মানুষ কি পারে নিজেকে পরিবর্তন করতে?
মানুষ কি পারে নিজেকে পরিবর্তন করতে?
সকল নোংরামীর বিরুদ্ধে লিখতে হবে। বলতে হবে। ঢাকা শহরে আর যাই হোক, শপিংমল আর মসজিদের অভাব নাই। ওহে নামাজিগন ঢাকা শহরে মসজিদের অভাব পড়েছে নাকি! লোক দেখানো, ধার্মিক এবং নামাজী আর বক ধার্মিকে চারিদিক সয়লাব। এত এত ধার্মিক, এত এত মসজিদ তবু কেন ধর্ষন, পরকীয়া, চুরী, ছিনতাই, দূর্নীতি বন্ধ হচ্ছে না? তার মানে ধর্ম এবং মসজিদ মানুষকে মন্দ কাজ থেকে দূরে রাখতে পারছে না।
টিএসসি’তে ধর্ম নিয়ে যারা বারাবাড়ি করতেছে তাদের কথা এবং দাবি প্রশ্রয় দেওয়া হবে মারাত্মক ভুল কাজ। কারণ ধর্ম চর্চার জায়গা মসজিদ বা বাড়িতেই সীমাবদ্ধ। এ ছাড়া কেহ সালাত আদায় করতে চাইলে মাঠে ঘাটে নামাজ পড়ে, পড়ুক। কিন্ততু কারো সমস্যা করে না। তাই বলে ব্যস্ত রাস্তার মাঝখানে না। হাটু পানিতে না। গরুর পিঠেও না। ধার্মিকেরা কয়দিন পর বলবে, ক্লাব, চিড়িয়াখানা, সিনেমা হল, কমিউনিটি সেন্টার, বার, ডিসকো এসব যায়গাতেও নামাজের যায়গা দরকার হবে। তাহলে ঢাকা শহররে এত এত মসজিদ দিয়ে কি হবে?
ধার্মিকেরা ভাবে বিরোধীতা করলেই সবাই নাস্তিক? বাংলাদেশী বকধার্মিকদের নিয়ে কথা বললেই সেইটা নাস্তিকগিরি? নাস্তিক হইলে কি ভালোমন্দ নিয়া কথা কইতে পারবো না? সৎ সাহস থাকলে জবাব দিয়েন হুজুর। নইলে অফ যান। কিছু কিছু মানুষ আছে, ধর্ম যেন তাদের বাপ দাদা, চৌদ্দ পুরুষের সম্পত্তি। ইচ্ছা মত ফতোয়া দিয়া এরা শান্তি পায় না, নিজের দুর্বলতা ঢাকে। জানোয়ার গুলোকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। কিছু হলেই নাস্তিক বলে দেয়াটা একটা ফাজলামি হয়ে গেছে। ফ্যাশন হয়ে গেছে। ভাবটা এমন যেন হিদায়াত প্রাপ্তি সুনিশ্চিত। স্বয়ং ধর্মের প্রবর্তকও তার প্রতিকূল পরিবেশে ধর্ম প্রচারে যা করেন নি, তাও এরা করে, সেটা ধর্মের নামে চালিয়ে দেবে।
সংস্কৃতি চর্চাকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যই এইসব আজগুবি আবদার। টিএসসি’তে তো আমি নিজেও নামাজ পড়েছি। মেয়েদের জন্যও সেখানে দোতলায় নামাজ পড়ার জায়গা আছে। পাশে মসজিদ থাকতে ঐখানে আবার নামাজের যায়গা লাগবে কেন? ঝামেলা ও অশান্তি সৃষ্টি করার জন্যে এইসব অযৌক্তিক আব্দার। নামাজ কমবেশি সবাই পড়ে। কিন্তু জামাত শিবির ও পলিটিকাল ইসলামিষ্টরা যায়গা বে-যাগায় নামাজ পড়ার নামে ‘নামাজ শো’ করে। লোক দেখানো এবাদত, দানখয়রাত ইসলামে এলাও করে না। পাপ হিসেবে দেখা হয়। এই পাপের নাম রিয়া।
ধর্ম নিয়ে ভন্ডামি সাধারনত ধার্মিকেরাই করেন। আপনারা যারা যখন তখন যেখানে সেখানে নামাজে দাড়িয়ে ভিডিও ক্যামরা হেনতেন জাজাকাল্লা খাইররুন, মারহাবা, মাহবুবা করেন আপনাদের কাছে কি ধর্মটা এত ফালতু হয়ে গেলো? যারা পিচঢালাই রাস্তায় সেজদা দিয়ে ডিজিটাল কপালে দাগ করে আখেরাতে কপালে লাইট জালিয়ে বিদ্যুৎ বাচাবেন তাদের বলি- আল্লাহ আমাদের সব বুঝতে পারেন, শুনতে পারেন, আমরা না প্রকাশ করলেও এটা আল্লাহ অনেকবার সতর্ক করেছেন আল- কোরআনে।
মুসলমান হওয়ার আগে ‘মানুষ’ হও। ভালো ‘মানুষ’। ভালো ‘মানুষ’ হতে পারলেই ভালো মুসলমান হতে পারবে।