হাঁপানি রোগের কারণ কি?
হাঁপানি রোগের কারণ কি?
হাঁপানি কেন হয়:
হাঁপানি যেকোনো বয়সের নারী বা পুরুষের হতে
পারে। এটা শ্বাসনালির একটা প্রদাহজনিত রোগ।
সংক্রামক বা ছোঁয়াচে নয়। প্রদাহজনিত কারণে
শ্বাসনালির সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। ফলে ঘন
ঘন কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, আওয়াজ, বুকে চাপ
বা দম নিতে কষ্ট হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে
পারে। যদি সঠিকভাবে উপযুক্ত চিকিৎসা না
নেওয়া হয়, তাহলে এ রোগে অনেক সময় মৃত্যুও হতে
পারে।
হাঁপানির সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। এ
রোগের জন্য কোনো কিছুকে এককভাবে দায়ী করা
যায় না। গবেষণায় দেখা গেছে, কারও কারও
বংশগত কারণে বা পরিবেশগত কারণেও এ রোগ হতে
পারে। কারও নিকটাত্মীয় যদি এতে আক্রান্ত থাকে
বা কেউ যদি বিভিন্ন দ্রব্যের প্রতি অতিমাত্রায়
অ্যালার্জিক হয় তাহলে তার হাঁপানি হতে পারে।
এ ছাড়া শ্বাসনালি যদি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল
হয়, এ রোগ হতে পারে।
এ ছাড়া ধুলোবালির মধ্যে থাকা মাইট নামের
ক্ষুদ্র কীট, ফুলের পরাগরেণু থেকে; পশুপাখির
পালক, ছত্রাক, মল্ট, ইস্ট, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে
সিগারেটের ধোঁয়ার মধ্যে যারা থাকে তাদের এ
রোগ হতে পারে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সিগারেটের
ধোঁয়া শুধু শ্বাসকষ্টের কারণই নয়, বরং অনেক
ক্ষেত্রেই এটা হাঁপানির তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়।
হাঁপানির ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়, কখনো
কখনো ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী কার্যক্ষমতাও কমে
যায়।
কখনো কখনো ব্যক্তির পেশাগত কারণেও এ রোগটি
হতে পারে। কিছু উত্তেজক উপাদান বা ট্রিগার
ফ্যাক্টর অনেক সময় সংবেদনশীল রোগীর শ্বাসকষ্ট
শুরু করতে পারে-যেমন শ্বাসনালির সংক্রমণ,
অ্যালার্জি-জাতীয় বস্তুর সংস্পর্শ, বায়ুদূষণ,
সিগারেটের ধোঁয়ার কারণেও এটি হতে পারে।
কোনো কোনো ড্রাগ, যেমন বিটা ব্লকার, যা উচ্চ
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহৃত হয়, এনএসএআইডি
(ব্যথা নিরাময়কারী ওষুধ) এসপিরিন কোনো কোনো
ক্ষেত্রে হাঁপানির কারণ হতে পারে।
এ ছাড়া মানসিক চাপে থাকলে হাঁপানির তীব্রতা
বেড়ে যেতে পারে। কোনো কোনো খাবারের প্রতি
সংবেদনশীল বা চিংড়ি মাছ, হাঁসের ডিম, গরুর
মাংস, বেগুন, পুঁইশাক, মিষ্টিকুমড়া, ইলিশ মাছ
প্রভৃতি খেলে চুলকায়, নাক দিয়ে পানি পড়ে কারও
কারও-অর্থাৎ অ্যালার্জি হয়। তবে খাবারের
মাধ্যমে যে অ্যালার্জি হয় তাতে খুব কম লোকের
অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কারও কারও
বিভিন্ন সুগন্ধি, মশার কয়েল বা কারও কারও
কীটনাশকের গন্ধ থেকেও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে
পারে।