয়ে গোটা পৃথিবী আঁকা হোক। সেখানে আপনি?
আবার গোটা সৌরজগত আকাঁ হলে আপনি?
You are just NOTHING compared to the whole domain of creations.
শুধু আপনি না, এই গোটা মানুষজাতি কিছুই না সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিজগতের কাছে।
তাহলে বিনয়ী না হয়ে উপায় কী বলুন?
বিনয়ী বলতে তাদের বোঝানো হয়, যারা অহংকার করে না। নিজেকে খুব বড় ভাবে প্রকাশ করে না। নিজেকে অন্যের কাছে জাহির করে না। নিজের কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করে, এবং তার জন্যেও “ভাব নেয়” না। অন্য যে কারো সাথে ইন্টারেকশনের সময় তার যে ব্যবহার (সে বয়সে ছোট হোক বা বড়) সেই ব্যবহারের ভেতরে প্রকাশ পায় বিনয় কারে কয়।
অন্য কোনো নিয়মকানুনে পাত্তা না দিলেও, মানুষ যে আশরাফুল মাখলুকাত, বা সৃষ্টির সেরা জীব, সেটা নিয়ে দ্বিমত খুব কম মানুষেরই আছে বোধহয় (যদি না সে এলিয়েন বিশেষজ্ঞ হয়)। তাই সবার ভেতরে নিজেকে অত্যাধিক তুলে ধরার একটা টেনডেন্সি দেখাই যায়। আমি অমুক, আমি ঐ জিনিস করে ফেলেছি, অমক দুনিয়া উল্টায় ফেলেছি, নানা কথা। আজকাল মানুষের শোনার পরিমাণ কমে গেছে। মানুষ শুধু বলতে ভালোবাসে নিজের কথা। নিজেকে তুলে ধরতেই যে ব্যাস্ত, সে অন্যের কথা শুনবে কোন অবসরে?
কিন্তু এভাবে চলার ভেতরে কোনো মহিমা নেই। পটল তুলতে টাইম লাগে না, ধ্বংসযজ্ঞেও টাইম লাগে না। প্রতি মুহুর্তে আমরা যে বেঁচে আছি, তার জন্যে শুকরিয়া আদায় করা উচিত আমাদের স্রষ্টার কাছে। অন্তত এজন্য শুকরিয়া আদায় করা উচিত যে পৃথিবীর আশেপাশে দিয়ে এত্তগুলো গ্রহাণু-উল্কাপিন্ড উড়ে ছুড়ে বেড়িয়ে যাচ্ছে, কিন্তু স্রষ্টার দয়ায় কোনোটাই পৃথিবীতে আঘাত করে পৃথিবীর দফারফা করে দিচ্ছে না।
আপনি এক সত্তার দয়ায় বেঁচে আছেন, এটা কখনোই ভুলে যাবেন না।
বিনয়ী হওয়ার প্রসঙ্গে অহংকারের কথা কেন তুলছি এত? কারণ আমার মতে বিনয়ী হওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো অহংকার থেকে বেঁচে থাকা। আপনি নিরহংকার থাকেন, আপনি বিনয়ী হয়ে থাকবেন। নিজেকে অত্যাধিক জাহির করবেন না, আপনি বিনয়ী হয়ে থাকবেন। কেউ আপনার কোনো উপকারে এলে দম্ভের ফিকির না দেখে তাকে সুন্দর করে একটা ধন্যবাদ জানাবেন, বিনয়ের সাথে। আমি এক্সট্রা বিনয়ী হতে বলবো না, কারণ মানুষ বাউন্ডারি বা লিমিট জিনিসটার ভেতরে থাকে কম। বেশি বিনয়ী হওয়ার তাগিদে অনেকে অনেক নিচে অবধি নেমে যেতে পারে, যেটা আবার আত্মসম্মানবোধের সাথে সাংঘর্ষিক।
সুতরাং, মাথার ভেতরে ঢুকিয়ে নিন, দুনিয়াতে আপনি সর্বশ্রেষ্ঠ হতে আসেন নাই, চাইলেও পারবেন না। কারণ দুনিয়ার সর্বশ্রেষ্ট মানুষের চেয়েও ইনিফিনিটি গুণ বেশি সম্মানের এক সত্তা রয়েছেন। আর তাঁর কাছে প্রত্যেকের মাথা নত করতে হয়। সেই অভ্যাসটা চলে এলে আপনার অহংকারও কমে যাবে। আর অহংকার জিরো হয়ে গেলেই গেলেই, আপনি বিনয়ী, আপনি সম্মানিত।
ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।
- 89 views
- 1 answers
- 0 votes
সুখী হওয়া একটি ব্যক্তিগত অনুভূতি, এবং তার উপায় অনেকের কাছে ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণভাবে কিছু উপায় রয়েছে যা বেশিরভাগ মানুষের জন্য কার্যকর হতে পারে:
1. আন্তরিক সম্পর্ক তৈরি করা: ভালো বন্ধু এবং পরিবারকে পাশে রাখা সুখের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ভালো সম্পর্ক মানুষকে মানসিক সমর্থন দেয় এবং আনন্দের অনুভূতি তৈরি করে।
2. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা: জীবনের ছোট ছোট ভালো দিকগুলোকে মূল্যায়ন করা এবং তাদের জন্য কৃতজ্ঞ থাকা। এতে মানসিক শান্তি আসে।
3. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকলে সুখের অনুভূতি আরও গভীর হয়। নিয়মিত ব্যায়াম এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
4. নিজের জন্য সময় বের করা: নিজের শখ, আগ্রহ এবং বিশ্রামের জন্য সময় রাখা, যাতে জীবন আরও পূর্ণতা পায়।
5. দ্বন্দ্ব এবং চাপের সাথে মোকাবিলা করা: জীবনে নানা ধরনের চাপ আসে, কিন্তু সেগুলোর সাথে সঠিকভাবে মোকাবিলা করা এবং সময় মতো বিশ্রাম নেওয়া খুবই প্রয়োজন।
6. সাহায্য করা: অন্যদের সহায়তা করলে, বিশেষ করে দুঃস্থ বা সাহায্যপ্রার্থী মানুষের সাহায্য করলে, অন্তরের সুখের অনুভূতি পাওয়া যায়।
এছাড়া, একজনের সুখী হওয়ার উপায় হতে পারে তার নিজস্ব অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গির উপর নির্ভরশীল।
- 93 views
- 1 answers
- 0 votes
**মেধাশক্তি বাড়ানোর** জন্য অনেক ধরণের উপায় রয়েছে, যা আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা এবং চিন্তা-ভাবনা করার দক্ষতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে। এটি একটি ক্রমাগত প্রক্রিয়া, যেখানে নিয়মিত চর্চা এবং সঠিক অভ্যাস তৈরি করা জরুরি। এখানে কিছু কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো, যা মেধাশক্তি উন্নত করতে সহায়তা করবে:
### ১. **নিয়মিত মস্তিষ্কের ব্যায়াম**
– **বই পড়া**: বই পড়া মস্তিষ্ককে চ্যালেঞ্জ করে এবং নতুন তথ্য শেখায়, যা আপনার চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ায়।
– **ধাঁধা বা পাজল সমাধান**: **কুমকুম**, **কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI)** গেমস, **সুডোকু**, এবং **ক্রসওয়ার্ড** ধাঁধা সমাধান করা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং সৃজনশীল চিন্তা করতে সহায়তা করে।
– **নতুন কিছু শেখা**: নতুন ভাষা, স্কিল বা দক্ষতা শেখা মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখে। এতে মস্তিষ্কে নতুন নেটওয়ার্ক তৈরি হয় যা চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ায়।
### ২. **সঠিক খাদ্যাভ্যাস**
– **ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড**: মাছ (বিশেষত স্যামন, ম্যাকেরেল), আখরোট, চিয়া সীড, এবং ফ্ল্যাক্স সীডে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করে।
– **ভিটামিন বি১২ এবং ফলিক অ্যাসিড**: এসব ভিটামিন মস্তিষ্কের সুস্থতা বজায় রাখে। এগুলি মাংস, ডিম, দুধ, শাকসবজি এবং ডালজাতীয় খাবারে পাওয়া যায়।
– **অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস**: ফল, বিশেষ করে বেরি, ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি ইত্যাদি মস্তিষ্কের শারীরিক অবস্থা সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এবং মেমরি বাড়াতে সহায়ক।
– **জল পান করা**: মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি। পানির অভাব হলে মনোযোগ এবং চিন্তার ক্ষমতা কমে যায়।
### ৩. **ভাল ঘুম (Sleep)**
– **পর্যাপ্ত ঘুম**: প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম মস্তিষ্কের সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম মেমরি এবং চিন্তা করার ক্ষমতা উন্নত করে। এটি মস্তিষ্কের কোষগুলিকে পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠন করতে সাহায্য করে।
