প্রস্রাবে প্রদাহ দূর করার উপায় কী?
আমার বয়স ২০ বছর। আমার প্রস্রাব করার সময়ে অসহ্যকর প্রদাহ হয়ে থাকে। এর কি কোনো চিকিৎসা আছে?
নারীদের প্রস্রাবে প্রদাহ হলে কার্যকর এবং পূর্ণরূপে নিরাময়যোগ্য চিকিত্সা রয়েছে। তার আগে আসুন সমস্যাটার কারণ এবং লক্ষণ সম্পর্কে কিছুটা জেনে নেই।
কারণ :
দেখা গেছে, অপরিচ্ছন্নতা, দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা, পায়ুনালী, ঘন ঘন কৃমি কর্তৃক সংক্রমণ, সহবাসের কারণে মূত্রনালীতে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। পায়ুনালী থেকে ই-কোলাই নামক জীবাণু কর্তৃক শতকরা ৭০-৮০ ভাগ প্রস্রাবের প্রদাহ হয়ে থাকে। অন্যান্য জীবাণুর মধ্যে প্রোটিয়াস, কেবসিয়েলা ও সিওডোমনাসের নাম উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি স্টেফাইলোকক্সাস স্কোরোফাইটিকাস নামক জীবাণু মেয়েদের ১৫ থেকে ৩০ ভাগ প্রস্রাবের কারণ।
লক্ষণ :
মূত্রথলির প্রদাহের উপসর্গ হচ্ছে, বারবার প্রস্রাবের বেগ হওয়া, প্রস্রাব করার সময় জ্বালা অনুভূত হওয়া, মাঝে মধ্যে তলপেটে ব্যথা হওয়া, কখনো কখনো পরিমাণে কমে গিয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় প্রস্রাব হওয়া। এ অবস্থা সৃষ্টি হলে প্রস্রাবের রঙ ধোয়াটে ও দুর্গন্ধযুক্ত হতে পারে। তবে একটি ব্যাপার খুবই লক্ষণীয়, তা হলো প্রস্রাব করে আসার পরপরই আবার প্রস্রাবের বেগ অনুভব করা।
এই প্রদাহ ক্রমেই কিডনিকেও আক্রান্ত করতে পারে। এ অবস্থায় নাভির দু’দিক থেকে পেছন পর্যন্ত ব্যথা ছড়াতে পারে। কেঁপে কেঁপে জ্বর আসতে পারে। প্রস্রাবের রঙ রক্তবর্ণও হতে পারে। খাওয়ায় অরুচি, মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব, সমস্ত শরীর ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে।
চিকিৎসা :
নারীদের প্রস্রাবে প্রদাহ, জরায়ু সংক্রান্ত ব্যাধি এবং অন্যান্য স্ত্রীরোগসমূহের আধুনিক, সফল এবং সর্বাধিক কার্যকরী চিকিত্সা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে যার কারণে কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই লাখ লাখ নারীরা কষ্টকর ব্যাধিসমূহ থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যময় জীবন লাভ করে আসছেন যুগ যুগ ধরে। স্ত্রীরোগসমূহকে পরিপূর্ণ আরোগ্য করার সফলতায় এখন পর্যন্ত হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা বিজ্ঞানই সবচাইতে এগিয়ে। যেখানে অন্যান্য চিকিত্সা পদ্ধতি নানা প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সমস্যা নিয়ে নিজেরাই চিন্তিত সেখানে প্রয়োজনবোধে দরকারী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথরা চিকিত্সা দিয়ে কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই রোগিনীদের পূরিপূর্ণ সুস্থ করে তুলছেন।