জীবনকে আপনি কিভাবে দেখেন?
হেভি ফ্যান্টাস্টিক একটা জীবন। দুঃখ, কষ্ট, সাফল্য, খুশি, আবেগ সকল কিছুর মিশ্রণে দারুন একটা থ্রিল জীবন। সত্যি বলতে জীবন থেকে চাওয়া কিংবা পাওয়ার কিছু নাই। যেমনটা যাচ্ছে, মাঝে মধ্যে মনে হয় স্বর্গীয় অনুভূতি। এবং এই বিষয়টা আমাকে দারুন মানসিক প্রশান্তি দেয়। মানে এর থেকে অসাধারন আর হতে পারেই না। চাহিদা বলতে কিছু নেই কিন্তু স্বপ্ন আছে।
বয়স ২১, আমার ৫ নাম্বার জব এইটা। ৬ টা বিজনেসে অলরেডি ফ্লপড। গতবারের বিজনেসে ফল ডাউনের জন্য মোটামুটি ৩-৪ মাসের জন্য ট্রমাটাইজড ছিলাম। তাও এখন ২ টা বিজনেস প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি। মাঝে মধ্যে মনে হয় ভারতের আশ্রম গুলোতে গিয়ে জীবন সম্পর্কে আরেকটু ভালোভাবে জানি।
জীবনকে যত ভাবে জানা যায় সেটার চেষ্টাই আছি। একটা বিষয় কল্পনা করা যেতে পারে, ২+২=৪ এইটা সত্য ভেবে আপনি আজীবন সকল কাজ করে গেছেন এবং করেও যাচ্ছেন। আপনি জানেন যে দুই আর দুই যোগ করলে চার হয়। এবং এইটাই পরম সত্য হিসেবে আপনার জীবনে প্রতিষ্ঠা করেছেন। কিন্তু জীবনের শেষ ভাগে এসে ধরতে পারলেন কিংবা বুঝতে পারলেন যেটাকে সত্য ভেবে আজীবন কাজ করেছেন সেটা সম্পূর্ণরুপেই মিথ্যা। হাহাহাহা…
আমার সবসময় একটা বিষয় মাথায় থাকে, যেকোনো সময় যেকোনো মুহূর্ত উপভোগ করতে হবে। শুধু ভালো মুহূর্ত উপভোগ করতে হবে বিষয়টা এমন না। আপনি চাইলে আপনার খারাপ মুহূর্ত গুলো উপভোগ করতে পারবেন। পরীক্ষায় ফেইল করার পর বাসায় গেলে আব্বু মারবে, বাসায় যাওয়ার আগ মুহূর্তটাও কিন্তু অসম্ভব ভাবে উপভোগ করা যায়। কিংবা বাসায় প্রেগন্যান্ট উয়াইফ, মাত্র আপনার চাকরীটা চলে গেলো, ক্লান্ত অবস্থায় সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছেন। আপনি যদি চান তাহলে সেই হেটে আসার মুহূর্তটা অসম্ভব উপভোগ করতে পারবেন।
কিছু বিষয় থাকে যেগুলো নিয়তির উপর আবর্তিত। আপনি যদি দুশ্চিন্তা করে করে মাথা ফাটিয়ে দেন তাও কোনো বেনিফিট হবে না। জীবনটা অসাধারন একটা জার্নি, অনেকগুলো মুহূর্তের সমন্বয়ে গঠিত। এই পৃথিবীতে একবার জন্ম হওয়ার সুযোগ পেলাম, তাও যদি দুশ্চিন্তায় কাটিয়ে দেয়, এতো বোকা আমি না।