### ৪. **শারীরিক ব্যায়াম**
– **নিয়মিত ব্যায়াম**: শারীরিক ব্যায়াম মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়িয়ে দেয়, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে। এটি **এন্ডোরফিন** হরমোন উৎপন্ন করে, যা মস্তিষ্ককে চনমনে এবং সতেজ রাখে।
– **যোগব্যায়াম ও মেডিটেশন**: যোগ এবং মেডিটেশন মনোযোগ এবং মস্তিষ্কের স্বচ্ছতা উন্নত করে। এগুলি মানসিক চাপ কমিয়ে চিন্তা-ভাবনা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
### ৫. **মনোযোগ এবং ফোকাস বৃদ্ধি**
– **পুনরাবৃত্তি**: নিয়মিত কোনো কিছু মনে রাখা বা স্মরণ করার জন্য একাধিক বার পড়া বা স্মরণ করা। যেমন, পড়ার সময় কোনো ধারণা বা তত্ত্ব একাধিকবার পুনরাবৃত্তি করতে পারেন।
– **বিশ্রাম ও বিশুদ্ধ সময়**: বেশি সময় একটানা কাজ করলে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই মাঝে মাঝে ছোট বিরতি নিন, যাতে মস্তিষ্ক আবার নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করতে পারে।
### ৬. **মানসিক চাপ (Stress) কমানো**
– **মেডিটেশন**: নিয়মিত মেডিটেশন বা মননশীলতা অনুশীলন করতে পারেন। এটি মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা উন্নত করে এবং চিন্তা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
– **প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটানো**: প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো, যেমন গাছপালা দেখা, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হাঁটা, মস্তিষ্ককে প্রশান্ত এবং তাজা রাখে।
### ৭. **সামাজিক সম্পর্ক এবং যোগাযোগ**
– **সহজ এবং ভালো সম্পর্ক**: ভালো বন্ধু, পরিবারের সদস্য বা সহকর্মীদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে যোগাযোগ এবং আলোচনা করা মস্তিষ্ককে সচল রাখে। এটি মস্তিষ্কের আবেগ এবং চিন্তা শক্তির জন্য সহায়ক হতে পারে।
– **বক্তৃতা বা আলোচনায় অংশগ্রহণ**: পাবলিক স্পিকিং বা আলোচনায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আপনার চিন্তা করার এবং প্রকাশ করার দক্ষতা উন্নত হয়। এটি আপনার মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
### ৮. **সৃজনশীলতা এবং আবিষ্কার**
– **কল্পনা শক্তি**: সৃজনশীল কাজ যেমন ছবি আঁকা, লেখালেখি, সংগীত সৃষ্টি ইত্যাদি আপনাকে মানসিকভাবে সক্রিয় রাখে এবং চিন্তার ক্ষমতা বাড়ায়।
– **প্রতিদিন কিছু নতুন চেষ্টা করুন**: দৈনন্দিন জীবনে কিছু নতুন কাজ করতে শিখুন। উদাহরণস্বরূপ, নতুন রেসিপি রান্না করা, নতুন কোনো ভাষা শেখা, বা কোনো নতুন কৌশল আয়ত্ত করা। এটি মস্তিষ্ককে সক্রিয় রাখবে।
### ৯. **আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি**
– **নিজের ক্ষমতার প্রতি আস্থা রাখা**: নিজেকে বিশ্বাস করা এবং আত্মবিশ্বাসী হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি মানসিক দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে এবং চিন্তা করার ক্ষেত্রে স্পষ্টতা আনে।
– **সামর্থ্য চ্যালেঞ্জ করা**: নিজের সীমাবদ্ধতা জানলেও ছোট ছোট চ্যালেঞ্জ নেওয়া শুরু করুন, যা আপনার মেধাশক্তি এবং সক্ষমতা পরীক্ষা করবে এবং উন্নতি করবে।
### ১০. **পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং বিনোদন**
– মস্তিষ্কের কাজের জন্য পূর্ণ বিশ্রাম ও বিনোদনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি কেবল মাত্র পড়াশোনা বা কাজের মধ্যে মনোনিবেশ করেন, তবে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে যাবে, ফলে মেধাশক্তি কমে যেতে পারে।
