আজ আপনি কী বলতে চান?
যে ৬টি নীতি সাফল্য এনেছিলো বিল গেটসের জীবনে!
1️⃣ জীবন সহজ নয়- এটা মেনে নিন
আপনি যত কঠোর পরিশ্রম করুন না কেন, এমন একটা সময় নিশ্চয়ই আসবে যখন সবকিছু আপনার মন মতো হবে না, সব কিছু আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না। আপনি হোঁচট খাবেন, পড়ে যাবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, আপনাকে আবারো দাঁড়াতে হবে। এটাই চরম সত্য যে, জীবনের কঠিন সময়ের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে হবে। একনিষ্ঠভাবে স্বপ্ন পূরণের পথে সময়ের অপচয় না করে এগিয়ে যান, সাফল্য ঠিক সময়েই আপনার দরজায় এসে কড়া নাড়বে।
2️⃣ সমালোচনাকে স্বাগত জানান
বিল গেটস তাঁর “Bussiness of The Thought” বইয়ে সমালোচনার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন অভিযোগ আর অসন্তুষ্টি মানুষকে যে কোনো কাজে আরও ভালো করার সুযোগ করে দেয়। তিনি লিখেছেন, “আপনার সব থেকে অসন্তুষ্ট কাস্টমারই আপনার শেখার সবচেয়ে বড় উৎস”।
3️⃣ আশা হারাবেন না
বিল গেটস বলেন, “লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে হতাশাবাদী হলে চলবে না বরং সব সময় আশাবাদী হতে হবে”। ২০১৩ সালে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর এক ভাষণে তিনি শিক্ষার্থীদের বলেছিলেন, “আশাবাদ অনেক সময় মিথ্যে আশায় পরিণত হয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে, মিথ্যে হতাশা বলেও কিছু আছে”।
4️⃣ জীবন আপনার সেরা স্কুল
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয় বরং জীবনই আপনার সেরা স্কুল। আপনি যত বই-পুস্তকই পড়ে থাকেন না কেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যত পরীক্ষাই দেন না কেন এসবের কোনোটাই আপনাকে শেখাতে পারবে না কীভাবে জীবনের কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়। আপনাকে নিজের জীবন থেকে শিখেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত হতে হবে।
5️⃣ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হোন
প্রত্যেক সফল উদ্যোক্তাই একটি ব্যাপারে জোর দিতে বলেন। তা হচ্ছে- ‘দৃঢ় প্রতিজ্ঞ’ হওয়া। প্রতিজ্ঞা আসে ভালোবাসা থেকে। কাজের প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা তৈরী করুন। আপনি যে কাজটি করছেন, তার প্রতি আপনার ভালোবাসা থাকতে হবে। সফল মানুষেরা একমাত্র ভালোবাসা দিয়েই প্রতিটি কঠিন কাজকে সহজ করে ফেলে।
6️⃣ আপনি নিজেই নিজের ‘বস’
“Don’t compare yourself with anyone in this world… If you do so, you are insulting yourself.”
স্বপ্ন পূরণের পথে অন্যকে অনুসরণ করা থেকে বিরত থাকুন। নিজেই এমন কিছু করুন যাতে অন্যরা আপনাকে অনুসরণ করে। প্রতিটি মানুষের স্বকীয় সত্তা ও চিন্তাশক্তি রয়েছে। নিজের স্বকীয়তাকে কাজে লাগান। দেখবেন, একটা সময় যাকে আপনি অনুসরণ করার কথা চিন্তা করেছিলেন, জীবন যুদ্ধে তার থেকেও আপনি অনেক এগিয়ে গেছেন।
ততথ্যসূত্রঃ টেন মিনিট স্কুল