আপনি এমন কী জানেন যা অনেকেই জানে না?
আপনি এমন কী জানেন যা অনেকেই জানে না?
সতর্কতামূলক পোস্ট!!!
ঢাকার রাস্তায় ভয়ংকর মাইন্ড কন্ট্রোল ড্রাগ ‘ডেভিলস ব্রেথ’ বা ‘শয়তানের শ্বাস’ বা স্কোপোলামিন (Scopolamine) ছিনতাইকারী, পকেটমার ও মলম পার্টির পর বাজারে নতুন এসেছে ‘ডেভিলস ব্রেথ’ (Devil’s Breath) বা ‘শয়তানের শ্বাস’ নামে পরিচিত স্কোপোলামিন নামক ড্রাগ। যা ব্যবহার করে যাত্রী ও পথচারীদের সর্বস্ব লুটে নেয় এক চতুর পার্টি।
কীভাবে কাজ করে ‘ডেভিল ব্রেথ’ পার্টি?
স্কোপোলামিন মাদক ব্যাবহারের কারণে ছিনতাইকারীদের মতো ছুরি, চাকু বহন করা লাগে না এই পার্টির সদস্যদের। এমনকি পকেটমারদের মত ধরা পড়া বা গণপিটুনি খাওয়ার রিস্কও থাকে না তাদের। স্কোপোলামিনের ব্যবহার তাদেরকে এমন সব ঝুট-ঝামেলা থেকে মুক্তি দিয়ে শহরের সবচেয়ে সফল হাইজ্যাকারে পরিণত করেছে। প্রথমে এই পার্টির এক সদস্য তার টার্গেটেড লোকের কাছে যেয়ে একটি কাগজ বা মোবাইলের মেসেজ দেখিয়ে বলবে আন্টি/ভাই/আপু এই ঠিকানাটা কোথায়? কিংবা কোন এক রিকশাওয়ালা সদস্য একটি প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে বলবে ‘বাবা, এই প্রেসক্রিপশনের ওষুধের নামটা কী? কোথায় পাওয়া যাবে?’ বশীভূত! তখন তাকে যে কমান্ড দেয়া হয় সে তাই মানে!
নাসা তাদের এ্যাস্ট্রোনাটদের উপর ০.৩৩ মিলিগ্রাম ইউজ করে, তাদের মোশন সিকনেস কাটানোর জন্য। আর যেকোন সাধারণ মানুষের উপর যদি এর ৫-৭ মিলিগ্রাম ইউজ করা হয় তবে সে হয়ে যাবে এমন হেল্পলেস জম্বি। তাকে দিয়ে যা ইচ্ছা করানো যাবে! আর যদি ১০ মিলিগ্রাম বা তার বেশি হয় তবে রোগী কোমায় চলে যাবে এবং সেখান থেকে মারা যেতে পারে। তাই রাস্তাঘাট, জুয়েলারি, ব্যাংক, যেকোনো শপিং সেন্টার থেকে বের হবার সময় এই ঘটনাগুলো মনে রাখুন, সতর্ক থাকুন। সতর্ক থাকুন যখন আপনি রিক্সার যাত্রী তখনও! বৈশ্বিক এয়ার ইনডেক্সের টপলিস্টে থাকা বসবাসের অযোগ্য দূষিত এই ধুলাময় শহরে ডাস্ট অ্যালার্জি, ফুসফুসের ক্ষতি, মলম পার্টি, ক্লোরোফর্ম ও ডেভিলস ব্রেথ পার্টিসহ অজানা সব বিপদ থেকে রক্ষা পেতে “মাস্ক” ব্যবহার করুন। এর সুবিধা হলো মাস্ক পরা থাকলে এই সব দুষ্কৃতিকারীরা আপনাকে সহজে টার্গেট করবে না এবং টার্গেট করলেও মাস্ক আপনাকে ওয়ান স্টেপ প্রোটেকশন দিবে। এই রকম ভিক্টিম কেউ হলে তাকে পীর ফকির বাদ দিয়ে, সোজা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন। নিজেকেই সাবধান হতে হবে, নির্জন যায়গায় কেউ ডাকলে যাওয়া যাবে না। অপরিচিত কেউ বেশি ঘনিষ্ঠ বা পরিচিত আচরণ করলে তার পরিচয় জিজ্ঞেস করে শিওর হয়ে নিবেন এবং তার থেকে একটা নির্দিষ্ট দুরুত্ব বজায় রাখবেন। যার তার সাথে হ্যান্ডশেক করবেন না।