10773
Points
Questions
23
Answers
5384
একজন মানুষকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে ঘুম অত্যন্ত জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিষয়টি এমন নয় যে শুধু ঘুমালেই হয়, একজন মানুষকে সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে হলে প্রয়োজন পরিমিত পরিমাণ ঘুমের।
তাহলে একজন মানুষের দৈনিক কয় ঘন্টা ঘুমালে শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ রাখা সম্ভব?
উত্তরটি জানতে হলে আপনাকে প্রথমে কিছু জিনিস বুঝতে হবে তা হলো
আমরা জানি ১ দিন= ২৪ ঘন্টা!
আমাদের দৈনিক ১ ঘুম দিয়েই ২৪ টা ঘন্টা মানে ১ দিন অতিবাহিত করতে হয় (কেউ কেউ রাতের পাশাপাশি বিকালেও ঘুমান, মানে দিনে ২ বার)।
মূল কথায় আসি ২৪ ঘন্টা মানে অনেক সময়। যদি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কাজকর্ম ইত্যাদি আরও নানান জিনিসে সময়ে ব্যয় করতে হয় তাহলে এই ২৪ ঘন্টার ৩ ভাগের ১ ভাগ আমাদের ঘুমের প্রয়োজন হবে।
এই ২৪ ঘন্টা সময়কে যদি আমরা ৩ দিয়ে ভাগ দেই তাহলে ২৪÷৩=৮ ঘন্টা হয়, মানে ১ দিনের ৩ ভাগের ১ ভাগ হল ৮ ঘন্টা সময়।
১৬ ঘন্টা জেগে থাকতে ৮ ঘন্টা ঘুমনোকে অনেক বেশি সময় মনে হলেও এই ৮ ঘন্টার ঘুম আমাদের মানব শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য অতি জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এটিকে বৈজ্ঞানিভাবে পরিক্ষা করে দেখা হয়েছে এমনভাবে যে
১০ জন লোককে দুটি দলে ভাগ করা হলো তাদের মধ্যে ৫ জনকে দৈনিক ৫ ঘন্টা করে ঘুমাতে দেয়া হলো এবং অপর ৫ জনকে দৈনিক ৮ ঘন্টা করে ঘুমাতে দেয়া হলো।
এক সপ্তাহে পর যখন উভয় দলকে একই কাজ করতে দেয়া হল তখন দেখা গেল ৫ ঘন্টা ঘুমানো ব্যক্তিদের তুলনায় ৮ ঘন্টা ঘুমানো ব্যক্তিরা কাজটি ঠিকঠাকভাবে এবং দ্রুত করতে পেরেছে এবং ৫ ঘন্টা ঘুমানো ব্যক্তিরা কাজটি করতে বেশি সময় নিয়েছে এবং কাজটি শেষ করার পর উভয় দলকে তাদের অনুভতি প্রকাশ করতে বলা হলো
৮ ঘন্টা ঘুমানো ব্যক্তিদের প্রতিক্রিয়া ছিল স্বাভাবিক অন্যদিকে ৫ ঘন্টা ঘুমানো ব্যক্তিরা বললেন যে কাজটি করার সময় তারা তাদের মস্তিষ্কে একধরণের চাপ অনুভব করেন যা বলে বুঝানো সম্ভব নয়।
আশা করি বিষয়টি বুঝাতে পেরেছি।
তাহলে আমাদের দৈনিক ৮ ঘন্টা বা তার একটু বেশি সময় ঘুমানো উচিত (দিন এবং রাত উভয় মিলিয়ে)।
বিঃদ্র: উল্লেখিত বিষয়গুলো শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের (১৮-৬০বছর) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, বেশি বয়স্ক লোক বা বাচ্চাদের জন্য নয়।
