বাঁধাকপি আর ফুলকপির উপকারিতাগুলো কী কী?

    বাঁধাকপি আর ফুলকপির উপকারিতাগুলো কী কী?

    Add Comment
    1 Answer(s)

      ★ বাধাকপির উপকারিতাঃ

      পুষ্টিবিদদের মতে প্রতি ১০০ গ্রাম বাঁধাকপিতে রয়েছে – খাদ্যশক্তি- ২৫ কিলোক্যালরি শর্করা- ৫.৮ গ্রাম চিনি- ৩.২ গ্রাম খাদ্যআঁশ- ২.৫ গ্রাম চর্বি- ০.১ গ্রাম আমিষ- ১.২৮ গ্রাম থায়ামিন- ০.৬৬১ মিলিগ্রাম রিবোফ্লেভিন- ০.০৪০ মিলিগ্রাম নিয়াসিন- ০.২৩৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি৬- ০.১২৪ মিলিগ্রাম প্যানটোথেনিক অ্যাসিড- ০.২১২ মিলিগ্রাম ফোলেট- ৪৩ আইইউ ভিটামিন সি- ৩৬.৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন কে- ৭৬ আইইউ ক্যালসিয়াম- ৪০ মিলিগ্রাম আয়রন- ০.৪৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম- ১২ মিলিগ্রাম ম্যাংগানিজ- ০.১৬ মিলিগ্রাম ফসফরাস- ২৬ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম- ১৭০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম- ১৮ মিলিগ্রাম জিংক- ০.১৮ মিলিগ্রাম ফ্লুরাইড- ১ আইইউ পুষ্টিগুণের পাশাপাশি বাঁধাকপির রয়েছে নানান রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতাও। যেমন – -বাঁধাকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। বাঁধাকপিতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব ধরনের ভিটামিনই আছে।

      ★ ফুলকপির বিভিন্ন উপকারীতাঃ

      * ক্যান্সার প্রতিরোধকঃ

      ফুলকপিতে আছে এমন কিছু উপাদান যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ফুলকপির সালফোরাফেন ক্যান্সারের স্টেম সেল ধ্বংস করতে সাহায্য করে এবং বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিহত করে।

      *হৃদযন্ত্র ভালো রাখেঃ

      হৃদপিণ্ড ভালো রাখতে ফুলকপি বেশ সহায়ক। এর সালফোরাফেন উপাদান রক্ত চাপ কমায় এবং কিডনি ভালো রাখে। তাছাড়া ধমনীর ভিতরে প্রদাহ রোধ করতেও সাহায্য করে ফুলকপি।

      * অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরিঃ

      সুস্বাস্থ্যের জন্য শরীরে নির্দিষ্ট পরিমাণ দহন হওয়া জরুরি। তবে দহনের পরিমাণ বেড়ে গেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। সেক্ষেত্রে ক্যান্সার বা এ ধরনের রোগের সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। ফুলকপিতে রয়েছে ‘অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি নিউট্রিয়েন্টস’, যা শরীরের দহন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

      * ভিটামিন এবং মিনারেলঃ

      শরীর সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য সঠিক পরিমাণে পুষ্টির প্রয়োজন। নিয়মিত ফুলকপি খেলে দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়। ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-সি থাকে। পাশাপাশি আছে ভিটামিন কে, ভিটামিন বি৬, প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার, পটাসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ।

      * মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ

      ফুলকপিতে আছে কলিন (এটি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ এক ধরনের পানিজাতীয় পুষ্টি উপাদান) ও ভিটামিন-বি, যা মস্তিষ্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কলিন মস্তিষ্কের কগনিটিভ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। অর্থাৎ এতে স্মৃতিশক্তি বাড়ে ও দ্রুত শিখতে সাহায্য করে। এছাড়া বয়সের  কারণে স্মৃতিবিভ্রমের সম্ভাবনা এবং শৈশবে টক্সিনের প্রভাবে মস্তিষ্ক দুর্বলতা কমায়।

      * হজমে সহায়কঃ

      ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সালফার-জাতীয় উপাদান। যা খাবার হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। তাছাড়া ফুলকপির ফাইবার খাবার হজম হতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

      Professor Answered on March 6, 2019.
      Add Comment
    • RELATED QUESTIONS

    • POPULAR QUESTIONS

    • LATEST QUESTIONS

    • Your Answer

      By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.