কীভাবে নিজেকে খুশি করা যায়?
১/ নেতিবাচক চিন্তা দূর করতে হবে। নেতিবাচক চিন্তা করে কখনো হাসিখুশি থাকা যায় না। তাই হাসিখুশি থাকতে হলে নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিতে হবে।
২/ অন্যের ভালো করার চেষ্টা করুন। দেখবেন এমনিতেই হাসিখুশি থাকতে পারছেন।
৩/ আপনার কোন কাজটি করতে ভালো লাগে। কোন কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বা আপনি কোন কাজগুলো করে আনন্দ পান—এমন কাজগুলোই বেশি করুন এবং নিজের মধ্যে সুখ খুঁজে বের করুন।
৪/ অন্যকে সাহায্য করুন।পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি আনন্দ অন্যকে সাহায্য করার মধ্যে।
৫/ নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিন।আপনি যেভাবে বাঁচতে চান, তার ওপর জোর দিন। অন্যের কথায় নিজের পছন্দকে অবহেলা করবেন না। সব সময় অন্যকে খুশি করে চলতে গেলে আপনি নিজে খুশি থাকতে পারবেন না। তাই নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিন। দেখবেন অনেক বেশি হাসিখুশি থাকতে পারবেন।
৬/ প্রিয় মানুষজনের সঙ্গে সময় কাটান। সময় পেলেই বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সঙ্গে আড্ডা দেন, ঘুরতে যান। সামনাসামনি সাক্ষাতের সুযোগ না হলে টেক্সটিং, ফোনে কথা বলা, ভিডিও কলে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
৭/ মানসিক প্রশান্তি পেতে হাসির কোনো বিকল্প নেই। নিজেকে খুশি রাখতে পছন্দের টিভি সিরিজ দেখা, গোসলের সময় গান গাওয়া, কাজ করার সময় নাচা সবকিছুই আনন্দ বহিঃপ্রকাশের উপায়। উদ্বেগ কাটাতে চাইলে প্রথমে নিজের প্রতি সন্তুষ্ট থাকতে হবে। তবেই নিজেকে খুশি করা যাবে।
৮/ আফসোস করবেন না। আফসোস করাটা একজন মানুষের অখুশি থাকার অন্যতম একটি কারণ। যা নেই বা যে কাজটা করা যাচ্ছে না সেটা নিয়ে আফসোস করা যাবে না।
৯/ কম আশা করবেন। মানুষ কষ্ট তখনই পায় যখন নিজের ভাবনার সাথে বাস্তবটা মিলে না। অতিরিক্ত আশার ফলাফল প্রায় সময়ই অনেক কষ্টদায়ক হয়। সর্বদা আনন্দে থাকা মানুষগুলো কখনোই খুব বেশি আশা করেন না অন্যের কাছ থেকে। আর অতিরিক্ত আশা না থাকায় আশা পূরন না হবার কষ্টও থাকেনা তাদের ভেতরে খুব একটা।
১০/ খেলাধুলা করুন।যেকোনো বয়সের মানুষকে খুশি রাখতে খেলাধুলার কোনো বিকল্প নেই। সারাদিনের কাজের ফাঁকে অল্প কিছু সময় খেলাধুলার জন্য ব্যয় করলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকবে।
১১/ পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী ভাবুন নিজেকে। নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন। দেখেবেন খুশি থাকতে পারবেন অনায়াসেই।ধন্যবাদ