ধন্যবাদ আমাকে প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করার জন্য।
- 135 views
- 1 answers
- 0 votes
কাইণ্ডলি রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা দরকার নেই। রাগকে কাজে লাগান। কারণ রাগলে ৪৭ টা পেশি একসাথে কাজ করে এই বিপুল শক্তিকে রূপান্তর করুন সুকর্মে। নিজের টার্গেট পূরণ করেন শক্তিটি দিয়ে।
এবার নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক কয়েকটি চালাকি পরামর্শ নিচেঃ
১. ইউ টার্ন মেথডঃ যে/যারা আপনাকে রাগায় সে/তারা অবশ্যই আপনার থেকে কম ভালো মন-মানসিকতার এবং আপনার থেকে ধৈর্য কম। অন্যরা আপনাকে অপমান,অবজ্ঞা এসব করে একটাই কারণে শুধু আপনাকে রাগানোর জন্যই।হ্যা শুধু আপনাকে রাগানোর জন্যই।পরিণামে সে আনন্দ পায় আপনি পান দুঃখ এই টুকুই আরকিচ্ছু না । তো ট্রিকটা যেহেতু শিখে ফেললেন তাই অন্যের কথায় না রেগে তাকেই তার ভুল উস্কিয়ে দিয়ে ইউটার্ন নিন। যে আপনাকে রাগাবে তার সাথে ভালো ব্যবহার করুন। কাজে দেবে। তারপরও আপনাকে কষ্ট দিলে আপনি শুধু মনে কষ্ট পাবেন, রাগবেন না।
২. আংশিক রিয়েকশন মেথডঃ মুখের উপর তাকে কিছু একটা ফল্ট সিম্পলি বলে দিন ফলাফল বিবেচনা না করে। এতে আপনার ভেতর চাপা ক্ষোভ, গীবত এসব হতে মুক্তি পাবেন। রিএকশন হিসেবে কোনো কিছু সিম্পলি বলে দিলে ফলাফল যা হবার হোক at least আপনি চাপা রাগের ক্ষতিকর দিক থেকে মুক্তি তো পেলেন।
৩. বই পড়া মেথডঃ ঘন ঘন বই পড়া মানুষ খুব কমই রাগে আর খুব কম সরাসরি আরেকজনকে নিয়ে ভাবে।
৪. সেলফ মেথডঃ এ মেথডে আপনাকে শুধু আপনিই রাগাবেন নিজের স্বার্থে যখন দরকার পড়বে সে সময়। (অন্যের কথায় রেগে গেলে সে তো আনন্দ পাওয়ার আশায় আপনার রাগকে আনন্দের উৎস বানিয়ে ফেলবে।) এ পদ্ধতি টা আমার খুব কাজে লাগে। মেজাজ খিটখেটে লাগলে অল্পস্বল্প টক খাই।
ধৈর্যশীলদের রাগ হতে সাবধান থাকবেন কেমন। ভালো ভাবে রাগকে নিজের সম্পত্তিতে পরিণত করুন।রাগ করা পুরোপুরি ছেড়ে দেবেন না বরং বেশি বেশি রাগুন আর রাগকে কনভার্ট করুন শুধু নিজের প্রয়োজনে, তবে মিসইউজ করবেন না। রাগ জিনিসটা প্রয়োজন আছে এজন্যই তো জিনিসটা আমাদের ভিতরে installed করা রয়েছে। রাগান্বিত অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ কোন সিদ্ধান্ত implement করবেন না।★ অনেকে আবার মানুষকে শাসনে রাখার জন্য সবসময় রাগ রাগ ভাবে থাকে। এটা রাগের ভুল ব্যবহার । রাগের মিসইউজ না করে ইউজ করুন সুন্দর থাকুন।
- 144 views
- 1 answers
- 0 votes
ভাই স্মার্ট কি?
