এমন কিছু মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা কী যা মানুষ জানে না?

    এমন কিছু মনস্তাত্ত্বিক ঘটনা কী যা মানুষ জানে না?

    Train Asked on April 24, 2024 in অনুসরণ.
    Add Comment
    1 Answer(s)

      ১. মানষিক চাপ কমাতে প্রিয় মানুষের একটা মিষ্টি আলিঙ্গনই যথেষ্ট। কেউ যদি ২০ সেকেন্ড আলিঙ্গনবদ্ধ থাকেন তখন তার শরীর থেকে অক্সিটক্সিন পদার্থ নির্গত হয়। এর ফলে মানুষের নিরাপত্তা, নিশ্চয়তা ও আত্নবিশ্বাস অনেকাংশে বেড়ে যায়। তাই যখনই চাপ বোধ করবেন তখরই প্রিয়জনের সান্নিধ্যে গিয়ে নিয়ে নিন মিষ্টি একটি আলিঙ্গন।

      ২. পছন্দের গান শুনুন, খোশ মেজাজে। কারণ গান শুনলে মেজাজ হালকা থাকে, মন ভালো থাকে। তাই চাপ কমানোর একটি সহজ কৌশল এটি। গ্রোনিংজেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, গান মানব মস্তিষ্কের অনুভূতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলে।তাই মন ভালো ও সুখে রাখতে খোশ মেজাজে শুনুন পছন্দের গান।

      ৩. চাপ বাড়লেই চকোলেট খান।কিন্তু কেন? এ প্রশ্ন অনেকেরই মনে আসতে পারে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ যখন ভালোবেসে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপন করে তখন শরীর থেকে একটি বিশেষ হরমোন নির্গত হয়। চকোলেট খাওয়ার পরেও সেই একই হরমোন মানুষের দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। আর এই হরমোন বেরিয়ে যাওয়ার ফলে মানুষের চাপ কমে যায় অনেকাংশে। তাই মনস্তাত্ত্বিক বিশেসজ্ঞরা বলছেন, মানসিক চাপ কমাতে চকোলেট বেশ কাযকরী।

      ৪.হাসুন প্রাণ খুলে, উপভোগ করুন চারপাশের ভালোলাগার প্রকৃতি।

      ৫. ঘুরে বেড়ান, বাঁধন ছিড়ে। যেখানে গেলে আপনার মন ভালো হয়ে যায় এবং মানসিক চাপ কমে যায় সেসব জায়গায় ঘুরে আসুন।

      ৬. ধর্ম চর্চা করুন একাগ্রতার সাথে। উপাসনা মনকে হালকা করে। পাপবোধ ধুয়ে মুছে গেলে মানসিক চাপ অনেকাংশে কমে যায়।

      ৭. বিত্তবানরা পয়সা খরচ করে সুখ কিনে নিতে পারেন। শপিং করুন, রেষ্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে আসুন।

      ৮. সুখী মানুষের সান্নিধ্য নিন, সফল মানুষের সাথে যোগাযোগ করুন, খোশগল্প জুড়ে দিন তার সাথে।তার চড়াই উতরাইয়ের ইতিহাস জানুন। কিংবা অ্যাডভেঞ্চারের কোনো গল্প।

      ৯. নিয়ন্ত্রণে রাখুন নিজেকে, মস্তিষ্ক নিয়ে খেলুন।প্রয়োজনে ব্রেইনের উপর চাপ বাড়ান। টৈনশন না করে ব্রেইনের উপর চাপ বাড়িয়ে দিলে শরীরের ক্ষতির কোনো কারণ হবেনা। পরিশ্রান্ত মস্তিষ্ক অনেক বেশি সৃজন শীল হয়।গবেষণাতেও সেটি প্রমানিত হয়েছে।

      ১০. আর্থিক নিরাপত্তায় নিজের চেয়ে ভালো নয় এমন খারাপ অবস্থার মানুষের জীবন নিয়ে কৌতুহলী হওয়ার চেষ্টা করুন। তাদের দূরাবস্থার কথা জানুন।দেখবেন অন্য মানুষের তুলনায় আপনি কতটা সুখে আছেন তা জানতে পারলেই, মনের চাপ অনেকাংশে কমে যাবে।

      ১১. অতীতের সুখস্মৃতি মনে করুন। ছেলেবেলার কথা ভাবতে গিয়ে দেখবেন আনমনে হেসে ফেলেছেন।

      ১২. পছন্দের সাহিত্য, মজার নাটক কিংবা সিনেমার গল্প মনে করুন।

      ১৩. প্রত্যাখ্যান যন্ত্রণার, তাই প্রত্যাখ্যাতি কোনো স্মৃতি মাথার ভেতর ‍গেঁথে রাখবেননা । পুরানো গল্প স্মৃতির বারান্দাতেই ঝেড়ে ফেলুন।

      ১৪. সম্পর্ক তৈরি করুন। ভালোবাসায় নিজেকে জড়ান।নিজের সঙ্গীকে হাসি,খুশি ও সুখী রাখুন।

      ১৫. দান করুন, জীবে প্রেম করুন।স্বামী বিবেকানন্দ লিখেছেন, জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর। যে কোনো মানুষ বা প্রাণীর জন্য ছোট্ট কোনো উপকার করতে পারলেও মানুষের মন ভালো হয়ে যায়। কিপটে লোক সাধারণত অসুখী হয়। পয়সা খরচ করলে মন ভালো থাকে। তাই যখনই মন বিষিয়ে যাবে তখনই দান করুন।

      কালেক্টেড

      Professor Answered on April 24, 2024.
      Add Comment
    • RELATED QUESTIONS

    • POPULAR QUESTIONS

    • LATEST QUESTIONS

    • Your Answer

      By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.