—
### উপসংহার:
মেধাশক্তি বাড়ানোর জন্য, একটি সুষম জীবনধারা এবং নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, পর্যাপ্ত বিশ্রাম, নিয়মিত ব্যায়াম, এবং সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে আপনার মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করা সম্ভব। মনে রাখবেন, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া, তবে আপনি যদি ধৈর্যসহকারে এগিয়ে যান, তাহলে আপনি অবশ্যই মেধাশক্তি উন্নত করতে সক্ষম হবেন।
- 88 views
- 1 answers
- 0 votes
নেটওয়ার্ক মার্কেটিং (Network Marketing) শুরু করতে হলে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অনুসরণ করতে হবে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং হলো একটি ব্যবসা মডেল যেখানে আপনি পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে পারেন এবং সেইসঙ্গে অন্যদের এই ব্যবসায় যোগ দিতে উৎসাহিত করতে পারেন। এখানে কিছু ধাপ দেওয়া হলো
- পণ্য বা সেবা নির্বাচন: প্রথমে এমন একটি পণ্য বা সেবা নির্বাচন করুন যা আপনি বিশ্বাস করেন এবং যা বাজারে চাহিদা রয়েছে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে আপনি যে পণ্য বা সেবা বিক্রি করবেন তা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি আপনার সফলতার একটি বড় অংশ।
- একটি বিশ্বস্ত কোম্পানি নির্বাচন: যে কোম্পানির পণ্য বা সেবা আপনি বিক্রি করবেন, তার সম্পর্কে ভালোভাবে গবেষণা করুন। কোম্পানির রেপুটেশন, পারফরম্যান্স, এবং পেমেন্ট পলিসি ভালোভাবে যাচাই করুন। কোনো স্ক্যাম কোম্পানি থেকে দূরে থাকুন।
- আপনার নেটওয়ার্ক তৈরি করুন: নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ের মূল কৌশল হলো নতুন লোকদের আকৃষ্ট করা এবং তাদের ব্যবসার অংশীদার হিসেবে আনা। আপনার পরিচিতজনদের, বন্ধুদের, এবং পরিবারকে আপনার পণ্য বা সেবা সম্পর্কে জানিয়ে তাদের আস্থা অর্জন করুন। তারপর তাদের মাধ্যমে আরও লোকদের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করুন।
- প্রশিক্ষণ ও আত্মবিশ্বাস গড়া: নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ে সফল হতে হলে আপনাকে প্রচুর প্রশিক্ষণ নিতে হবে। নেটওয়ার্ক মার্কেটিং কোম্পানিগুলোর অনেকেই তাদের সদস্যদের জন্য প্রশিক্ষণ বা সেমিনারের আয়োজন করে থাকে, যা আপনার ব্যবসায়িক দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে। আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলুন এবং আপনার পণ্য ও সেবা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানুন।
- অনলাইন এবং অফলাইন মার্কেটিং: আপনি অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম (যেমন: ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউব) ব্যবহার করে প্রচার করতে পারেন এবং অফলাইনে আপনার পরিচিতজনদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন। কন্টেন্ট মার্কেটিং, ভিডিও মার্কেটিং, ব্লগিং, এবং ওয়েবিনার পরিচালনা করে আপনার ব্যবসাকে বড় করতে পারেন।
- দৃঢ় মনোভাব ও ধৈর্য: নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ে সফল হতে হলে ধৈর্য, পরিশ্রম, এবং নিয়মিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। ফলাফল একদিনে আসবে না, তাই আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করুন।