আমি মনে করি, প্রকৃত স্মার্ট তারাই যারা আল্লাহ ভীরুতার ভিতর দিয়ে আল্লাহ এর আইন মেনে সব মানেজ করতে পারে। যার আল্লাহ ভীরুতা নাই, যার সবার সাথে মানেজ করার সামর্থ্য নাই, যে বিপদে ধৈর্য ধারণ করতে পারে না, গুছায়ে চলতে পারে না তারা কোন ভাবেই স্মার্ট এর ভিতরে পরে না। বলতে পারেন যে এত বড়ো চাকরী করে বা ইত্যাদি ইত্যাদি, কিন্তু টাদের কিছু সাময়িক অবস্থানকে আপনি দেখছেন বলে এমন ভাবছেন। হা তাদের ছোট না করার জন্য বলতে পারেন তারা পারসিয়াল স্মার্ট। জীবনের সাথে ইসলামের সমন্বয় করে চলতে পারাই তো বিশাল স্মার্টনেস। জীবনের প্রতিটা বিষয়ের সাথে যে কুরআনের সমন্বয় ঘটাতে পারে, সেই স্মার্ট।
- 131 views
- 1 answers
- 0 votes
সবার চাইতে সেরা হতে গেলে প্রথমে নিজের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে এবং আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। আপনি যে ক্ষেত্রেই চেষ্টা করছেন, সেখানে দক্ষতা অর্জন করুন, পরিশ্রম করুন এবং একাগ্রভাবে কাজ করুন। নিজের ভুলগুলো থেকে শেখার আগ্রহও থাকতে হবে।
এছাড়া, অন্যদের সম্মান করা এবং তাদের সাহায্য করা গুরুত্বপূর্ণ। সেরা হওয়ার মানে শুধু নিজের উন্নতি নয়, বরং অন্যদের সঙ্গে সঠিক সম্পর্ক গড়ে তোলা। মনে রাখবেন, সাফল্য ধৈর্য এবং আত্মবিশ্বাসের সমন্বয়।
- 130 views
- 1 answers
- 0 votes
প্রথমেই আপনাকে এই ধরনের প্রশ্ন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই
এখানে আমি আমার ব্যাক্তিগত মণের কথা গুলো বলছি (অনেকেই হয়তো আমার এই কথার সাথে সহমত হবেন না তবুও পরামর্শটি পরে দেখুন কিছুমাত্র উপকারে আসতে পারে)
প্রসঙ্গ যখন মানসিক তৃপ্তির, তখন আমি প্রথমেই বলতে চাই আমার কিছু প্রিয় সখের কথা( কবিতা লেখা, পুরোনো দিনের বাংলা গান শোনা ) হ্যাঁ আজকের এই ব্যস্ত–চঞ্চল জীবনে এতটুকু নিজের জন্য সময় বের করে অবসরে নিজের সুপ্ত প্রতিভা গুলো খুঁজে বের করে নিতে পারলেই কোনো মানুষের থেকেও অনেক বেশি তারা মানসিক তৃপ্তি প্রদান করতে পারে, তবে এই সুযোগ, সময় বা পরিস্থিতি এবং উপলব্ধি করার মতো মণ থাকা চাই, যদিও এই হৃদয় সবার আছে শুধু খুঁজে নেওয়ার তাগিদ টা সবার থাকে না। আমি আমার লেখালিখি কে সঙ্গী করেই অনেকটা মানসিক তৃপ্তি অনুভব করি, মণ খারাপ কিংবা মানসিক চাপ অনেকটা কমে যায় কবিতা লিখলে,সেই কবিতা আবৃত্তি করে ইউটিউব চ্যানেলে ( Yash’s Emotion) মাঝে মাঝে আপলোড করি যদি ইচ্ছে হয় আপনিও আমার আবৃত্তি শুনে দেখতে পারেন, আশা করবো খুব খারাপ লাগবে না.. তো যাইহোক, নিজেকে সময় দেওয়া, কোনো সৃষ্টিশীল কাজে নিজের মণ বসানো এই সবের মধ্যে দিয়েই আপনিও মানসিক তৃপ্তি অনুভব করতে পারেন।
ধন্যবাদ
- 80 views
- 1 answers
- 0 votes
- ভোরের পাখির কিচিরমিচির শব্দ, মেঘলা আকাশ, শীতল বাতাস।
- গল্পের বই পড়া (রোমান্টিক, রহস্য)।
- রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনা (স্পটিফাইতে)।
- লেখালেখি করা (কোরা, মিডিয়াম)।
- একা একা নির্জনতা, নিস্তব্ধতা, নীরবতা উপভোগ করা (বেলকনিতে বসে)।
- টিভি সিরিজ দেখা (নেটফ্লিক্সে)।
- কবিতা আবৃত্তি শোনা, আবৃত্তি করা (আমার উচ্চারণে ভুল অনেক)।
- অতীতের ভালো স্মৃতি মনে করা (ছোটোবেলার ভন্ডামি)।
- কল্পনা করা (নতুন কিছু আবিষ্কারের)।
- নতুন নতুন স্কিল শেখা (কোর্সেরা থেকে)।
- অপরকে সাহায্য করা (তরুণদের)।
- পরিবারের সাথে ফোনে কথা বলা (বাবা-মা, দুই ভাই)।
- লাইব্রেরিতে বসে বই পড়া (ইউনিভার্সিটি লাইব্রেরি)।
- একা একা হাঁটাহাঁটি করা (রাতে আর সকালে)।
- ছোটো বাচ্চাদের কাঁদানো (আমার ব্যক্তিগতভাবে ভালো লাগে)।
- নৌকা চালাতে গিয়ে নৌকা ডুবে যাওয়া (অনেক ডুবেছি)।
- মাছ ধরতে গিয়ে সাপ ধরা (অনেকবার এমন হয়েছে)।
- নিজের সাথে, বইয়ের সাথে কথা বলা (বিজ্ঞানীদের সাথে কথা হয় বেশি কিন্তু কল্পনায়)।
- বই পড়তে উৎসাহিত করা (সবাইকে)।
- বই উপহার দেয়া (এখন থেকে কমিয়ে দিয়েছি অনেক)।
- 90 views
- 1 answers
- 0 votes
মানুষকে দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু কৌশল বা স্ট্র্যাটেজি প্রয়োগ করলে কাজটা সহজ হয়ে যায়। এটি মূলত মানুষের মনস্তত্ত্বের ওপর নির্ভর করে। নিচে কিছু কার্যকর পদ্ধতি দেওয়া হলো:
১. স্বচ্ছ ও পরিস্কার যোগাযোগ স্থাপন করুন
মানুষকে দিয়ে কাজ করাতে হলে প্রথমে তাকে বুঝিয়ে বলুন কেন কাজটি গুরুত্বপূর্ণ। স্বচ্ছ ও পরিস্কারভাবে কাজের উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করুন।
২. লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং কাজটি ভাগ করুন
যদি কাজটি বড় হয়, সেটি ছোট ছোট অংশে ভাগ করে দিন। এতে করে মানুষের মধ্যে কাজের চাপ কমে এবং সহজে কাজ শেষ করতে উৎসাহ পায়।
৩. সম্মান ও প্রশংসা দিন
প্রত্যেক মানুষ সম্মান ও স্বীকৃতি পেতে চায়। কাজটি ভালভাবে করলে তাকে সঠিকভাবে প্রশংসা করুন। এতে তার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং পরবর্তীতে আরও ভালো কাজ করতে উৎসাহ পাবে।
৪. উদাহরণ দিয়ে বোঝান
আপনি যা আশা করছেন তার একটি উদাহরণ দেখিয়ে দিলে অনেক সময় কাজটি আরও সহজে করানো যায়। এতে কাজটি নিয়ে পরিষ্কার ধারণা পাবে এবং ভুল কম হবে।
৫. সহায়তা এবং সম্পদ প্রদান করুন
যদি কোনো বিশেষ সহায়তা বা রিসোর্স প্রয়োজন হয়, তা সরবরাহ করুন। এতে ব্যক্তি অনুভব করবে যে আপনি তার সাফল্য কামনা করছেন এবং তাকে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।
৬. অনুপ্রেরণা দিন
কোনো কাজের জন্য অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাঝে মাঝে তার প্রচেষ্টার প্রশংসা করুন এবং কাজের মূল্যায়ন দিন।
৭. সময় এবং স্বাধীনতা দিন
