সমস্ত কিছু সৃষ্টির পূর্বে সৃষ্টিকর্তা কি করতেন?
সমস্ত কিছু সৃষ্টির পূর্বে সৃষ্টিকর্তা কি করতেন?
যে কোন প্রশ্ন আসার পেছনে প্রধান কারন হলো – ওই জিনিসটা আছে। যেমন, আপনি কি আঙুলের নখ কেটেছেন? এই প্রশ্নের পেছনে কারন হলো – আপনার আঙ্গুল আছে ; আঙুলে নখ আছে।
- কেউ আপনাকে এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে না – আপনার লেজ কত লম্বা?
যেটা নেই, যেটা হয় না, সেই ব্যপারে কোন প্রশ্ন হয় না। আসুন, এবার আমাদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানি। নীচের এই সহজ কাজগুলো করার চেষ্টা করুন।
- ভূমি থেকে ৫ ফুট উপরে, দাড়িয়ে থাকুন।
- পানিতে ডুব দিয়ে, দশ মিনিট অবস্থান করুন।
- কান দিয়ে খাবার খান। চোখ দিয়ে কথা শুনুন।
এই সহজ কাজগুলোর মধ্যে কয়টা করতে পেরেছেন? আচ্ছা, আপনি হয়তো পারেন না। অন্য কেউ কি এই কাজগুলো পারবে? বিজ্ঞানের উন্নতি হলে, ভবিষ্যতে মানুষ কি কান দিয়ে খাবার খেতে পারবে?
এগুলোই মানুষের সীমাবদ্ধতা। এর বাইরে যাওয়া যায় না। এগুলো আল্লাহর সৃষ্টি। নস্তিকেরা এটাকে প্রকৃতি বলে।
২০০০ সালে জন্ম নেওয়া একটি ছেলে, ১৯৯৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নিতে পারে না। জন্মের আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অসম্ভব। এটা, শূন্যে ভাসা বা নাক দিয়ে খাওয়ার চেয়েও বেশি অসম্ভব।
- এতক্ষণ যেটা বললাম, তার মুল কথা হলো – সময়।
সময় জিনিসটা চোখে দেখা যায় না, ধরা ছোয়া যায় না। এজন্যই বেশিরভাগ মানুষ এটা অনুধাবন করে না। সময় একটা প্রাকৃতিক জিনিস। সময় আল্লাহর সৃষ্টি।
- মনে রাখবেন, ঘড়ি অবিস্কারের আগেও সময় ছিল।
একসময় দুনিয়া বলে কিছু ছিল না। আল্লাহ দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন। মানুষ ছিল না। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন। ঠিক তেমনই, “সময়” ছিল না। আল্লাহ “সময়” সৃস্টি করেছেন।
এই সময় জিনিসটা আছে বলেই মানুষ আপনাকে জিজ্ঞাসা করে – ৫ ঘন্টা আগে তুমি কোথায় গিয়েছিলে? সময় জিনিসটা না থাকলে এই প্রশ্নটি “লেজ কত লম্বা” এর মতন ভুল প্রশ্ন হতো।
- অবশেষে মুল প্রসঙ্গ – সবকিছু সৃস্টির আগে আল্লাহ কি করতেন?
প্রশ্নে এমন এক পরিস্থিতির ব্যপারে জানতে চেয়েছে, যখন কিছুই সৃষ্টি হয়নি ; কিছুই ছিল না।
সেই পরিস্থিতিতে দুনিয়া নেই। চাদ, সূর্য, গ্রহ তারা কিছু নেই। আলো নেই, অন্ধকার নেই। স্থান বলে কিছু নেই। এমনকি “সময়” জিনিসটাও নেই।
লক্ষ্য করুন – সময় জিনিসটা না থাকলে, আগে-পরে বলে কিছু থাকে না। আমাদের অতি পরিচিত এই আগে-পরে বিষয়টা সময় সৃষ্টির কারনেই পেয়েছি।
সবকিছু সৃষ্টির “আগে” বলে আপনি যে পরিস্থিতির কথা জিজ্ঞাসা করছেন তেমন কোন পরিস্থিতি হয় না। কারন সময় সৃষ্টির “আগে” বলে কিছু নেই। সবকিছুই, সময় সৃষ্টির “পরে”।