- সহযোগিতা এবং টিম বিল্ডিং: সফল নেটওয়ার্ক মার্কেটিংয়ে শুধু আপনার বিক্রি নয়, আপনি যাদেরকে আপনার টিমে যুক্ত করবেন তাদেরও বিক্রি হতে হবে। তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিন, সহায়তা করুন এবং তাদেরকে সফল হতে সাহায্য করুন।
এভাবে আপনি নেটওয়ার্ক মার্কেটিং শুরু করতে পারেন এবং একে একটি লাভজনক ব্যবসায় রূপ দিতে পারেন।
- 193 views
- 1 answers
- 0 votes
দোকানে কোনো ক্রেতা যদি কিছু কিনতে না চায়, দোকানদার যতই তার পণ্যের গুণ-গুণাবলি বর্ণনা করে সাগর বইয়ে দিক, ক্রেতা কিছুই কিনবে না।
তাহলে দোকানদারকে অন্য ক্রেতার দিকে যেতে হবে, এই আগের ক্রেতাকে তার নিজের পথে চলতে দিয়ে।কিন্তু দোকানদার যদি নতুন ক্রেতার দিকে মনোযোগ না দিয়ে ঐ আগেরজনকে নিয়েই পড়ে থাকে, কাহিনী হবে দুইটা।
এক, এই ক্রেতা বিরক্ত হয়ে দোকানের সুনাম ঘুচিয়ে দেবে। নতুন ক্রেতা আসতে চাইবে না।
দুই, নতুন ক্রেতা এমনিও আসতে চাইবে না, কারণ দোকানদার তাদের মুল্য না দিয়ে সেই পুরোনো ক্রেতাকে সন্তষ্ট করতেই লেগে আছে।একই ক্ষতি, কিন্তু হলো দুই দিক থেকে।
তাই এখান থেকে বাঁচতে চাইলে, স্কিপ করতে শিখুন।আচ্ছা দুনিয়ার কত্ত মানুষ আছে? বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে সবাই আপনার শ্রোতা। কিন্তু আপনি তো সব ভাষা জানেন না, কিন্তু ইংরেজি ভালো পারেন। নেন তাহলে দুনিয়ার অর্ধেক মানুষ আপনার শ্রোতা। কিন্তু আপনি ইংরেজি তো পারেন না, শুধু বাংলা পারেন। নেন তাহলে বাংলাদেশের মানুষ আপনার শ্রোতা। ও আচ্ছা, আপনি লেখাপড়াই পারেন না। তাহলেও আপনার পাড়া-প্রতিবেশী-আত্মীয় মিলিয়ে এক-দুই হাজার মানুষ তো আপনার শ্রোতা হবেই।
শ্রোতার সংখ্যা যদি এক হাজারও হয়, সংখ্যাটা কি ছোট? এর ভেতরে কেউ-ই কি আপনার কথার দাম দিবে না?
অবশ্য না দিতেও পারে। সেক্ষেত্রে, আপনার কথার ভেতরে ঝামেলা আছে। ঠিক করে ফেলুন।
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাবে, কিছু মানুষের কাছে আপনার দাম নাই। স্বাভাবিক। কোনোকালেই থাকবে না। আপনি হাজার চেষ্টা করেও পারবেন না। সবার খুশির পাত্র হওয়াও যায় না। সবার কাছ থেকে দাম আদায় করে নেওয়াও যায় না। দরকারও নাই।
কাহিনীটা হচ্ছে, ফেসবুকের একটা পোস্টে ১হাজারটা লাভ রিয়েক্টের ভেতরে ১ট হাহা রিয়েক্ট আমাদের নজরে পড়ে। ৫০০ কমেন্টের ভেতরে ১টা বিরক্তিকর কমেন্ট থেকে আমাদের চোখ সরে না। এই কারণে অনেক লোকে আমাদের কথার গুরুত্ব দিলেও আমরা খুব একটা খেয়াল করি না। খেয়াল থাকে, কে দাম দিলো না তার ওপর।
সুতরাং কথার দাম না দিলে, ঘাড় ত্যাড়া করে তর্ক করতে যাবেন না। স্কিপ করতে শিখুন। যারা আপনার কথার দাম দিচ্ছে তাদের চিনতে শিখুন। তাদের সাথে মিশুন। তাদের কথারও দাম দিতে শিখুন। অনেক ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।
- 88 views
- 1 answers
- 0 votes
আমাদের মস্তিষ্ক সবসময় চিন্তা করে চলে এটাই মস্তিষ্কের ধর্ম। আমাদের দেহের কোন অংশেতে একটি কোষ ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে এবং তাকে সুস্থ করতে হবে সেই চিন্তাটা মস্তিষ্কের। কিন্তু এই চিন্তাটা যে মস্তিষ্ক করছে সেটা আমাদের চিন্তাতে আসেনা। হৃদপিণ্ড কে সবসময় ধুকপুক করাতে হবে, এই চিন্তার দায়টাও আমরা মস্তিষ্কের উপর ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত। সচেতন এবং অবচেতনভাবে মস্তিষ্ক ক্রমাগত চিন্তা করে চলেছে। অবচেতনভাবে মস্তিষ্ক যে চিন্তাগুলো করে সে গুলোকে স্তব্ধ করলে জীবন স্তব্ধ।
সচেতনভাবে আমরা যে চিন্তাভাবনাগুলো করি সেগুলো আমাদের টেনশনের কারণ। সচেতনভাবে আমরা কি ধরনের চিন্তা করি এবং টেনসনে আক্রান্ত হই?