কোনো কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময় দিন কিন্তু সেই সময়ে স্বাধীনতা প্রদান করুন। এতে করে ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে এবং সৃজনশীলভাবে কাজ করতে পারে।
৮. ইনসেন্টিভ বা পুরস্কার দিন
যদি সম্ভব হয়, কাজটির সফল সমাপ্তির জন্য কিছু ইনসেন্টিভ বা পুরস্কারের ব্যবস্থা করুন। এটি মানুষকে কাজের প্রতি আগ্রহী করবে।
এই কৌশলগুলো মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, এবং কাজের প্রতি তাদের আগ্রহ ও দায়বদ্ধতা বাড়ায়, ফলে কাজগুলো আরও সহজে এবং কার্যকরভাবে করিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়।
- 78 views
- 1 answers
- 0 votes
ধন্যবাদ আপনার সুন্দর প্রশ্নটির জন্য, অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা গুলোর মধ্যে গুছিয়ে কথা বলার দক্ষতা অন্যতম একটি দক্ষতা।
পাবলিক স্পিকিং অর্থাৎ পৃথিবীতে ৮০ শতাংশ মানুষের সাপ কামড়ানোর ভয় এর চাইতেও পাবলিক স্পিকিংকে মানুষ বেশি ভয় পায়।
পাবলিক স্পিকিং মানে যে বড় বড় স্টেজের সামনে বা মিডিয়ার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হবে তা কিন্তু না, আপনি আপনার 10 জন বন্ধুর সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন এটাও কিন্তু পাবলিক স্পিকিং এর অংশ।
আপনি আপনার পরিবারের লোকজনের সামনে দাঁড়িয়ে কিভাবে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলবেন গুছিয়ে গুছিয়ে সেটাও কিন্তু পাবলিক স্পিকিং এর একটি অংশ।
একজন বিক্রেতা কিভাবে তার কাস্টমারের সামনে গুছিয়ে কথা বলবে এটাও কিন্তু পাবলিক স্পিকিং এর একটা অংশ।
তাই গুছিয়ে কথা বলার জন্য ছোট একটি টেকনিক আমি আপনাদের সামনে শেয়ার করছি যেটি আমি নিজেও ব্যবহার করে থাকি।
কারন আমাকেও পাবলিক স্পিকিং এর বিষয়টা নিয়ে অনেক ডিল করতে হয় এবং পাবলিক স্পিকিং নিয়েই বেশিরভাগ কাজ আমাকে করতে হয়।
প্রথম ধাপ: সবার প্রথমে আপনাকে বিবেচনা করতে হবে আপনি কার সামনে কথা বলছেন অর্থাৎ তারা আসলে কে?
দ্বিতীয় ধাপঃ (প্রয়োজন, আগ্রহ, উদ্বেগ, প্রত্যাশা) সুন্দরভাবে গুছিয়ে কথা বলার জন্য এই চারটি বিষয়ের যেকোনো দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দিন অর্থাৎ যাদের সামনে আপনি কথা বলবেন।
আমি একটি কথা খুবই বিশ্বাস করি সেটি হচ্ছে যখন আমি কারো সাথে কথা বলি তখন কিন্তু আমি আমার আগ্রহের বিষয়গুলো তাদের সাথে কম শেয়ার করি আগে তাদের প্রয়োজনীয়তা, তাদের আগ্রহ, তাদের উদ্বেগের বিষয় গুলোকে অনুসরণ করি।
এতে আপনার শ্রোতারা খুব সহজেই আপনার সাথে একটি ভালো কানেকশন অনুভব করবে, যার ফলে আপনি এখন যে ধরনের বিষয়বস্তু এর উপর বক্তৃতা প্রদান করুন না কেন শ্রোতারা আপনার কথা অবশ্যই শুনবে এবং আপনার উদ্দেশ্যটিও হাসিল হবে।
- তাদের মধ্যে কি এমন প্রয়োজনীয়তা আছে?
- কি এমন আগ্রহ আছে?
- তাদের উদ্বেগের বিষয় কি এবং
- তারা কি প্রত্যাশা করছে?
এই চারটি জিনিস বুঝতে পারলে আপনি অনেক কিছু বুঝে যেতে পারবেন, আসলে আপনি যাদের সামনে কথা বলতে চাচ্ছেন তারা আসলে কি চাচ্ছে আপনার কাছ থেকে, আপনি তাদেরকে কি বুঝাতে চাচ্ছেন।
অর্থাৎ এই ধাপে আপনি যাদের সামনে গুছিয়ে কথা বলবেন তাদের এই বিষয়গুলোকে আগে মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে।
তৃতীয় ধাপঃ অবশ্যই আপনি সে বিষয়গুলোই বলবেন যা আসলে আপনি নিজে থেকেই কিছুটা জানেন, বলতে গেলে অনেকটাই জানেন। কারণ আলতু ফালতু কথা বলে তো সময় নষ্ট করে লাভ নেই আর আপনি সে জায়গায় গিয়ে আপনার সময়কে নষ্ট করবেন না, যে পরিবেশের অনেককিছুই আপনি বোঝেন ঠিক কিন্তু কম জানেন।
বিশ্বাস করুন আমি এই তিনটি ধাপ অনুসরণ করে মোটামুটি বেশিরভাগ জায়গায় সফল হয়েছি এবং এখনো হচ্ছি। এই তিনটি ধাপের টেমপ্লেট আপনি ব্যবহার করুন।
উপরের তিনটি ধাপ আসলে এমন বৈজ্ঞানিক ভাবে তৈরি করা যার মাধ্যমে আপনি সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপরে কথা বলতে পারবেন, আপনার নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন এবং আপনার যারা শ্রোতা হবে তারাও কিন্তু আপনার সাথে সংযুক্ত হয়ে যাবে।
পোষ্টের নিচে মন্তব্যর সেকশনে আপনার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের আমি অবশ্যই আশা করি পোস্টগুলোর বিষয়বস্তু গুলো যদি বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই সেখানে মন্তব্য করুন অথবা আমাকে মেনশন করুন তাহলে আমি বুঝতে পারবো আপনাদের এই বিষয় সর্ম্পকে অনেক আগ্রহ আছে।
এবং আমি সিরিজ আকারে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট বিষয়বস্তুর উপরে পার্ট বাই পার্ট তৈরি করব।
ধন্যবাদ
- 100 views
- 1 answers
- 0 votes
___ভাই আপনার কি সময় হবে, পাঁচটা সূরা বলবো এই সূরা গুলোর অর্থ দেখার সময় হবে আপনার, আপনি অবিশ্বাসীদের মত হয়ে যাচ্ছেন, এখন বিশ্বাস ফিরিয়া আনতে এই সূরা গুলো দেখা দরকার, এই সূরাগুলো দেখবেন অর্থ তাহলেই দেখবেন বিশ্বাস ঠিক হয়ে গিয়েছে,
- আমি এখানে এক একটি করে সূরা দিয়ে দিচ্ছি, মোট পাঁচটা সূরা এই পাঁচটা সূরার অর্থ যদি আপনি পুরোপুরি দেখতে পারেন তাহলেই বুঝবেন, মনের মধ্যে অবিশ্বাসী তৈরি হওয়ার কারণ কি, আর মরার পরে শাস্তি কি,
___এখন এক একটি করে সূরা বাংলা দেখুন মনোযোগ দিয়ে পড়বেন__?
____আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হবেন না, আল্লাহর রহমত থেকে দূরে যাবেন না, তার কারণ আল্লাহর রহমতে পড়ে আছে রাগ ও গজব, যা তোমরা সহ্য করতে পারবে না, তাই আল্লাহর রহমতে ভিতরে থাকো,
- 86 views
- 1 answers
- 0 votes
কিছু কথা আছে, যা সবার সাথে শেয়ার করা উচিত নয়, কারণ এগুলো আপনার ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও মানসিক শান্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, আপনার গভীর ব্যক্তিগত অনুভূতি, দুর্বলতা বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এমন কারও সঙ্গে শেয়ার করবেন না, যে আপনার অনুভূতিগুলোকে সম্মান করে না বা এগুলোকে অন্যভাবে ব্যবহার করতে পারে। তাছাড়া, আপনার আর্থিক তথ্য বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতাও সব মানুষের কাছে খোলামেলা বলা ঠিক নয়।
মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং তাদের মনোভাব বুঝে কথা শেয়ার করা জরুরি, কারণ কেউ কেউ আপনার কথাগুলোকে আপনাদের সম্পর্ককে গভীর করতে ব্যবহার করলেও, কেউ কেউ তা নেতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে পারে। আমি অনেক সময় এখান থেকে অনুপ্রেরণামূলক ও ব্যক্তিগত উন্নতির বিষয়গুলো দেখি, যা আমাকে বুঝতে সাহায্য করে যে কাকে কী শেয়ার করা উচিত আর কীভাবে নিজের ব্যক্তিগত সীমানা নির্ধারণ করা যায়।
- 111 views
- 1 answers
- 0 votes