সংসারের চিন্তা, ভবিষ্যতের চিন্তা, দেশের রাজনৈতিক চিন্তা ইত্যাদি নানান রকমের চিন্তা।
মনকে চিন্তা শূন্য সব সময় করে রাখা উচিত নয়। তবে চিন্তার উপরে নিয়ন্ত্রণে আনা অত্যন্ত জরুরী। এক্ষেত্রে জাগতিক এবং আধ্যাত্মিক দুটো উপায় আছে। আর আরেকটা আছে জীবন যুদ্ধে আমার মতো ফাঁকিবাজ ছাত্রদের জন্য বিশেষ টোটকা।
জাগতিক উপায় হচ্ছে, যখন কোন বিষয়ে প্রচন্ড চিন্তা হবে তখন কায়িক পরিশ্রম হয় এমন কাজ করা শুরু করে দিন। না করতে ইচ্ছা হবে না। কিন্তু করতেই হবে। কাজ না থাকলে খুঁজে কাজ বার করে কাজ করুন যাতে পরিশ্রম হয়। টেনশন থেকে অনেক স্বস্তি পাওয়া যাবে। সম্প্রতি আমি পারিবারিকভাবে বিশাল সমস্যায় রয়েছি মারাত্মক ডিপ্রেশন আসছে মাঝে মাঝে। কারণটা আমার পূর্ববর্তী লেখায় আপনি পেয়ে যাবেন, যাইহোক এই মুহূর্তে যখন আমার প্রচন্ড চিন্তা অথবা ডিপ্রেশন অথবা দুঃখ আসছে তখন আমি দেহের পরিশ্রম হয় এমন কাজকর্ম করা শুরু করে দিচ্ছি। পেশাগত কারণে আমার কাজ কম্পিউটার টেবিলে বসে। ডিপ্রেশন যখন আসে তখন আমি ঘর মোছা-ঝাড় দেওয়া বাসন মাজা ইত্যাদি পরিশ্রমের কাজ করা শুরু করেদি। এর ফলে অনেকটা টেনশন মুক্ত রাখতে পারছি নিজেকে। যদিও এ ধরনের কাজ করার ফলে আমার পরিচারক আমাকে হয়তো পাগল ভাবছেন। কিন্তু কিছু করার নেই। আপনি বাঁচলে বাপের নাম ।
আধ্যাত্বিক উপায় টা হচ্ছে মনকে চিন্তাশূন্য করার জন্য নাক দিয়ে নিঃশ্বাস নিয়ে মুখ দিয়ে নিঃশ্বাস ছাড়া এবং নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় মনে করতে হবে যে নিশ্বাসটা প্রবেশ করছে দুই ভুরুর মাঝখানে অবস্থিত তৃতীয় নেত্র দিয়ে। সামান্য প্রক্রিয়া। কিন্তু এতে দ্রুত মস্তিষ্কের উপর কন্ট্রোল আসে। মনকে চিন্তাশূন্য করা যায় সহজে। কারণ, আপনি যখন নিঃশ্বাসে ধ্যানস্থ হচ্ছেন তখন চিন্তাটা নিঃশ্বাসে থাকছে আর ধ্যানস্থ হওয়ার কারণে নিঃশ্বাস এর মাত্রা আছে আস্তে আস্তে কমছে। এতে মস্তিষ্ক চিন্তাশূন্য হয়ে যাচ্ছে অভ্যাসের মাধ্যমে।
গোজামিল পদ্ধতি আছে একটা। সেটা হচ্ছে মস্তিষ্ককে বোকা বানানো। আপনি কোন বিষয়ে চিন্তা করছেন। সেখান থেকে আরেকটা বিষয় পৌঁছাচ্ছেন। এরকম করে দশ মোটা চিন্তা ক্রমাগত করে যাচ্ছেন। এবার আপনি আপনার মস্তিষ্ককে মন দিয়ে প্রশ্ন করুন, আমি তো এই দশটা চিন্তা করলাম এরপরে আমার কি নিয়ে চিন্তা করা উচিত? ক্রমাগত মস্তিষ্ককে এই প্রশ্ন টি করতে থাকুন। মস্তিষ্ক বোকা হয়ে চিন্তা করা বন্ধ করে দেয়।
ট্রাই করে দেখুন, আমার কাজে লেগেছে আপনাদের যদি কাজে লাগে ভালো লাগবে। যদিও চিন্তা ভরা এই বিশ্বে চিন্তামণির কর্মে এ ব্যাঘাত ঘটানো অধিকার আমার নেই।
প্রশ্ন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
- 135 views
- 1 answers
- 0 votes